| মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০২৪
সবশেষ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শ্রীলঙ্কা খেলেছিল ২০১৮ সালে। সেবার দুই ম্যাচ সিরিজের দুটিতেই জিতেছিল সফরকারীরা। এছাড়া ঐ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক ইনিংসে রেকর্ড (২১০) রান সংগ্রহ করেছিলেন লঙ্কানরা, পরে জিতেছিলেন ৭৫ রানে। ছয় বছর পর আবারও ঐ মাঠেই তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। আর এ ম্যাচেও লঙ্কানরা করেছেন রেকর্ড সংগ্রহ। তবে বাংলাদেশ যেন চোখে চোখ রেখেই লড়াই করেছে। তবে শেষ অবধি ভাগ্য সহায় হয়নি তাদের। নাটকীয় শেষ ওভারে হেরে যায় মাত্র ৩ রানে।
গত সোমবার অনুষ্ঠিত হওয়া এই ম্যাচে টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান টাইগারদের তিন ফরম্যাটের নয়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আগে ব্যাট করতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারে ২০৬ রান সংগ্রহ করেন লঙ্কানরা। যা এই মাঠের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান করতে সক্ষম হয়।
এদিন ইনিংসের প্রথম বলেই শরীফুল ইসলামের বলে স্লিপ দিয়ে ক্যাচ ওঠে তবে কোনো ফিল্ডার না থাকায় তা চার হয়ে যায়। তবে পরের বলেই উইকেট নেন শরিফুল। তার ফুল লেংথের বল ড্রাইভ করতে গেলেও ঠিকঠাক টাইমিং হয়নি আভিশকা ফার্নান্দোর, ক্যাচ যায় লিটনের কাছে। পাওয়ার প্লেতে লঙ্কানরা হারান আরো ১ উইকেট। দলীয় ৩৭ রানে তাসকিনের করা চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন কামিন্দু মেন্ডিস। এতে খানিকটা চাপে পরেন সফরকারীরা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও কুশল মেন্ডিস। গড়েন ৬১ বলে ৯৬ রানের জুটি। যা ১৫তম ওভারে বোলিংয়ে এসে কুশলকে ৫৯ রানে ফিরিয়ে ভাঙেন রিশাদ। এর পর আর কোনো উইকেট যায়নি সফরকারীদের। শেষ অবধি ৪৮ বলে ৬১ রান করে সামারাবিক্রমা ও আসালঙ্কা অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ৪৪ রানে।
পাহাড়সমান রান তাড়া করতে নেমে দলীয় স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই শূন্যহাতে সাজঘরে ফেরেছেন টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস। এর পর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে বিনুরা ফার্নান্দোর বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে আসালাঙ্কার শিকার হন আরেক ওপেনার সৌম্য (১২)।
এর পর ৯ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন সদ্য শেষ হওয়া ব্যাট হাতে বিপিএল মাতানো তাওহিদ হূদয়ও। এ সময় উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অধিনায়ক শান্ত। কিন্তু দলীয় ৬৮ রানে শান্তকে সাজঘরে ফেরান বেবি মালিঙ্কা খ্যাত মাথিশা পাথিরানা। এতে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা প্রায় নিভু নিভু হয়ে যায়। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাটে ঝড় তুলে দলের রানের চাকা দ্রুত গতিতে আগানোর কাজ করেন। মাহমুদউল্লাহ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি তুলে নেন। তবে তাকে তার পরই থামিয়ে দেন থিকশানা। ফেরেন ৫৪ রানে। ম্যাচের বাকি কাজটুকু করেন টাইগারদের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জাকের। তুলে নেন প্রথম ম্যাচেই ২৫ বলে ফিফটি। দলকেও নিয়ে যায় জয়ের খুব কাছ অবধি। একপর্যায়ে ম্যাচের শেষ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১২ রান। বোলিংয়ে শানাকা। আর এই ওভারেই জাকের আলিকে তৃতীয় বলে সাজঘরে ফিরিয়ে নিজেদের জয় নিশ্চিত করেন লঙ্কানরা।
Posted ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh