নিউইয়র্ক সিটি সাবওয়ে ট্রেনের কম্পার্টমেন্টগুলোতে সিকিউরিটি ক্যামেরা লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্ক স্টেট গভর্নর ক্যাথি হকুল। ব্রুকলিনে সাবওয়ে ট্রেনের এক কম্পার্টমেন্টে যাত্রীবেশী গত এপ্রিল মাসে বন্দুকধারীর গুলিবর্ষণের ঘটনার পর থেকে কম্পার্টমেন্টে ক্যামেরা স্থাপনের কথা বিবেচনা করছিল স্টেট সরকার এবং একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে এখন তা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে বলে স্টেট গভর্নর গত মঙ্গলবার জানান। আগামী তিন বছরের মধ্যে মেট্টোপলিটান ট্রানজিট অথরিটি (এমটিএ) প্রতিটি কম্পার্টমেন্টে দুটি করে সিকিউরিটি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হবে বলেও তিনি জানান। এতে মোট ব্যয় হবে ৫.৫ মিলিয়ন ডলার এবং স্টেট ও ফেডারেল তহবিল এ অর্থের যোগান দেবে।

নিউইয়র্ক সিটি সাবওয়ের ৪৭২টি স্টেশনে ইতোমধ্যে সিকিউরিটি ক্যামেরা রয়েছে। কিন্তু এপ্রিলে ব্রুকলিনের একটি স্টেশনে গুলিবর্ষণের ঘটনা ধারণ করতে পারেনি সেখানকার ক্যামেরাগুলো, যেখানে ১০ ব্যক্তি গুলিতে আহত হয়েছিল। গুলিবর্ষণকারী সাবওয়ে কার থেকে প্ল্যাটফর্মে নেমে এলোপাতারি গুলিবর্ষণ করায় যাত্রীরা গুলিবিদ্ধ হয়। ক্যামেরা স্থাপনের উদ্দেশ্য হলো, অপরাধীরা যাতে অপরাধ করে পার না পায়। তাদের জন্য গভর্নরের বক্তব্য হচ্ছে, ‘সাবওয়েতে কোনো অপরাধ করো না, তোমাকে ধরা পড়তেই হবে।’ ক্যামেরাগুলো পুরো কম্পার্টমেন্ট মনিটর করবে।

করোনা মহামারীকালে সাবওয়ের প্যাসেঞ্জার হ্রাস পেয়েছে এবং এখনও মহামারী পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসতে পারেনি। অনেকে মনে করছেন যে সাবওয়েতে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ছাড়া বেশ কিছু অঘটন ঘটে যাওয়ায় সাবওয়ের যাত্রীরা এখনও ভীতি কাটিয়ে ওঠতে পারছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে ও যাত্রীদের নিরাপত্তার আস্থা ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে ট্রেনের কম্পার্টমেন্টে ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ জোরদার করা হয়েছে বলে ক্যাথি হকুল জানান। কুইন্সের এক সাবওয়ে স্টেশনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে স্টেট গভর্নর বলেন, “আপনারা এই ক্যামেরাগুলোকে আপনাদের বড় ভাই হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন, যারা সাবওয়েতে আপনাদের প্রতি খেয়াল রাখছে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য।”