মোহাম্মদ আজাদ : | বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
যুক্তরাষ্ট্রে মানবদেহে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে আগামী ডিসেম্বরেই। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রখ্যাত ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং মর্ডানা করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে। ফাইজার গত ৯ নভেম্বর প্রথম ঘোষণা দেয় তাদের তৈরী ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে। এর এক সপ্তাহ পর গত ১৬ নভেম্বর ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী মর্ডানা জানান দেয় তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের কথা। মর্ডানার তৈরী ভ্যাকসিন ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি। ফাইজারের তৈরী করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়। কিন্তু গত ১৭ নভেম্বর পরিবর্তিত এক ঘোষণায় বলা হয় এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ। ফলে উভয় ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ হওয়ায় জনমনে আশার সঞ্চার করেছে। ফাইজার কোম্পানী তাদের প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিন দু’চার দিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিষ্ট্রেশন-এফডিএ’র অনুমোদনের জন্য আবেদন করবে। এফডিএ জরুরী ভিত্তিতে অনুমোদন দিলে আগামী মাসেই মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করা হবে ফাইজারর তৈরী ভ্যাকসিন।
শতাব্দীকালের সবচেয়ে ভয়াবহ মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২লাখ ৫৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গত ১৭ নভেম্বর একদিনেই প্রাণহানি ঘটেছে ১হাজার ৭০০ মানুষের। আর এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ২০লাখ মানুষ। অপরদিকে বিশ্বের প্রায় ১৩লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৫কোটির উপরে। বিশ্বব্যাপী এখন চলছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। এমন একটি কঠিন সময় জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ায় আশাবাদী হয়ে উঠেছে মানুষ। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় ক্রমান্বয়ে বিশ্বের সকল মানুষই ভ্যাকসিনের সুবিধা পাবে। এ বছরের শুরুর দিকে ডা: ফাউচি একবার বলেছিলেন, কোন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির নতুন আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন যদি মানবদেহে ৬০ শতাংশের বেশি কার্যকর হয় তাহলে সেই ভ্যাকসিনকে সাদরে গ্রহণ করা হবে। দুটি কোম্পানির ভ্যাকসিন আবিস্কারের পর থেকে গত সোমরার ড. কাউচি বলেছেন, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য এখনো যারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আপনারা থেমে থাকবেন না। আপনারা আপনাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকুন। মর্ডানা বলেছে, চলমান প্রাথমিক সমীক্ষার তথ্য-উপাত্ত থেকে বলা হচ্ছে, আমাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের সাফল্যের মাত্রা ৯৪.৫ শতাংশ।
ফাইজারের তৈরী করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ৯৫ ভাগ কার্যকর ও নিরাপদ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী ফাইজার। বিশ্বের অন্যান্য ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মতো করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে সামিল ছিলো ফাইজার । গত ৯নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিলে আশাবাদী হয়ে উঠেন যুক্তরাষ্ট্র সহ সারা বিশ্বের মানুষ। ফাইজার ও বাইয়োএনটেক যৌথভাবে প্রস্তুত করেছে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন। বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠির ৪২ শতাংশ সহ মোট ৪৩ হাজার ৫৩৮জন মানুষের উপর পরীক্ষা চালায় ফাইজার। আর এর ফলাফল থেকে নিশ্চিত হয় প্রতিষ্ঠানটি। করোনাভাইরাস সংক্রমনের বিরুদ্ধে মানবদেহে এর কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ। এটা কোন প্রতিষেধক নয়। এই ভ্যাকসিন মানবদেহে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলে। এমনকি করোনাভাইরাস সংক্রমন যাদের দেহে সবচেয়ে বেশী ঘটে এমন বয়স্কদের দেহেও ৯৪ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন ৯৫ ভাগ কার্যকর ও সম্পূর্ন নিরাপদ। ভ্যাকসিনটির চূড়ান্ত বিশ্লেষণে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এরফলে ভ্যাকসিনটির দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার রাস্তা পরিস্কার হয়ে গেলো। ফাইজার ও বায়োএনটেকের এমআরএনএভিত্তিক ভ্যাকসিনটি এর সবগুলো নিরাপত্তার ধাপে পাশ করেছে। এটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক জয় বলে প্রচার হয়।
