এইচ. এম. মুশফিকুর রহমান | বৃহস্পতিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২০
সালাম আরবি শব্দ, এর অর্থ হচ্ছে শান্তি, প্রশান্তি, কল্যাণ, দু‘আ ও শুভকামনা। সালাম হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলিমদের জন্য অভিনন্দন ও দু‘আ করার পদ্ধতি। সালাম একটি সুন্নত আমল। একটি শান্তির বার্তা। প্রতিদিনের সম্বোধন। প্রতিক্ষণের সম্প্রীতি। মুমিন মানেই সালামের আমল করে। ইসলামের যতগুলো সুন্দর দিক আছে, যতগুলো সৌন্দর্য ইসলামকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে, তার অন্যতম একটি হল সালাম।
সালাম জান্নাত লাভের অতি উন্নত ও অন্যতম একটি আমল। সালাম শব্দের মধ্যে আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি নিহিত রয়েছে। কেননা সালাম শব্দের ব্যবহার স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলা নিজেই তাঁর চিরন্তন ও শ্বাশত বাণী কুরআনে পাকের মাঝে করেছেন। আল্লাহ পাকের ব্যবহৃত শব্দের ব্যবহার করলে তার রহমত নাজিল হয়। সালামদাতা ও গ্রহিতা উভয়ের মাঝে সৃষ্টি হয় মধুর সম্পর্ক। একটি শান্তিময় ও সুন্দর সমাজ গঠনের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে কারো সঙ্গে দেখা হলেই তাকে মনে করে দেওয়া আমরা শান্তিপ্রিয়-শান্তিকামী। তাই নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্বাসীদের পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাৎ, লেনদেন, কথাবার্তার শুরুতে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বাক্যটি শিখিয়েছেন। আসসালামু আলাইকুম অর্থাৎ ‘আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক’। সালামের মাধ্যমে পরস্পরের জন্য শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। কোনো মুসলমান ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে কথা বলার আগে সালাম দেওয়া নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ। আর এর উত্তর দেওয়া ওয়াজিব তথা অবশ্য করণীয়।
আল্লাহর নাম সালাম
আল্লাহ তা‘আলার নামগুলো অনেক সুন্দর। তাঁর গুণগুলো অনেক উন্নত। সব নিদর্শনই এর সাক্ষ্য দেয়। আল্লাহ তা‘আলার সব গুণাগুণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি নাম হচ্ছে ‘সালাম’। যার অর্থ নিরাপদ ও মুক্ত। অর্থাৎ তিনি সব দোষমুক্ত। তাঁর বড়ত্বের সঙ্গে যায় না এমন সব কিছুর ঊর্ধ্বে তিনি। তাঁর নাম, কাজ ও গুণাগুণ সব অপবাদ ও ত্রুটিমুক্ত। তাঁর জন্য যত গুণবাচক শব্দ প্রয়োগ করা হয় তন্মধ্যে এ নামটি অধিক উপযুক্ত।
আস-সালাম : আল্লাহ নিরাপত্তা বিধায়ক। আল্লাহ একমাত্র শান্তিদাতা, শান্তি তাঁর পক্ষ থেকেই আসে। আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করার মধ্যেই বান্দার শান্তি নিহিত। তাঁর তাওফীক ছাড়া কারো মুক্তি মিলতে পারে না। নিশ্চয় তিনি সকল দোষত্রুটি থেকে মুক্ত। তিনিই সৃষ্টজীবকে যাবতীয় বিপদ ও ক্ষতি থেকে রক্ষাকারী। কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে, ‘সালাম’ আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম। [সূরা হাশর : ২৪]
সালামের সূচনাকাল
আল্লাহ তা‘আলা প্রথমে আদি মানব হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সালাম শিক্ষা দেন। হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তা‘আলা হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করে বলেন, যাও ফেরেশতাদের সালাম দাও এবং তারা তোমার সালামের কী উত্তর দেয়, মন দিয়ে শোনো। এটিই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালাম। সে অনুযায়ী হযরত আদম আলাইহিস সালাম গিয়ে ফেরেশতাদের বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম’, অর্থ আপনাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।’ ফেরেশতারা উত্তরে বলেন, ‘আসলামু আলাইকা ওয়া রহমাতুল্লাহ’, অর্থ ‘আপনার ওপর শান্তি এবং আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক।’’ [ সহীহুল বুখারী ৩৩২৬, ৬২২৭, মুসলিম ২৮৪১, আহমাদ ৮০৯২, ১০৫৩০, ২৭৩৮৮]
উল্লিখিত হাদীস থেকে নিশ্চিতভাবে বুঝা যায় যে, পারস্পরিক সম্ভাষণে সালামের প্রচলন নতুন কিছু নয়। এটি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এই পৃথিবীর সকল মানুষের আদি পিতা আদম আলাইহিস সালামের মাধ্যমে জান্নাত থেকেই শুরু হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা বিভিন্ন নবীকে সালাম পাঠিয়েছেন
আল্লাহ পাক উভয় জগতেই আপন বান্দাদের জন্য শান্তি নির্ধারণ করেছেন।
