স্পোর্টস ডেস্ক | সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৪
আবার অনেকেই জানতেন না, অভিনেত্রী সানা জাভেদেরও তাঁর স্বামী উমাইর জসওয়ালের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ হয়েছে। তাই শোয়েবের তৃতীয় বিয়ে বেশ ভালোই আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আজ সানিয়া মির্জার পরিবার তাঁর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, কয়েক মাস আগেই দুজনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে এবং শোয়েবকে নতুন যাত্রার জন্য শুভকামনাও জানিয়েছে।
অবশ্য তার আগেই পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কেন এই বিচ্ছেদ, তা নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, শোয়েবের বিয়ে বহির্ভূত নানা সম্পর্কে বিরক্ত হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সানিয়া।
বলা হচ্ছে, শোয়েবের আচরণে তাঁর নিজের পরিবারও বিরক্ত। তাঁর তৃতীয় বিয়েতে কাছের লোক বা আত্মীয়রা কেউ ছিলেন না। মালিকের বোনরাও খুবই বিরক্ত তাঁর আচরণে।
এক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ‘সানা জাভেদের সঙ্গে শোয়েব মালিকের বিয়েতে তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না। সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘটনায় অনেক বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মালিকের বোনেরা। বলা হচ্ছে মালিকের অন্য নারীতে আসক্তিতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন সানিয়া।’
এ নিয়ে সানিয়া বা শোয়েব প্রকাশ্যে কখনো কিছু বলেননি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝে মাঝেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিতেন সানিয়া। মাসের শুরুতেই এক পোস্টে বলেছিলেন, ‘মনে অশান্তি সৃষ্টি করলে তাকে ছেড়ে দাও। ’
গত বুধবার ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে লিখেছিলেন, ‘বিয়ে কঠিন। বিবাহবিচ্ছেদও কঠিন। নিজের কঠিনটা বেছে নিন। মোটা হওয়া কঠিন। ফিট থাকাও কঠিন। কোনটি হবেন বেছে নিন। ধারে থাকা কঠিন। মিতব্যয়ী হওয়াটাও কঠিন। কোন কঠিনটা পছন্দ, বেছে নিন। জীবন কখনো সহজ হবে না। এটা সবসময় কঠিন থাকবে। কিন্তু আমরা আমাদের কঠিনটা বেছে নিতে পারি। বুঝে শুনে বেছে নিতে পারি।’
এরপর ইনস্টাগ্রাম থেকে শোয়েব মালিকের সঙ্গে সব ছবি মুছে দিয়েছিলেন সানিয়া। এরপরই এসেছে শোয়েবের বিয়ের খবর। এদিকে পিটিআইকে সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা বলেছেন, ‘এটা খুলা ছিল। আমি এর বেশি আর কিছু বলব না।’
এই মন্তব্যের অর্থ হলো, বিচ্ছেদ শোয়েব নয়, সানিয়া দিয়েছেন। ‘খুলা’ অর্থ, বিয়ের জন্য স্ত্রী আবেদন করেছেন, আর যদি স্বামীর পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের প্রস্তাব উঠত, সেক্ষেত্রে ‘তালাক’ শব্দটি ব্যবহার করা হতো।
Posted ১২:১১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh