বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।গত ৮ আগস্ট সোমবার বিকালে সোসাইটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুনঃতফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি। আদালতের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উঠে নির্বাচন করতে আপাতত আর কোনো বাধা নেই বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় । নির্বাচন আয়োজনে বিভিন্ন মহলের চাপ রয়েছে। এজন্য নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে যে অর্থ রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। এজন্য আরো ৪৭ হাজার ডলারের প্রয়োজন। কার্যকরী কমিটির কাছে এই অর্থ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পুনঃতফসিলে নতুন তারিখ ছাড়া পূর্বের তফসিলের সবকিছু বলবৎ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মোহম্মদ এ. হাকিম মিয়া, মোহম্মদ আনোয়ার হোসেন, কাওসারুজ্জামন (কয়েস) এবং রুহুল আমিন সরকার। ঘোষিত পুনঃতফসিল অনুযায়ী ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে কুইন্সে উডসাইডের গুলশান টেরেস এবং জ্যামাইকার ইকরা পার্টি সেন্টার, ওজোনপার্কে দেশি সিনিয়র সেন্টার, ব্রুকলিনে কনি আইল্যান্ডের পাঞ্জাব রেস্টুরেন্ট পার্টি হল এবং ব্রঙ্কসে গোল্ডেন প্যালেস।
সংবাদ সম্মেলনে জামাল আহমেদ জনি কমিশনের পক্ষ থেকে রব-রুহুল ও নয়ন-আলী পরিষদসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকলকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ভোটারদের সর্বাত্নক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৪৭ হাজার ডলার চেয়ে কার্যকরী কমিটির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামাল আহমেদ জনি বলেন, আগের দুটি নির্বাচনের প্রস্তুতিতে প্রায় দুই লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে। তবে সর্বশেষ প্রস্তুতি থেকে কিছু অর্থ সাশ্রয় হবে। সেই অর্থের সঙ্গে আরো ৪৭ হাজার ডলারের প্রয়োজন হবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। নির্বাচন শেষ না হলে পরিপূর্ণ হিসাব দেওয়া সম্ভব নয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম. আজিজ বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে ৪৭ হাজার ডলার চাওয়া হয়েছে। তবে তারা কোনো বাজেট দেয়নি। এমনকী বিগত বাতিল হওয়া দুটি নির্বাচনের ব্যয়ের হিসাব দেয়নি। হিসাব না দিলে নতুন অর্থ বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সোসাইটির অর্থ সদস্যদের। অতএব, চাইলেই অর্থ দেওয়া যাবে না।