শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ | ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

বিজয়ে বিজয়ীদের ইসলামী আচরণ

জাফর আহমাদ :   |   বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪

বিজয়ে বিজয়ীদের ইসলামী আচরণ

পৃথিবীর বুকে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে। প্রত্যেক জাতির ইতিহাসে জয়-পরাজয়ও রয়েছে। প্রত্যেকের বিজয় উৎসব পালনে রয়েছে ভিন্নতা। মুসলমানদের ইতিহাসেও রয়েছে বিজয়ের অনেক ইতিহাস। কিন্ত তাঁদের বিজয় নানা দিক থেকে অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠী থেকে আলাদা। চিন্তা, চেতনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মনীতি ও কর্ম পন্থার দিক থেকে এ বিজয় ছিল ভারসাম্য নীতির উপর সুপ্রতিষ্ঠিত। পৃথিবীর ইতিহাসে যদি আমরা চোখ বুলাই তাহলে বিভিন্ন জাতির বিজয় ও বিজয় পরবর্তি নানা ধরনের আচরণ আমরা দেখতে পাবো। আল কুরআনের বর্ণনা ও রাসুলুল্লাহ সা: এর সুন্নাহ থেকে আমরা মুসলমান ও অন্যান্য জাতির বিজয় ও বিজয় পরবর্তি আচরনের ভিন্নতা দেখতে পাই।

অন্যান্য জাতির বিজয় সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন,“রাণী বললো, কোন বাদশা যখন কোন দেশে ঢুকে পড়ে তখন সেখানে বিপর্যয় সৃষ্টি করে এবং সেখানকার সম্মানিত লোকদের বা মর্যাদাশীলদের লাঞ্ছিত করে। এ রকম কাজ করাই তাদের রীতি।”(সুরা নমল:৩৪) অর্থাৎ অন্যান্য জাতির বিজযের উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ বা বাস্তব চিত্র রাণীর (হযরত সুলাইমান আ: যে রাণীকে পত্র দিয়েছিলেন সম্ভবত রাণী বিলকিস হবে) মুখ দিয়ে বের করিয়েছেন। সত্যিকারার্থে রাজ-রাজারা দেশ জয় এবং বিজেতা কর্তৃক অন্য জাতির ওপর হস্তক্ষেপ বা কর্তৃত্ব কখনো সংশোধন ও মঙ্গলাকাংখার উদ্দেশ্যে হয় না।

এর উদ্দেশ্য হয়, অন্য জাতিকে আল্লাহ যে রিযিক এবং উপায়-উপকরণ দিয়েছেন তা থেকে নিজেরা লাভবান হওয়া এবং সংশ্লিষ্ট জাতিকে এতোটা দাবিয়ে দেয়া যার ফলে সে আর কখনো মাথা উঁচু করে নিজের অংশটুকু চাইতে না পারে।এ উদ্দেশ্যে সে তার সমৃদ্ধি, শক্তি ও মর্যাদার যাবতীয় উপায়-উপকরণ খতম করে দেয়। তারা যেসব লোকের মধ্যে আত্ম-মর্যাদাবোধের লেশমাত্র সঞ্জীবিত থাকে তাদেরকে দলিত মথিত করে। তারা লোকদের মধ্যে তোষামোদ প্রিয়তা পরস্পরের মধ্যে হানাহানি, কাটাকাটি, একে অন্যের গোয়েন্দাগীরি করা, বিজয়ী শক্তির অন্ধ অনুকরণ করা, নিজের সভ্যতা-সংস্কৃতিকে হেয় মনে করা, হানাদারদের সভ্যতা-সংস্কৃতিকে গোলামী দান করা এবং এমনিতর অন্যান্য নীচ ও ঘৃণিত গুণাবলী সৃষ্টি করে দেয়। এ সংগে তাদেরকে এমন স্বভাবের অধিকারী করে তোলে যার ফলে তারা নিজেদের পবিত্রতম জিনিসও বিক্রি করে দিতে ইতস্তত করে না এবং পারিশ্রমিকের বিনিময়ে যাবতীয় ঘুণিত কাজ করে দিতেও প্রস্তুত হয়ে যায়।

