বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে বিগত চার দশকের মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ মুদ্রাস্ফীতিতে ভোগ্যপন্য, জ্বালানি ও বিভিন্ন সার্ভিসের মূল্যবৃদ্ধি এখনো অব্যাহত আছে। লেবার ডিপার্টমেন্টের কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্সে মূল্যস্ফীতির ওপর পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে যে এক বছর আগে ভোগ্যপন্যের মূল্য ৭.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, তা চলতি বছরের জুন মাসে ৯.১ শতাংশে পৌছে। গত নভেম্বরে এই সূচক কিছুটা হ্রাস পেলেও খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ও বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির প্রবণতা এখনো অব্যাহত আছে। জ্বালানি মূল্য কিছুটা কমে আসায় পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে এবং লেবার ডিপার্টমেন্ট আশা করছে যে পন্যমূল্য হয়তো সামনের দিনগুলোতে হ্রাস পাবে।
গত মাসে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরের পর্যায়ে নেমে এসেছিল এবং অর্থনীতিবিদদের আশাবাদের পর ব্লুমবার্গেও পরিচালিত জরিপেও একই আশা পোষণ করা হয়েছে। মাসিক ভিত্তিতে দেখা গেছে যে অক্টোবরের শূণ্য দশমিক ১ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক ছিল, যা এর আগের মাসে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। এই সামান্য মুদ্রাষ্ফীতি হ্রাসের ক্ষেত্রে দ্রব্যমূল্যে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি, বরং কিছু কিছু পন্যের মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা এজন্য পরিবহন ব্যয় ও সরবরাহে ঘাটতির ওপর দায় চাপিয়েছে। ভোগ্যপন্য ক্রয়কারীরা কস্টকো, লাওয়েস, ওয়ালমার্টে ভিড় করলেও চাহিদা অনুযায়ী পন্য পাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
দ্রব্যমূল্য হ্রাস না পাওয়ার কারণ হিসেবে ফেডারেল রিজার্ভের সূদ হার বৃদ্ধিকেও দায়ী করেছেন অর্থনীতিবিদরা। ডাও জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ প্রায় ৬৫০ পয়েন্টে ওঠেছে। ফেডারেল রিজার্ভ আরেক দফা সূদ হার বৃদ্ধির কথা ভাবছে, এবং সে কারণে মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকার আশঙ্কা কেটে যায়নি। মরগ্যান স্ট্যানলি আভাস দিয়েছে যে সূদ হার স্থিতিশীল হবে আগামী বছরের শুরুতে ফেডারেল রিজার্ভ আরেক দফা সূদ হার বৃদ্ধি করার পর। প্রেস্টিজ ইকনমিকস এর প্রেসিডেন্ট জেসন শেনকার বলেছেন, সবচেয়ে বাজে মুদ্রাস্ফীতি সম্ভবত সামনে, যদিও উচ্চ মুদ্রাষ্ফীতি হার এখনো বিদ্যমান।
ইউএসএ টুডে’র এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে পন্যগুলোর মূল্য হ্রাস পাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে আছে পুরোনো গাড়ি ও ফার্নিচার। এসবের মূল্য কোভিড পূর্ববর্তী অবস্থায় আসছে। কিন্তু সার্ভিসের মূল্য বেড়েই চলেছে। আমেরিকানরা ভ্রমণ এবং একই ধরনের কর্মকান্ডে ফিরে আসছে বলে অর্থনীতিতে যে গতি সঞ্চারিত হয়েছে তাতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত পাঁচ মাসের মধ্যে গ্যাসের মূল্য চতুর্থ দফা হ্রাস পেয়েছে এবং তেলের বৈশ্বিক চাহিদা এখন অনেকটা স্থিতিশীল পর্যায়ে চলে আসায় গ্যাসের মূল্য আরো হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Posted ৩:০৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh