বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১
গত বছরের আগস্ট মাসে নিউইয়র্ক সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন নিউইয়র্ক পুলিশের ৮০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ৩ লাখ ২৩ হাজারের বেশি অসদাচরণের অভিযোগ করেছে। পুলিশ ইউনিয়ন অভিযোগগুলোকে ফেডারেল আপিল কোর্টে পৌছার ক্ষেত্রে বাধা দিতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ার কারণে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের হাতে পড়ে বলে জানা গেছে।
এদিকে নিউইয়র্ক সিটি সিভিলিয়ান কমপ্লেন্ট রিভিউ বোর্ড চলতি মাসে একটি নতুন অনুসন্ধানযোগ্য ডাটাবেজ প্রকাশ করেছে, যাতে জনগণের পক্ষে হাজার হাজার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের রেকর্ড পাওয়া যাবে। এর অল্প সময় পরই নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট তাদের নিজস্ব ডাটাবেজে এসব তথ্য সংযোজন করে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কেলি’র ক্রিমিনাল জাস্টিস ল বিভাগের প্রফেসর জনাথন সাইমন বলেছেন, এই অভিযোগগুলো প্রকাশিত হওয়ার ফলে জনগণের মধ্যে তাদের ক্ষমতায়তনের অনুভূতি আরও প্রবল হবে এবং পুলিশী ব্যবস্থার জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তার তাগিদ থেকে তারা অভিযুক্ত হওয়ার মতো অসদাচরণ থেকে বিরত থাকবে। তিনি বলেন, লোকজন পুলিশের অসদাচরণের শিকার হয়েও অনেকসময় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে না, কারণ কোন্ বিষয়গুলো পুলিশের অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হয় সে সম্পর্কে তাদের সুস্পষ্ট ধারণা নেই। অনেক সময় তারা এমনও ভাবে যে পুলিশ যা করেছে তা কি তাদের ভুল অথবা তিনি বিষয়টি নিয়ে বেশি স্পর্শকতারতা অনুভব করছেন। কিন্তু কোন ব্যক্তি যদি বিশ্বাস করেন যে পুলিশ তার সঙ্গে অসদাচরণ করেছে এবং তিনি যদি অনলাইনে দেখতে পান যে তার সঙ্গে অসদাচরণকারী পুলিশ অফিসার ইতিপূর্বে অন্যের সঙ্গে অসদাচরণের কারণে অভিযুক্ত, তাহলে তিনিও অভিযোগ করতে উৎসাহী হয়ে উঠতে পারেন।
ইয়েল ল জার্নাল স্টাডিও রিপোর্ট অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে কোন পুলিশ অফিসার যদি তার চাকুরি হারান তাহলে তিনি অন্য কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় চাকুরি পেতে পারেন। নতুন সংস্থাটি হয়তো সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের অসদাচরণের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নয়। কিন্তু বর্তমান ডাটাবেজের কারণে নিয়োগকারী আইন প্রয়োগ সংস্থার পক্ষে নিয়োগ লাভের জন্য আগত প্রার্থীদের রেকর্ড সম্পর্কে জানা সহজ হবে এবং তারা এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্ত করার পর নিয়োগের পক্ষে বা বিপক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। কেউ যদি কোন ভুল বা কারো সঙ্গে কোন অসদাচরণ না করে তাহলে তার উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই। ইতোমধ্যে একটি চেতনার সৃষ্টি হয়েছে যে, সাধারণ মানুষের ক্রিমিনাল রেকর্ড সম্পর্কে জানার যদি ব্যবস্থা থাকে তাহলে পুলিশ অফিসারদের অসদাচরণ বা তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জানার সুযোগ থাকবে না কেন?
Posted ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh