নিউইয়র্ক সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রথম নারী প্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন লারা কাভানা। সিটির ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ৩৪তম কমিশনার হিসেবে তিনি ১৭,৩৭০ জন লোকের কাজকর্ম তদারকের দায়িত্ব পালন করবেন। ফায়ার ডিপার্টমেন্টে কমিশনার হিসেবে বয়সের দিক থেকেও তিনি গত এক শতাব্দীতে সবচেয়ে কমবয়সী কমিশনার হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। লারা কাভানা’র বয়স মাত্র ৪০ বছর। তাঁর পূর্ববর্তী কমিশনার ড্যানিয়েল এ নিগ্রো অবসর গ্রহণ করলে পদটি শূণ্য হয়।

নিউইয়র্ক সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি জনশক্তি সম্পন্ন এবং সর্বাধিক আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামে সমৃদ্ধ ফায়ার ডিপার্টমেন্ট। ১০,৭৭০ জন ফায়ার ফাইটার, ফায়ার মার্শাল ও ফায়ার অফিসারসহ নিউইয়র্ক সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের মোট জনশক্তি ১৭,৩৭০ জন। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ইন্সপেক্টর ও বেসামরিক কর্মী এবং ৪,৫৫০ জন ইমার্জেন্সি সার্ভিস টেকনিশিয়ান, প্যারামেডিকস ও ইমার্জেন্সি সার্ভিস অফিসারের ওপর দায়িত্বশীল হবেন। সিটি ফায়ার বিভাগের বয়স ১৫৭ বছর এবং এই দীর্ঘ সময়ে লারা কাভানা’র আগে সিটি ফায়ার বিভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন পুরুষ কমিশনার এবং বিভাগটি ছিল শ্বেতাঙ্গ ও পুরুষ প্রধান। সে কারণে ফায়ার বিভাগ কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার মুখোমুখি হয়েছে। বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের ৭৬ শতাংশ ফায়ার ফাইটার শ্বেতাঙ্গ, ১৩ শতাংশ হিসপানিক, ৮ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ এবং মাত্র ২ শতাংশ এশিয়ান। মোট জনশক্তির মধ্যে মাত্র ১৪৪ জন নারী ফায়ার ফাইটার, ফায়ার মার্শাল ও ফায়ার অফিসার রয়েছেন।

কমিশনার কাভানা দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন যে তিনি জাতিগোষ্ঠী ও লিঙ্গ নির্বিশেষে ফায়ার ডিপার্টমেন্টের জনশক্তিতে বৈচিত্র আনয়ণে সচেষ্ট হবেন। তিনি ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মী হিসেবে সিটির ৩৯টি ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিস স্টেশন এবং ২১৮টি ফায়ার হাউজের অধিকাংশ স্টেশনে গেছেন। এছাড়া ডিপার্টমেন্টের ফার্ষ্ট ডেপুটি হিসেবে প্যানডেমিক চলাকালে অনেক প্রাথমিক কেন্দ্র পরিদর্শন করেন, যখন শত শত ফায়ার ডিপার্টমেন্ট ইমার্জেন্সি কর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল।

উল্লেখ্য, লারা কাভানা স্যান ফ্রান্সিসকোতে জন্ম গ্রহণ এবং সেখানে পড়াশোনা করেন। বিশ বছর আগে তিনি নিউইয়র্কে চলে আসেন এবং সিটির পাঁচ বরোতেই বসবাস করেছেন এবং সাবেক মেয়র বিল ডি ব্লাজিওর নির্বাচনী ক্যাম্পেইনসহ রাজনৈতিক তৎপরতায় জড়িত থেকে কমিউনিটিতে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।