বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১
মাছের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আমিদানি নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে ‘ক্যাটফিশ’। ক্যাটফিশ পরিবারের মধ্যে পড়ে বোয়াল, পাঙ্গাস, আইড়, শিং, মাগুর, পাবদা, টেংরা, বাতাসি প্রজাতির মাছগুলো। এসব মাছে ক্ষুতকর বিষাক্ত উপাদান থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিষ্ট্রেশন ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশ থেকে সব ধরনের ক্যাটফিশ আমদানি নিষিদ্ধ করে। কিন্তু ইনভয়েসে ভিন্ন মাছের নাম দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ ক্যাটফিশ আমদানি করার অভিযোগে আমেরিকান আইন প্রয়োগকারীরা সম্প্রতি চার বাংলাদেশী মাছ আমদানিকারকে গ্রেফতার করেছে। তারা হচ্ছেন মাহমুদ চৌধুরী (ওরফে মাসুম চৌধুরী, ওরফে আঙ্কেল মাসুম), বেলায়েত হোসেন (ওরফে বেলায়েত সোহেল), শাকিল আহমেদ ও ফিরোজ আহমেদ। তাদের ওয়্যারহাউজে ক্যাটফিশের বিপুল মজুত ছিল এবং বিভিন্ন গ্রেসারি ও মাছ বিক্রয়ের দোকানে সরবরাহের প্রস্তুতির পর্যায়ে ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। নিউইয়র্ক সাউদার্ন ডিষ্ট্রিক্ট এটর্নির অফিস থেকে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে জানানো হয়।
নিষিদ্ধ ক্যাটফিশগুলো প্রথমে নিউইয়র্ক হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তদন্তকারী সনাক্ত করে। ফেডারেল মিট ইন্সপেকশনের আওতায় অধিকতর তদন্তে ডিপার্টমেন্ট অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ন্যাশনাল ওশনোগ্রাফিক এন্ড এটমোস্ফেরিক এডমিনিষ্ট্রেশন ও ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার এশিয়া ফুডসের ওয়ারহাউজ ও দোকানিদের ফ্রিজারে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ক্যাটফিশ উদ্ধার করে। আইন লংঘনের অভিযোগে চার বাংলাদেশী ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারী গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হয়। অপরাধ প্রমাণিত হলে তারা ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের শাস্তি পেতে পারে।
জানা গেছে, এই চার ব্যক্তি এশিয়া ফুডস ডিস্ট্রিবিউটর ইনক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিউইয়র্ক সিটিতে বিপুল পরিমাণ ক্যাটফিশ আমদানি করে। এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালে ইনকর্পোরেশন লাভ করে এবং এটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নাম রয়েছে মাহমুদ চৌধুরীর। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত চার ব্যক্তি নিষিদ্ধ ক্যাটফিশ আমদানির অভিযোগে ২০১৯ সালেও গ্রেফতার হয়েছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী চার আসামী যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের খাদ্য নিরাপত্তার দিক বিবেচনা না করে জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মাছ পাচার করে যুক্তরাষ্ট্রে এনে গুরুতর ফেডারেল অপরাধ করেছেন।
Posted ১০:৪৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ মার্চ ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh