যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, যারা সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট গ্রহণ করেন, তারা মারা গেলেই যে তাদের সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট বন্ধ হয়ে যাবে, ব্যাপারটি এমন নয়। কিছু বিষয় আছে যার ওপর নির্ভর করে সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট গ্রহণকারী মূল ব্যক্তির মৃত্যু হলেও তার আয় ও নির্ভরশীলদের মতো বিষয়গুলোর বিবেচনায় নির্ভরশীলদের কারও নামে সোস্যাল সিকিউরিটির চেক ইস্যু করা হবে।

সোস্যাল সিকিউরিটি এডমিনিষ্ট্রেশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী কেউ যদি কাজ করেন এবং সোস্যাল সিকিউরিটির জন্য অর্থ প্রদান করেন, তাহলে সেই অর্থের একটি অংশ জীবিতদের বেনিফিট হিসেবে দেওয়া হয়, অর্থ্যাৎ জীবিত স্বামী বা স্ত্রী, এমনকি বাবা-মা’ও তার আয়ের ভিত্তিতে বেনিফিট পাবেন। একইভাবে পরিবারের মূল ব্যক্তি বা অপর কোনো সদস্যের মৃত্যুর ক্ষেত্রেও তার পরিবার সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট পাওয়ার যোগ্য, যদি মৃত ব্যক্তি বেনিফিট লাভের জন্য পর্যাপ্ত সময় পর্যন্ত কাজ করে থাকেন। বেনিফিট লাভকারী মূল ব্যক্তির পরিবারে যদি কেউ জীবিত বা কোনো নির্ভরশীল না থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে বেনিফিটও ফুরিয়ে যাবে।

যখন কেউ মারা যায়, তাহলে তা অবিলম্বে সোস্যাল সিকিউরিটি অফিসকে জানানো প্রয়োজন। এ কাজটি সাধারণত ফিউনারেল হোমগুলো করে থাকে, যারা সোস্যাল সিকিউরিটি অফিসে “স্টেটমেন্ট অফ ডেথ বাই ফিউনারেল ডাইরেক্টর।”

যদি তা না ঘটে, তাহলে মৃত ব্যক্তির পক্ষে কাউকে সোস্যাল সিকিউরিটি অফিসে উক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি জানাতে হবে। অনলাইনে মৃত্যুর বিষয় জানানো বা জীবিতের জন্য বেনিফিটের আবেদন করার সুযোগ নেই। এ সম্পর্কে ১-৮০০-৭৭২-১২১৩ টেলিফোনে সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সোস্যাল সিকিউরিটি অফিসে জানানো ও বেনিফিটের আবেদন করা যেতে পারে।

আবেদন করার জন্য মৃত ব্যক্তির সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর দিতে হবে। কিন্তু আবেদনকারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার পরিবারের জীবিত উত্তরাধিকারীর সোস্যাল সিকিউরিটি নম্বর দিতে হবে। মৃত ব্যক্তি যেখানে বসবাস করতেন, সেই এস্টেটের পরিচালকও মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে সোস্যাল সিকিউরিটিকে জানাতে পারেন।

সোস্যাল সিকিউরিটি অফিস যখন কোনো বেনিফিট লাভকারী ব্যক্তির মৃত্যু সংবাদ জানতে পারে তখন অনেকটা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তার উপরোক্ত নির্ভরশীলরা তার বেনিফিট পাবেন। সোস্যাল সিকিউরিটি অফিস এককালীন বিশেষ বেনিফিট দিতে পারে এবং এজন্য কোনো আবেদন করার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে কোনো ব্যক্তির মৃত্য ঘটে সেই মাসে তার বেনিফিটের অর্থ প্রাপ্য হবে না। যদি তার নামে চেক পাঠানো হয় বা ব্যাংক একাউন্টে জমা দেওয়া হয়, তাহলে তা সোস্যাল সিকিউরিটিকে ফেরত দিতে হবে।

কারো স্বামী-বা স্ত্রী অথবা যোগ্য নির্ভরশীল যদি মৃতের সোস্যাল সিকিউরিটি রেকর্ডের ভিত্তিতে বেনিফিট লাভ করেন, তাহলে তা সরকার মৃতের খবর পাওয়ার পর স্বাভাবিক নিয়মেই যোগ্য নির্ভরশীলের বেনিফিটের সঙ্গে সমন্বিত হবে। জীবিত স্বামী বা স্ত্রী যদি ইতোমধ্যে তার পূর্ণ অবসর নেওয়ার বয়সে উপনীত হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি মৃতের পূর্ণ সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট লাভ করতে পারবেন।