স্পেনের বিশ্বকাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন আইতানো বনমাতি।জেতেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল। এবার মেয়েদের ব্যালন ডি’অর জিতেছেন স্পেন ও বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার। প্রথমবারের মতো এই পুরস্কারটি জিতলেন তিনি। বার্সেলোনার হয়েও গত মৌসুম দারুণ কাটে বনমাতির। লিগ শিরোপার পাশাপাশি জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৭ ম্যাচে গোল করেন ১৯টি, সতীর্থদের দিয়ে গোল করান ২১টি।

ব্যালন ডি’অর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মে পরিবর্তন আনা হয় গত বছর। আগে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে পুরো বছরের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নেওয়া হলেও এখন বিবেচনায় ধরা হয় ইউরোপিয়ান ফুটবলের একটি মৌসুমকে (আগস্ট থেকে জুলাই)।

১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া চালু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো। এরপর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর ২০০৭ সাল থেকে কেবল ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেওয়া শুরু হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।

আইতানা বনমাতির জন্ম কাতালুনিয়ার শহর গ্যারাফে। ছোটবেলা থেকে অবশ্য আইতানার আগ্রহ ছিল বাস্কেটবলের দিকে। তারপর হঠাৎ করেই ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয় তার। মাত্র ৭ বছর বয়সেই সমবয়সি ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে শুরু করে। ছোট্ট আইতানার ফুটবলের প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে মা-বাবা ভর্তি করিয়ে দেয় স্থানীয় ক্লাব সিডি রিবসে।

রিবসের ক্লাবটিতে চার বছর ফুটবল শেখার পর আইতানা যোগ দেন আরেক ক্লাব কুবিলিয়াসে। সেখান থেকেই বার্সেলোনার একাডেমি লা মাসিয়ার নজরে আসেন তিনি। ২০১২ সালে ১৩ বছর বয়সে লা মাসিয়ায় যোগ দেন আইতানা। যুবদলে বেশ কয়েক বছর খেলার পর বার্সেলোনার জার্সি গায়ে তার অভিষেক হয় ২০১৬ সালের কোপা দেল রেতে, রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে।