নিউইয়র্ক সিটিতে গাড়ি চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে ৫১.১ শতাংশ। ২০২১ সালের জুন মাসের প্রথম মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যেখানে ৩,৫৮৭টি গাড়ি চুরি হয়েছিল, এ বছর ৫ জুন পর্যন্ত গাড়ি চুরির ঘটনা ঘটেছে ৫,৪২০টি। এছাড়া এ সময়ে গণপরিবহনে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৬.৬ শতাংশ। জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত গাড়িসহ অন্যান্য চুরির ঘটনা ঘটেছে ২০,৬৫৯টি, যা গত বছর ছিল ১৩,৭১৩টি।

নিউইয়ক পুলিশের তথ্য-উপাত্তের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজ খবর দিয়েছে যে চুরি করা ৫,৪২০টি গাড়ির মধ্যে প্রায় ২,২০০টি গাড়ি চুরির ক্ষেত্রে চালক গাড়ির ইঞ্জিন চালু করা অবস্থায় অথবা গাড়ির দরজা লক না করা ও চাবি ভেতরে রেখে চালকের বাইরে থাকা অবস্থায় পেয়ে চোরের দল গাড়ি চুরি করেছে। এনওয়াইপিডি’র অটো ক্রাইমস ইউনিটের প্রধান ডেপুটি ইন্সপেক্টর রবাট লাপোলো বলেছেন যে চালকের অসতর্কতার কারণে অথবা চালকরা অতীতের চেয়ে কম সতর্ক থাকায় গাড়ি চুরি বেড়েছে এমন নয়। বর্তমানে এমন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে অপরাধীরা প্রায়ই গাড়ি চুরি করছে এবং সেই গাড়ি গুলি করা বা ডাকাতি করার কাজে ব্যবহার করছে। অপরাধীরা আরও একটি কৌশল গ্রহণ করছে যে তারা যেখান থেকে গাড়ি চুরি করে, অপরাধ সংঘটনের পর প্রায় ক্ষেত্রে গাড়ি চুরি করার জায়গায় গাড়ি ফেলে যায়।

শুধু গাড়ি চুরি করেই অপরাধীরা ক্ষান্ত হয় বলে রবাট লাপোলো মনে করেন না। তিনি জানান, সাম্প্রতিককালে ২২৫টি বেশি চুরি করা গাড়ি বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও শনাক্ত করেছে পুলিশ তদন্তকারীরা। এ ধরনের ঘটনায় পুলিশ দশ ব্যক্তি বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্তকারীরা প্রায়ই সিটি বা সিটির বাইরে স্ক্র্যাপইয়ার্ডগুলো পরিদর্শন করেন যে এসব স্ক্র্যাপইয়ার্ডের মালিকরা চুরি করা গাড়ি বা গাড়ির যন্ত্রাংশ কিনেছে কিনা। অনেক ক্ষেত্রে চতুর গাড়ি চোরেরা গাড়ির নতুন চাবি তৈরি করে এবং চুরি করা গাড়ির জন্য নতুন ভিআইএন (ভেহিক্যাল আইডেনটিফিকেশন নাম্বার) তৈরি করে এবং গাড়ির প্রয়োজনীয় দলিল জাল করে এবং বিক্রি করে দেয়। জন জে কলেজ অফ ক্রিমিনাল জাষ্টিসের প্রফেসর ক্রিস্টোফার, যিনি একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, তিনি বলেন যে গাড়ি চুরির সঙ্গে কমবয়সী তরুণরা জড়িত।