নিউইয়র্কে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা ১ অক্টোবর শনিবার শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর বুধবার শেষ হয়েছে । সার্বজনীন শারদীয়া দূর্গাপূজার প্রবাসে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বোধনের মধ্য দিয়ে । নিউইয়র্কের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন স্থায়ী-অস্থায়ী মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয় ২৫টিরও অধিক দূর্গাপূজার অনুষ্ঠান।

প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঢল।সকল পূজা মন্ডপেই ছিল দেশ ও প্রবাসের শিল্পীদের নানা রকম সঙ্গীত পরিবেশনা। তাছাড়া প্রার্থনা করেন সাম্প্রদায়িক শক্তির পতন আর মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্বর কথা।এদিকে নিউইয়র্কে এবারই প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা।

এদিকে জ্যামাইকার সাটফিনে তাজমহল পার্টি হলে দুর্গাপূজার বর্ণাঢ্য আয়োজন করে। ২ অক্টোবর রোববার উৎসবে উপস্থিত হন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস। এসময় তিনি বলেন, নিউইয়র্ক সিটি সবার। এখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। ৩ অক্টোবর সোমবার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি এম এম শাহীন। তিনি দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানান। প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয় পূজা অর্চনা। এতে প্রতিদিন প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পূজার পুরোহিত ছিলেন টিটন আচার্যী।

দুর্গোৎসবের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ বেদান্ত সোসাইটি নিউইয়র্ক ইন্ক-এর সভাপতি পূর্ণ চন্দ্র মুখার্জী এবং সাধারণ সম্পাদক রীনা সাহাসহ কার্যকরী কমিটির কর্মকর্তারা।শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত সংঘ ইউএসএ সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করে জ্যামাইকার হিলসাইড অ্যাভিনিউর ১৬২ স্ট্রিটের শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে। ১ অক্টোবর শনিবার থেকে ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার পর্যন্ত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত দুর্গোৎসবে ছিল অঞ্জলি, সন্ধ্যা আরতি এবং প্রসাদ বিতরণ।

মহাষষ্ঠীতে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক ও নৃত্যানুষ্ঠান, মহাসপ্তমী ও অষ্টমীতে ছিল উলু ও শঙ্খ ধ্বনী প্রতিযোগিতা, স্থানীয় ও ভারতীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান ও বিশেষ নাটক। মহানবমীতে ছিল আরতি প্রতিযোগিতা ও বিশেষ নৃত্যনাট্য এবং বিজয়া দশমীতে ছিল সিঁদুর দান উৎসব ও শুভ বিজয়ার বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান।

দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটিতে ছিলেন আহ্বায়ক সুভাস কুমার সাহা, সমন্বয়কারী রঞ্জিত রায়, অর্থ ব্যবস্থাপক সুরেশ চন্দ্র রায়, পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাত চন্দ্র দাস, যুগ্ম আহ্বায়ক ইন্দ্রজিৎ মজুমদার, পঙ্কজ রায়, সুমন মিত্র, নিতাই পাল, সঞ্জয় কর, জয়শ্রী রায়, অমরেন্দু নাথ দাস, রঞ্জিত বণিক, সুরঞ্জন বণিক, সংগঠনের সভাপতি অজিত চন্দ, সাধারণ সম্পাদক অর্ধেন্দু কিশোর বিশ্বাস এবং কোষাধ্যক্ষ রঞ্জন ভট্টাচার্য।