জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অংশগ্রহণে ‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা; অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্ক গত ৮ আগস্ট সোমবার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে। কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্পীকার ছাড়াও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বঙ্গমাতার জন্ম না হলে হয়ত স্বাধীনতার ইতিহাস ভিন্ন হতে পারত মন্তব্য করে তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টিসহ বহুমাত্রিক গুনাবলীর বিষয়ে আলোকপাত করেন । তিনি বলেন, দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী বঙ্গমাতা বাঙালীর সূদীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের নেপথ্যে থেকে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি পদক্ষেপে শক্তি, সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

জাতিসংঘে স্থায়ী মিশনে ফজিলাতুননেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

গত ৮ আগস্ট সোমবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। আলোচনার শুরুতে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপনকে জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে তাঁর অসমান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, “বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু জাতির পিতার সহধর্মীনিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন জাতির পিতার সুদীর্ঘ সংগ্রামে ও সকল সঙ্কটে এক অকুতোভয়, বিশ্বস্থ ও নির্ভিক সহযাত্রী”। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুকে মনের কথা তুলে ধরতে পরামর্শ দিয়েছিলেন বঙ্গমাতা। উন্মুক্ত আলোচনায় মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ অংশগ্রহণ করেন। আলোচকগণ বঙ্গমাতাকে জাতির পিতার রাজনৈতিক সাফল্যের অনন্য উৎস বিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করেন। সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পরতে পরতে বঙ্গমাতার ভূমিকা এবং তাঁর আদর্শ যুগে যুগে কালে কালে বাঙালি নারীদের জন্য আলোর দীপ শিখা হয়ে অনুপ্রেরণা যোগাবে মর্মে উল্লেখ করেন আলোচকগণ।