পক্ষান্তরে আল কুরআন অন্য এক জাতির বিজয়ের ভিন্ন রূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “এরা এমন সব লোক যাদেরকে আমি যদি পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দান করি তাহলে এরা সালাত কায়েম করবে, যাকাত দেবে, ভালো কাজের আদেশ দিবে এবং খারাপ কাজ নিষেধ করবে। আর সমস্ত পরিণাম আল্লাহ হাতে।”(সুরা হজ্জ:৪১) অর্থাৎ মুসলমানদের গুণাবলী হচ্ছে এই যে, যদি দুনিয়ায় তাদেরকে রাষ্ট্র ও শাসন ক্ষমতা দান করা হয় তাহলে তারা ব্যক্তিগত জীবনে ফাসেকী, দুস্কৃতি, অহংকার ও আত্মম্ভরিতার শিকার হবার পরিবর্তে সালাত কায়েম করবে। তাদের ধন-সম্পদ বিলাসিতা ও প্রবৃত্তি পূজার পরিবর্তে যাকাত দানে ব্যায়িত হবে। তাদের রাষ্ট্রযন্ত্র সৎকাজকে দাবিয়ে দেবার পরিবর্তে তাকে বিকশিত ও সম্প্রসারিত করার দায়িত্ব সম্পন্ন করবে। তাদের শক্তি অসৎকাজকে ছড়াবার পরিবর্তে দমন করার কাঝে ব্যবহৃত হবে।

আমরা রাসুলুল্লাহ সা: এর বিজয় ইতিহাস থেকেও বিজয়ের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং বিজয় পরবর্তি বিজয়ীদের আচার-আচরণের পূর্ণাঙ্গ চিত্র দেখতে পাই। মক্কা বিজিত হলো। প্রিয় জন্মভূমি মক্কার হারেম শরীফে দাঁড়িয়ে আছেন মজলুম মানবতার মজলুম নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেখান থেকে তিনি বিতাড়িত হয়েছিলেন, যেখানে তাঁকে গালি দেয়া হয়েছিল, যেখানে তাঁর ওপর নাপাক বস্তু নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যেখানে তাঁকে বহুবার নিন্দনীয় হত্যার প্রস্তাব গৃহিত হয়েছিল, যেখানে তাঁর ওপর প্রস্তর নিক্ষেপ করা হতো, চলার পথে কাঁটা বিছানো হতো, যারা তাঁর বিরুদ্ধে তরবারি উত্তোলন করেছিল, তাঁর আত্মীয়ের বক্ষ বিদীর্ণ করে হৃদপিণ্ড ও নাড়ীভূঁড়ি কেটে টুকরা টুকরা করেছিল, যেখানে অসহায় দরিদ্র মুসলমানদের তপ্ত বালিকায় শুইয়ে দিয়ে পাথর চাপা দিতো, জলন্ত কয়লা দিয়ে তাঁদের অঙ্গে দাগ দিতো, বর্শাঘাতে তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন করতো। এসব অপরাধীদের দল সেদিন পরাজিত ও পর্যদুস্ত অবস্থায় সামনে দাঁড়িয়েছিল। পেছনে দশ হাজার রক্তপিপাসু তরবারী কেবলমাত্র মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি ইঙ্গিতের অপেক্ষায় ছিল। অকস্মাৎ তিনি মুখ খুললেন এবং জিজ্ঞেস করলেন:‘হে কুরাইশগণ! বলো, আজ তোমাদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত। জবাব এলো ‘মুহাম্মদ! তুমি আমাদের শরীফ ভাই ও শরীফ ভাতিজা।’ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: আজ আমি তোমাদেরকে তাই বলছি যা হযরত ইউসুফ আ: তাঁর জালিম ভাইদেরকে বলেছিল। অর্থাৎ ‘আজকের দিনে তোমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নাই।’ যাও, ‘তোমরা সবাই আজ মুক্ত।’

আবু সুফিয়ান মক্কা বিজয়ের আগ পর্যন্ত যার অপরাধের কোন সীমা ছিল না। বদর, উহুদ ও খন্দক প্রভৃতি যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিপরীতে কাফের সেনাদলের সর্দার ছিল। যে ব্যক্তি হাজার হাজার মুসলমানের জীবন নাশের কারণ। যে কয়েকবারই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। যে ব্যক্তি পদে পদে ইসলামের ঘোরতর শত্রু প্রমাণিত হয়েছিল। কিন্তু মক্কা বিজয়ের পূর্বে যখন হযরত আব্বাস রা: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে তাকে হাজির করলেন, তখন তাঁর প্রতিটি অপরাধ মুত্যুদণ্ডের দাবী করছিল, তবুও করুণার মূর্তপ্রতীক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু সুফিয়ানকে বললেন:‘ভয়ে করোনা, মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিশোধ গ্রহণের অনেক উর্ধে।’ তিনি তাঁকে শুধু ক্ষমাই করলেন না, বরং এও ঘোষনা দিলেন,‘যে  ব্যক্তি আবু সুফিয়ানের ঘরে প্রবেশ করবে সেও নিরাপত্তা লাভ করবে।’

হিন্দা জাহিলিয়াতে উগ্র, বিকৃত ও চরম হিংশ্র মানসিকতার এক মহিলার নাম। আবু সুফিয়ানের স্ত্রী। উহুদে যিনি তার বান্ধবীদের নিয়ে রণোন্মদনার গান গেয়ে কুরাইশ সেনাদের মনোবল বৃদ্ধি করেছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন প্রিয়তম চাচা ও ইসলামের বীর যোদ্ধা হযরত হামযার রা: লাশের সঙ্গে চরম বেআদবী করেছিল এই মহিলা। সাইয়েদুশ শুহাদার নাক কান কেটে হার বানিয়েছিল এবং বুক চিরে কলিজা বের করে দাঁত দিয়ে চিবোতে চাচ্ছিল। যুদ্ধ শেষে এ দৃশ্য দেখে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। মক্কা বিজয়ের দিন সেও ঘোমটায় মুখ ঢেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে হাজির হলো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবারের জন্যও জিজ্ঞেস করলেন না তুমি এমনটি করলে কেন? এই সার্বজনীন ক্ষমার অদ্ভূত দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে সে চিৎকার করে বলে উঠল: হে মুহাম্মদ! আজকের আগে আমার নিকট তোমার খিমার চাইতে অন্য কারো খিমা অধিক ঘৃণ্য ছিল না, কিন্তু আজ তোমার খিমার চাইতে প্রিয় খিমা অন্য কারো খিমা নয়।’

ইসলাম, মুসলমান ও স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বড় শত্রু ও অত্যধিক কষ্টদানকারী আবু জেহেলের পুত্র হচ্ছেন ইকরামা রা:। তিনিও ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। মক্কা বিজয়ের সময় নিজের কৃত অপরাধের কথা স্বরণ করে ইয়েমেনে পালিয়ে যান। তাঁর স্ত্রী ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ইয়েমেনে গিয়ে ইকরামাকে অভয় দান করেন এবং সাথে করে মদীনায় নিয়ে আসেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর আগমনের খবর পেয়ে তাঁকে সংম্বর্ধনা জানাবার জন্য দ্রুত উঠে দাঁড়ালেন যে, তাঁর পবিত্র দেহে চাঁদরও রইল না। অতপর আনন্দের আতিশায্যে বললেন,‘হে হিজরতকারী সওয়ার! তোমার আগমন মুবারক হোক।’ কাকে এই সংম্বর্ধনা? কার আগমনে এই আনন্দ? আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন, যার পিতা মক্কায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সবচেয়ে বেশী কষ্ট দিয়েছেন, তাঁর পবিত্র শরিরে ময়লা নিক্ষেপ করেছেন, নামাযরত অবস্থায় তাঁর ওপর হামলা করতে চেয়েছিল, তাঁর গলায় চাদর বেঁধে ফাঁসি দিতে চেয়েছিল, তাঁকে হত্যার পরিকল্পনার মূলমন্ত্র পেশ করেছিল। আর আজ তারই পুত্রের আগমনে এ আনন্দ মুবারকবাদ!

হেবার ইবনুল আসওয়াদ একদিকে রাসুল-দুহিতা হযরত যয়নব রা: এর হত্যাকারী ছাড়াও ইসলামের আারো বহু ক্ষতি করেছে। মক্কাবিজয়ের সময় তার রক্ত হালাল ঘোষনা হলে সে ইরানে পালিয়ে যেতে চাচ্ছিল। কিন্তু পরে কি চিন্তা করে সোজা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে হাজির হলো এবং বলল: হে আল্লাহর রাসুল! আমি ধৈর্যের কথা স্মরণ করে ফিরে এলাম। আমার অপরাধের যে সব বর্ণনা আপনি শুনেছেন তা সত্য। একটুকু শুনতেই তাঁর রহমতের দুয়ার খুলে গেল এবং তিনি মাফ করে দিলেন।

উমার ইবনে ওহাব বদর যুদ্ধের পর জনৈক কুরাইশ সর্দারের ষড়যন্ত্রে নিজের তরবারিতে বিষ মাখিয়ে মদীনায় প্রবেশ করলো এবং সুযোগ মতো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হত্যা করার অপেক্ষায় রইল। এই সময়ে হঠাৎ একদিন সে গ্রেফতার হয়ে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে হাজির করা হলো এবং তার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও তিনি তাকে মুক্তিদান করলেন।

মক্কা বিজয়ের পর এ ধরনের আরো বহু ক্ষমার দৃষ্টান্ত রাসুলুল্লাহ সা:এর রয়েছে। আমাদের মুসলিম নেতৃত্বকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহকে অনুসরণ করার অনুরোধ করবো।

বিজয়ে করণীয় সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,“তখন তুমি তোমার রবের প্রশংসা সহকারে তাঁর তাসবীহ পড়ো এবং তাঁর কাছে মাগফিরাত চাও।” (সুরা নাসর:৩) আয়াতাংশে যখন বিজয় আসে তখন বেশী বেশী আল্লাহর প্রশংসা ও ইসতেগফার এর কথা বলা হয়েছে। হামদ মানে মহান আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করা এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করাও। আর তাসবীহ মানে আল্লাহকে পাক-পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন এবং দোষ-ত্রুটিমুক্ত গণ্য করা। এখানে হামদ বলে এ কথা বুঝানো হয়েছে যে, এ মহান ও বিরাট সাফল্য সম্পর্কে তোমাদের মনে যেন কোন সময় বিন্দুমাত্র এ ধারণা না জন্মায় যে, এসব আমাদের নিজেদেও কৃতিত্বের ফল। বরং একে পুরোপুরি ও সরাসরি মহান আল্লাহর অনুগ্রহ ও মেহেরবানী মনে করবে। এ জন্যে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। মনে ও মুখে এ কথা স্বীকার করবে যে, এ সাফল্যের জন্য সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য।

আর তাসবীহ মানে হচ্ছে, বিজয় ও সাফল্য আমাদের প্রচেষ্টা ও সাধনার ওপর নির্ভরশীল ছিল এ ধরনের ধারণা থেকে আল্লাহ পাক ও মুক্ত গণ্য করবে। বিপরীত পক্ষে আমাদের মন এ দৃঢ় বিশ^াসে পরিপূর্ণ থাকবে যে, আমাদের প্রচেষ্টা ও সাধনার সাফল্য আল্লাহর সাহায্য ও সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এছাড়া সুবহানাল্লাহ পড়ার মধ্যে একটি বিস্ময়কর একটি দিক রয়েছে। কোন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটলে মানুষ সুবহানাল্লাহ বলে। এর অর্থ হয়, আল্লাহর অসীম কুদরতে এহেন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে। নয়তো এমন বিস্ময়কর ঘটনা ঘটাবার ক্ষমতা দুনিয়ার কোন শক্তির ছিল না।

Posted ১২:২১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রমজান ও জাকাত
রমজান ও জাকাত

(794 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

86-47 164th Street, Suite#BH
Jamaica, New York 11432

Tel: 917-304-3912, 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.