“ইবরাহীমের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।” [সূরা আস-সাফফাত : ১০৯]
“মূসা এবং হারুনের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।” [সূরা আস-সাফফাত : ১২০]
“প্রেরিত রাসূলদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।” [সূরা আস-সাফফাত : ১৮১]
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি সালাম
কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতাগণ নবীর প্রতি সালাত-দরূদ পেশ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত পেশ করো এবং তাঁকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।” [সূরা আহযাব : ৫৬]
মিরাজে আল্লাহ তা‘আলা ও রাসূল সা. এর মাঝে সালাম বিনিময়
হযরত খাদিজা রাদিআল্লাহু আনহা ইন্তেকাল করেছেন। দিনে দিনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি কোরাইশদের অত্যাচারের মাত্রাও বেড়ে গেছে। এমন অবস্থায় আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন রজব মাসের এক মহিমাম্বিত রজনীতে তার প্রিয় বন্ধুকে হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে তার সান্ধিধ্যে ডেকে নিলেন, যা ইতিহাসে মে’রাজ নামে পরিচিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল্লাহ হয়ে বায়তুল মোকাদ্দাস, অতঃপর উর্দ্ধজগতের সফর শুরু করলেন। বোরাক নামক বেহেশতি বাহনে চড়ে প্রথম আসমান, দ্বিতীয় আসমান, তৃতীয় আসমান করে অতঃপর সিদরাতুল মুনতাহায় পৌঁছলেন।
এ পর্যন্ত হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথী ছিলেন। সিদরাতুল মুনতাহাতে গিয়ে হযরত জিব্রাইল (আঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এর কাছ থেকে বিদায় নিলেন। আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন তার বন্ধুর জন্য বোরাকের থেকেও গতি সম্পন্ন বাহন ‘রফরফ’ পাঠিয়ে দিলেন। এ বাহনে চড়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূরের সত্তর হাজার পর্দা অতিক্রম করে মহান রবের দরবারে গিয়ে পৌঁছলেন। আল্লাহর হাবীব জনাবে মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আল্লাহর খুবই নিকটবর্তী হলেন, এমনকি তাদের মাঝে একটি রশি বা একটি ধনুকের সমান জায়গার ব্যাবধান ছিলো তখন-শ্রেষ্ঠ তোহফা হিসেবে পড়লেন. “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াসসালাওয়াতু ওয়াত্তয়্যিবাত” “সকল মর্যাদাব্যঞ্জক ও সম্মানজনক সম্বোধন আল্লাহর জন্য। সমস্ত শান্তি, কল্যাণ ও প্রাচুর্যের মালিক একমাত্র আল্লাহ। সব প্রকার পবিত্রতার মালিকও তিনি।” এক কথায় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আর্থিক, শারিরীক ও মৌখিক সব ধরনের ইবাদাত একমাত্র আল্লাহর জন্য তোহফা হিসেবে পেশ করলেন। অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনটি জিনিষ দিলেন এভাবে- “আসসালামু আ’লাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লহি ওয়াবারাকাতুহু” হে নবী! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত বর্ষিত হোক। উম্মতের কাণ্ডারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন মিলন মুহূর্তেও তার উম্মতকে ভুলেন নাই।
আল্লাহর অনুগ্রহ তার উম্মতের জন্যও চেয়ে নিলেন এভাবে- “আসসালামু আ’লাইনা ওআ’লা- ই’বাদিল্লাহিস সলিহীন” আমাদের প্রতি এবং আল্লাহর সকল নেক বান্দাহদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ এবং তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এমন মধুর আলোচনা শুনে আরশবাহী- সকল ফেরেশাতাগণ সমস্বরে একত্রে বলে উঠলেন- “আশহাদু আন লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াশহাদু আন্না মোহাম্মাদান আ’বদুহু ওয়ারাসুলুহু” আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দাহ এবং রাসূল। আল্লাহ পাক রাব্বুল আ’লামিন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং ফেরেশতাদের এমন সম্মিলিত কথোপকথনই হয়ে গেলো তাশাহহুদ।
নামাজে তাশাহহুদ পাঠ
মে’রাজের রজনীতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোহফা হিসেবে পাওয়া পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজসহ প্রত্যেক নামাজের দুই রাকাত বা চার রাকা’তের বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া ওয়াজিব।
ওমর রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, “তাশাহ্হুদ ছাড়া কোন নামাজই যথেষ্ট হয় না।” [মোসান্নাফ আবদুর রাযযাক, ২য় খণ্ড, ২০৬ পৃ., সুনামে সায়ীদ ইবনে মনসুর, তারীখে বুখারী, আল আসয়েলাহ, ১ম খণ্ড, ১৬৬ পৃ.]
আবদুল্লাহ ইবন মাস’উদ রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, ‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত তাঁর উভয় হাতের মধ্যে নিয়ে আমাকে তাশাহুদ শিক্ষা দিয়েছেন, যেভাবে তিনি আমাকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন।’’ [মুসলিম : ৪০২, আহমাদ ৭০৯, ৭১০, ৭১২]
ইবন আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যেভাবে কুরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন, ঠিক সেইভাবে আমাদেরকে তাশাহুদ শিক্ষা দিতেন।’’ [মুসলিম : ৪০৩]
উল্লেখ, তাশাহহুদে সালাম বিদ্যমান আছে।
নামাজে সালাম
হযরত সা’দ রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ডান দিকে এবং বাম দিকে সালাম ফিরানো দেখতে ছিলাম, এমনকি আমি রাসূলুল্লাহর গাল মুবারকের সাদা দেখেছি। অর্থাৎ তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমনভাবে সালাম ফিরাতেন যে, পিছন থেকে তাঁর গাল মুবারকের সাদা রং দেখা যেতো)। [মুসলিম শরিফ ১খণ্ড,পৃষ্ঠা : ২১৬]
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ডানে বামে” আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলে সালাম ফিরাতেন। [তিরমিজি শরিফ,পৃষ্ঠা ৬৯]
যদি কোনো ব্যক্তি “সালাম”শব্দ বলা ছাড়া নামাজ হতে উঠে চলে যায়। তাহলে নামাজ দ্বিতীয়বার পড়া ওয়াজিব। তা না হলে গুনাহগার হবে। কেননা, “আসসালামু আলাইকুম” বলে নামাজ হতে বের হওয়া ওয়াজিব। আর ওয়াজিব ছেড়ে দিলে পুনরায় নামাজ পড়া ওয়াজিব।
জানাযা নামাজে সালাম
জানাযা একটি বিশেষ প্রার্থনা বা দু‘আ যা কোনো মৃত মুসলমানকে কবর দেওয়ার পূর্বে অনুষ্ঠিত হয়। সচরাচর এটি জানাযার নামাজ নামে অভিহিত হয়। মুসলমান অর্থাৎ ইসলাম ধর্মামলম্বীদের জন্য এটি ফরযে কেফায়া।
জানাযার নামাজ একজন ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে বা দলবদ্ধভাবে অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা বেজোড় সংখ্যক কাতারে বা সারিতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে এ নামাজ আদায় করেন। এটি ৪ তকবিরের নামাজ। দাঁড়িয়ে এ নামাজ আদায় করতে হয় এবং সালাম ফেরানোর মধ্য দিয়ে এ নামাজ শেষ হয়।
কবর যিয়ারতে সালাম
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই দু‘আ পড়তেন- “আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুরি; ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আসার” অর্থ : হে কবরবাসী! তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের ক্ষমা করুন, তোমরা আমাদের আগে কবরে গিয়েছ এবং আমরা পরে আসছি।”
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম মদিনার কবরবাসীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই দু‘আ পাঠ করেন। [সুনানে তিরমিজি : ১০৫৩]
সালাম ভালোবাসা ও সম্প্রীতির মাধ্যম
হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা ঈমান না আনা পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর তোমাদের ঈমান ততক্ষণ পূর্ণ হবে না, যতক্ষণ না তোমরা একে অন্যকে ভালোবাস। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি আমলের কথা বলব, যখন তোমরা তা করবে, তখন একে অন্যকে ভালোবাসবে। তোমরা তোমাদের মাঝে সালামের প্রচলন ঘটাও।’’ [সহীহ মুসলিম : ৫৪] (বাকি অংশ আগামী সংখ্যায়)
Posted ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh