বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
ভাড়াটিয়া ও বাড়ি মালিকদের সহায়তার জন্য ফেডারেল সরকার ৫০ বিলিয়ন ডলারের জররিী সহায়তা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই অর্থের অংশ পাওয়ার জন্য এখন স্টেট ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতা করেছে। ইতোমধ্যে যারা এই জরুরী তহবিল লাভ করেছে, তারা এখনো ক্ষতিগ্রস্থ ভাড়াটিয়া ও বাড়ি মালিকদের মধ্যে অর্থ বিতরণ শুরু করেনি বলে ওয়াশিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছর থেকে আমেরিকানদের মধ্যে যে ব্যাপক কর্মহীনতা সৃষ্টি হয়েছে, এর ফলে বহু ভাড়াটিয়াদের পক্ষে বাড়ি মালিকের সঙ্গে লিজ চুক্তি অনুসারে ভাড়া পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। অনেকে আংশিক ভাড়া পরিশোধ করেছেন। এ অবস্থা এখনো চলছে। কারণ করোনা সংক্রমণ এখনো বন্ধ হয়নি এবং মানুষের কর্মহীনতার অবসান ঘটেনি। এখনো বহু মানুষ বেকার এবং ফেডারেল সরকারের আর্থিক সহায়তা ও স্টেট আনএমপ্লয়মেন্ট বেনিফিট দিয়ে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করছেন। বাড়ি ভাড়া ঠিকমত পরিশোধ না করার কারণে বাড়ি মালিকরা যাতে ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ না করে সেজন্য স্টেট সরকারগুলো উচ্ছেদ স্থগিতকরণ আদেশ দিয়েছে এবং কয়েকদফা স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করার পর তা আগামী জুন মাস পর্যন্ত বহাল রয়েছে। উচ্ছেদ প্রতিহত করতে ফেডারেল ও স্টেট সরকারগুলোর নজীরবিহীন প্রচেষ্টা সত্বেও ইতোমধ্যে ফেডারেল কোর্টে বাড়ি মালিকদের পক্ষ থেকে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলার রুলিং এ উচ্ছেদের ওপর স্থগিতাদেশকে সমর্থন করা হয়েছে এবং বাকি তিনটি মামলার রুলিং এ উচ্ছেদ বন্ধ করাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ভাড়াটিয়া উচ্ছেদের ওপর স্থগিতাদেশের প্রথম বিরোধিতা শুরু হয় টেক্সাসের বাড়িমালিকদের পক্ষ থেকে। তারা যুক্তি প্রদর্শন করে যে, সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে তাদের এখতিয়ার লংঘন করেছে।
অ্যাপার্টমেন্ট মালিকরা বলেছেন যে, তারা অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করেছেন এবং এগুলো সংস্কার, রক্ষাবেক্ষণ করেন, ব্যাংকের মর্টগেজ পরিশোধ করেন। ভাড়াটিয়ারা যদি ভাড়া পরিশোধ না করেন তাহলে কিভাবে তাদের পক্ষে মর্টগেজ প্রদান বা অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব হবে। কারণ কোনো কর্তৃপক্ষই সুস্পষ্টভাবে বলেনি যে অপরিশোধিত ভাড়া পাওয়ার ব্যাপারে সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ওহাইয়োর ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অফ হোম বিল্ডার্স এর পক্ষ থেকে সিডিসি’র গাইডলাইনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার রুলিং এ বিচারক জে ফিলিপ ক্যালাব্রেসি বলেছেন, কংগ্রেস সিডিসিকে যে বিধিবদ্ধ কর্তৃত্ব প্রদান করেছে, সিডিসির আদেশে সেই এখতিয়ার লংঘিত হয়েছে।
ভাড়াটিয়া ও বাড়ি মালিকদের আর্থিক সহায়তা দান সম্পর্কে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “আমরা এমন ভাবে জরুরী ভাড়া সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা করছি, যেম আগামীকালই উচ্ছেদ স্থগিতাদেশ শেষ হচ্ছে। আসলে সহায়তা দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরুর আগেই সহায়তার অর্থ ভাড়াটেদের হাতে পৌছে। ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ এর ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা নিয়ে প্রথমে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সূচনা হলেও পরবর্তীতে করোনাজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে এটি বাইপার্টিজান সিদ্ধান্তে সমর্থিত হয়। কংগ্রেস সিডিসিকে একটি ফরম তৈরি করার নির্দেশ দেয়, যাতে ভাড়াটিয়ারা ঘোষণা করতে পারে যে মহামারীর কারণে তাদের পক্ষে ভাড়া পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না এবং এ পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে অন্যত্র বাড়ি পাওয়া সম্ভব নয়। ভাড়াটিয়ারা এ ফরম পূরণ করে তাদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া প্রতিহত করতে পারে।
Posted ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh