বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মজুরিবৈষম্য ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার প্রতিবাদে এক ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কাতরিন ইয়াকবস্তোতের। ২৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দেশটিতে কর্মবিরতি পালন করা ১০ হাজার নারীর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রীও। বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় প্রথম সারিতে রয়েছে ইউরোপের এই দেশটি। চলতি বছরও এ তালিকায় তৃতীয় স্থানের মর্যাদা পেয়েছে আইসল্যান্ড। এরপরও স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মতো নারী সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মক্ষেত্রগুলোতে কিছু বৈষম্য রয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এই বৈষম্যের প্রতিবাদে ১৯৭৫ সালের পর প্রথমবারের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন নারী ও এলজিবিটি কমিউনিটির নাগরিকরা। কর্মবিরতি চলাকালে তারা গৃহস্থালির কোনো কাজেও হাত দেবেন না। প্রধানমন্ত্রী কাতরিন ইয়াকবস্তোতের একটি ওয়েবসাইটকে বলেছেন, ‘আমি এই দিনটিতে কাজ করব না। আমি আশা করছি সব নারী তাই করবেন।’ তিনি জানান, অতীত থেকে চলে আসা পুরুষ-প্রধান কর্মক্ষেত্রের তুলনায় নারী-প্রধান ক্ষেত্রগুলোকে কীভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, সেটি খতিয়ে দেখছে তার সরকার।
আইসল্যান্ডিক টিচার্স ইউনিয়নের মতে, শিক্ষাব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে নারী শিক্ষকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের ৯৪ শতাংশই নারী। সেই সঙ্গে আইসল্যান্ডের সবচেয়ে বড় ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মীই নারী। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) হিসাবে ১৪ বছর ধরে লিঙ্গ-সমতার জন্য বিশ্বের সেরা দেশ আইসল্যান্ড। লিঙ্গ-সমতায় ডব্লিউইএফের সূচকে দেশটির স্কোর ৯১ দশমিক ২ শতাংশ। দেশটিতে প্রথম নারীদের এমন ধর্মঘট হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। সে সময় ৯০ শতাংশ নারী কর্মী অর্থনীতিতে তাদের অবদান তুলে ধরতে ধর্মঘটে যান। ফলে পরের বছরই পার্লামেন্টে পাস হয় সম-মজুরি আইন।
Posted ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh