নিউইয়র্ক : | শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
দীর্ঘদিন যাবত কমিউনিটি সার্ভিসের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশি আমেরিকান মোর্শেদ আলমকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং মোর্শেদ আলমের হাতে ৬ জুলাইকে ‘মোর্শেদ আলম দিবস’ ঘোষণা সংক্রান্ত একটি কংগ্রেসনাল প্রক্লেমেশন তুলে দেন। এটি মোর্শেদ আলমের বসবাসের এলাকা কুইন্স বরোর ‘কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-৬’ এর জন্য প্রযোজ্য হবে বলে গ্রেস মেং জানান। আমেরিকায় এই প্রথম কোনো বাংলাদেশির নামে কোনো কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টে ‘দিবস’ ঘোষণা করা হলো। উল্লেখ্য, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এই নেতাকে এর আগে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেন।
গ্রেস মেং বলেন. মোর্শেদ আলম শুধু বাংলাদেশ কিংবা দক্ষিণ এশিয়ানদেরই পথিকৃত নন, এশিয়ানরাও তাঁর কাছে ঋণী। অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নে আপসহীন মোর্শেদ আলম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণের কাজেও সহায়তা দিয়ে আসছেন। তৃণমূলে সম্পর্ক থাকায় মোর্শেদ আলম নতুন কম্যুনিটির সকল সমস্যার গভীরে যেতে পারেন এবং তার সমাধানের উপায়ও উপস্থাপনে সক্ষম। তাঁর মাধ্যমেই আমি বাংলাদেশী আমেরিকানদের সান্নিধ্যে আসতে সক্ষম হয়েছি। এটাই বিশেষ একটি গুণ মোর্শেদ আলমের মত নিষ্ঠাবান সংগঠকদের। আমি তাঁকে অভিবাদন জানাচ্ছি এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
মোর্শেদ আলমের জন্মদিন ছিল ১ জুলাই। সে উপলক্ষে তাঁর রাজনীতি-সমাজকর্ম-আর্তপীড়িতদের পাশে দাঁড়ানোর ৩০ বছর স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মোর্শেদ আলমের প্রতিষ্ঠিত ‘নিউ আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ক্লাব’। এর নেপথ্য কর্মীগণের অন্যতম ছিলেন আহনাফ আলম, আনোয়ার হোসেন, হোসনে আরা, রীনা সাহা, রুবাইয়া রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মোর্শেদ আলমের কর্মকান্ডের প্রশংসা করে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান ডেভিড ওয়েপ্রিন প্রমুখ বক্তব্য রাখার পাশাপাশি স্টেট পার্লামেন্টের স্বীকৃতিপত্র হস্তান্তর করেন বিপুল করতালির মধ্যে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু এ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন অসীম সাহা। শুভেচ্ছার মাঝে গান আর নাচ অনুষ্ঠানের বৈচিত্র বাড়ায়। মোর্শেদ আলমের রাজনৈতিক জীবনের আলোকপাত করে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সউদ চৌধুরী, শ্রমিক নেতা মাফ মিসবাহউদ্দিন, বাংলাদেশ সোসাইটির কর্মকর্তা আব্দুর রহিম হাওলাদার, শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তা মনিকা চৌধুরী, ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার মার্থা টেইলর প্রমুখ। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিপুলসংখ্যক প্রবাসীর অংশগ্রহণে এ অনুষ্ঠানে ছিলেন কুইন্স এ্যাসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট ২৪ থেকে ডেমক্র্যাট-দলীয় প্রাইমারিতে বিজয়ী জুডিশিয়াল ডেলিগেট নূসরাত আলম, জুডিশিয়াল ডেলিগেট জ্যামি কাজী, জুডিশিয়াল ডেলিগেট মাহতাব খান, স্টেট কমিটিওম্যান জামিলা উদ্দিন প্রমুখ।
সমাজকর্মের ৩০ বছর এবং ৬৫ তম জনদিনের কেক কাটার সময় অতিথিগণ ছাড়াও মোর্শেদ আলমের পাশে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, বাংলাদেশী আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ফ্রন্টের প্রেসিডেন্ট খোরশেদ খন্দকার, কম্যুনিটি এ্যাক্টিভিস্ট রীনা সাহা, ডেমক্র্যাটিক পার্টির তৃণমূলের অন্যতম সংগঠক মাজেদা এ উদ্দিন, বাংলাদেশের ডেমক্র্যাটিক ল’ইয়ারস এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ আখতারুল ইসলাম, মূলধারার রাজনীতিক মুজিবুর রহমান, ফখরুল আলম, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি প্রার্থী কাজী নয়ন, সেক্রেটারি প্রার্থী মোহাম্মদ আলী, শহীদ সন্তান ফাহিম রেজা নূর প্রমুখ।
Posted ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh