বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২
আগামী ১৮, ১৯ ও ২০ আগস্ট ফিলাডেলফিয়ার কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে মুসলিম উম্মাহ অফ নর্থ আমেরিকা– মুনা’র কনভেনশন। করোনা মহামারীর কারণে গত তিন বছর মুনা’র বার্ষিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। গত ৫ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুনা নেতৃবৃন্দ কনভেনশন সংক্রান্ত ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুনা’র ন্যাশনাল এক্সিকিউটি ডাইরেক্টর আরমান চৌধুরী এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মুনা’র ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট হারুন অর রশীদ।
পরিচালনা করেন মুনা’র মজলিশে শুরা সদস্য আবদুল্লাহ আল আরিফ। এছাড়া মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন মজলিশে শুরা সদস্য এম এম মাওলা সুজন। লিখিত বক্তব্যে আরমান চৌধুরী বলেন, মুনা কনভেনশন বাংলাদেশী আমেরিকান মুসলিম পরিবারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি মুনা গঠনের পটভূমি উল্লেখ করে বলেন, মুনা আমেরিকার ৪০ এর অধিক রাজ্যে কর্মতৎপরতা পরিচালনা করছে।
মুসলমানদের প্রাত্যহিক সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ড এবং জাতীয় নাগরিক জীবনে ভূমিকা পালনের নিমিত্তে সংগঠিত করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে তারা মানবতার সেবা করতে পারে। তিন দিনব্যাপী ওই কনভেনশন বাংলাদেশি কমিউনিটি সহ আমেরিকান আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটির মাঝে ব্যক্তি এবং সমাজ গঠনে প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এবারের কনভেনশনের প্রতিপাদ্য “আল-কোরআন গাইডেন্স ফর হিউম্যানিটি।”
তিনি আরো বলেন, মুনা একটি বিশ্বাস ভিত্তিক দাওয়াতি ও সামাজিক সংগঠন হিসাবে মুনা মুসলমানদেরকে আহবান করে তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে ইসলাম পালনের এবং অমুসলিমদের কাছে ইসলামের সঠিক শিক্ষা তুলে ধরতে। মুনা প্রধানত ওইসব কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাতে একজন ব্যক্তিকে সংশোধনের মাধ্যমে সর্বাঙ্গীণ সামাজিকভাবে কল্যাণকর ব্যক্তিতে পরিণত করা যায়। এ লক্ষ্যে মুনা ব্যক্তিদেরকে আধ্যাত্মিক নৈতিক এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। মুনা চায় এমন সব প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ উন্নয়ন, যারা তাদের স্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালার সাথে সম্পর্কের সুসামঞ্জস্য রক্ষা করে চলে এবং একই সময়ে সমাজের সর্বক্ষেত্রে উৎপাদনমুখী ভূমিকা পালন করে।
লিখিত বক্তব্যে আরমান চৌধুরী বলেন, মুনা নিজের সদস্য ও অন্যান্য মুসলিমদের নিয়ে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চায় যাতে তারা অন্য ধর্মাবলম্বী অভিন্ন ভাষাভাষী বর্ণ ও গোত্রের জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবেশীদের সাথে পারস্পরিক সংলাপে নিয়োজিত হতে পারে, যার মাধ্যমে আন্ত:সাম্প্রদায়িক বোঝাপড়া সামাজিক প্রসার ও উন্নয়ন ঘটানো যায়। মুনা মনে করে, এ প্রক্রিয়ায় এই সমাজের সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব।
এবারের কনভেনশন এক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, মুনা অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও রাজনীতি সম্পর্কে উদাসীন নয়। মুনা চায় রাজনৈতিক বিষয়াবলীতে নাগরিকগণ সচেতনভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং এর ফলে রাষ্ট্রীয় জীবনে সুচারু ব্যবস্থা বহাল থাকে। মুনা চায়, বিশ্বকে নেতৃত্ব দানকারী যুক্তরাষ্ট্রের জনশক্তি এবং অন্যান্য নাগরিকগণ বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে সক্রিয় যোগাযোগ রক্ষা করে চলুক যাতে করে তাদের কথা শোনা হবে এবং তাদের অধিকার রক্ষা করা যাবে এবং তাদেরকে বৈষম্যের রাজনৈতিক জীবনের এক প্রান্তে ঠেলে দিয়ে উপেক্ষা করা হবে না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরমান চৌধুরী বলেন, মুনা প্রধানতঃ বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে তার কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। এদেশে বাংলাভাষাভাষী মুসলিমরা ও অন্যান্যরা কিভাবে এখানকার মুলধারার জীবনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের অধিকার নিশ্চিত করবে এবং একই সাথে নিজেদের আধ্যাত্মিক নৈতিক ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার এর সংরক্ষণ করবে সেই বিষয়ে সচেতন। সেজন্য মুনা চায় বাংলাদেশী-আমেরিকানরা কর্মতৎপরতায় বেশি সক্রিয় অংশগ্রহণ করুক। সাথে সাথে বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে গড্ডালিকা প্রবাহ থেকে বাঁচাতে মুনা চায় প্রতিটি বাংলা ভাষাভাষী অভিভাবক তাদের সন্তানকে মুনা ইয়ূথ এবং ইয়ং সিস্টার অফ মুনার সাথে সম্পৃক্ত করুক । তিনি সকলকে মুনা কনভেনশনে যোগদানের আহবান জানান।
Posted ৩:১৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh