অবৈধ বসবাসকারী ইসরায়েলিরা দখলকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস এলাকার ফিলিস্তিনি গ্রামে গুলি, অগ্নিসংযোগসহ অন্তত ৩০০ আক্রমণ চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ব্যাপক এ ধ্বংসযজ্ঞকে ‘পরিকল্পিত’ সহিংসতা বলে আখ্যা দিয়েছে। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট বলছে, এই সহিংসতায় নাবলুসের দক্ষিণ এলাকার হুওয়ারা, জাতারাম বুরিন ও আসিরা আল-কিবলিয়া গ্রামের অন্তত ৩৯০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অধিকাংশই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাস এবং অবৈধ বাসিন্দাদের দেওয়া ব্যাপক আগুনের ধোঁয়া শ্বাসের সঙ্গে ঢুকে আহত হন। খবর : আলজাজিরা।

এদিকে রোববার সামিয়াহ আল-আকটাশ নামে ৩৭ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনিকে পেটের মধ্যে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দক্ষিণ নাবলুসের জাতারা গ্রামের বাসিন্দা আকটাশ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পাঁচ সন্তানের জনক আকটাশ পাঁচ দিন আগে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে স্বেচ্ছাসেবা দিয়ে ফিরেছিলেন।

ফিলিস্তিনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, অবৈধ ইসরায়েলি বাসিন্দারা ছুরি, লোহার রড ও পাথর নিয়ে আক্রমণ চালান। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, মাথায় রডের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি খুলিতে আঘাত পেয়েছেন। এ ছাড়া আরেক ব্যক্তি চেহারায় রডের আঘাতে আহত হয়েছেন।

সাদ্দাম ওমর নামে হুওয়ারা গ্রামের এক বাসিন্দা এ সহিংসতাকে ‘বর্বর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সোমবার আলজাজিরাকে তিনি বলেন, গতকাল উপনিবেশ স্থাপনকারীদের অপরাধের নতুন রূপ দেখলাম আমরা। তারা সবকিছুতে আগ্রাসী হয়ে আক্রমণ চালিয়েছে।

তিনি বলেন, আক্ষরিক অর্থেই তারা মানুষ, দোকানপাট, সুপারমার্কেট, বাড়ি, গাছ, গাড়ি ও গাড়ির গ্যারেজে হামলা করেছে। তারা বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে। তারা প্রায় সবকিছুই পুড়িয়ে দিয়েছে। অবৈধ বাসিন্দাদের ইসরায়েলি সেনারা শতভাগ সুরক্ষা দিয়েছে।