এছাড়া নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো গুরুতর উদ্বেগের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরীক্ষায় দেখা গেছে, ১৭০ জন করোনা আক্রান্তকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার ২৮ দিন পর এর কার্যকারিতা শুরু হয়েছে। ভ্যাকসিনটি একটি প্লেসবো-স্যালাইন সলিউশনের মাধ্যমে তাদের ওপর প্রয়োগ করা হয়। এর মধ্যে ১৬২ জনের আশানুরূপ ফলাফল দেখা যায়। সেই হিসেবে ভ্যাকসিনটির ৯৫ শতাংশ কার্যকরী নিশ্চিত করা হয়েছে। এফডিএ টিকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্বিতীয় ডোজের পর অন্তত দুই মাসের ফলোআপ এবং প্রথম ডোজ গ্রহণের ২৮ দিন পর পরবর্তী ডোজ নেওয়ার শর্ত আরোপ করে।
এফডিএ দুই ডোজের এই ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দিলে ফাইজার এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৫০মিলিয়ন ডোজ এবং ২০২১ সালের মধ্যে ১.৩ বিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন তৈরী করতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে এবং ইউরোপের বেলজিয়ামে তৈরী হচ্ছে ফাইজা রের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতকৃত ৫০মিলিয়ন ভ্যাকসিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র পাবে ২৫মিলিয়ন। যেহেতু একজনের দেহে দু’টো ডোজ পুশ করা হবে ফলে মোট ১.৫ মিলিয়ন মানুষ প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ পাবে। সেক্ষেত্রে ৩৩ কোটি ৩০লাখ আমেরিকানের মধ্যে সোয়া কোটি মানুষ উপকৃত হবেন ডিসেম্বরেই।
আমেরিকানরা বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবেন। ফেডারেল সরকার ইতোমধ্যেই ১০০মিলিয়ন ডোজের জন্য ১.৯৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে ফাইজারের সাথে। ফেডারেল সরকার বিভিন্ন রাজ্যে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। রাজ্য সরকার, হাসপাতাল ও পাবলিক হেলথ বিভাগের সমন্বয়ে তা সাধারণ মানুষের মাঝে বিতড়ন করা হবে।
কারা প্রাথমিক পর্যায়ে ভ্যাকসিনের সুবিধা পাবে তা নির্ধারণ করবে সরকার। ডিসেম্বরের মধ্যে চিকিৎসা সেবা ক্ষেত্রে ফ্রন্ট লাইনার-বিশেষ করে ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক সহ যারা সরাসরি জড়িত তাদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এছাড়া নার্সিংহোমের বয়স্কগণ রয়েছেন প্রাথমিক তালিকায়। তবে আগামী এপ্রিলের মধ্যে প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ফাইজারের তৈরী ভ্যাকসিন ৯৪ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রার নীচে মওজুত রাখতে হবে। এজন্য ফাইজার বিশেষ সতর্কতামূরক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
মর্ডানার প্রেসিডেন্ট ডা: স্টিফেন হোজে বলেছেন, দুটি কোম্পানির ভ্যাকসিন থেকে একই ফলাফল আমাদেরকে প্রচণ্ড আস্থাশীল করে তুলেছে। তিনি তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এটি আমাদের জন্য এক মাইলফলক। এর ফলে আমাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে যে এই ভ্যাকসিন চলমান মহামারীর ভয়াবহতাকে থামিয়ে দিতে সক্ষম হবে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিষ্ট্রেশন বলেছে যে তারা জরুরী ভিত্তিতে মর্ডানার বা ফাইজারের ভ্যাকসিন প্রত্যাশিতদের কাছে রেশিনিং পদ্ধতিতে বিলি করবে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ। কারণ মজুত অতি সীমিত। ভ্যাকসিন আবিষ্কারক হিসেবে কোন কোম্পানির নাম প্রথম আসবে সে সম্পর্কে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ইতিপূর্বে চীন ও রাশিয়া পৃথকভাবে ভ্যাকসিন তৈরির ঘোষণা দিলেও সেগুলো হালে পানি পায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিস সেক্রেটারী অ্যালেক্স আজহার বলেছেন জানুয়ারীর শেষ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতায় ৬৫ বছরের উর্ধে বয়স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডা. ফাউচি বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে যাদের অবস্থা সংকটাপন্ন নয় তাদেরকে ভ্যাকসিন পেতে আগামী স্প্রিং পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। ন্যাশনাল হেলথ ইন্সটিটিউটের ডাইরেক্টর ফ্রান্সিস কলিন্স বলেছেন, আমাদের জন্য অতি উৎসাহের বিষয় হচ্ছে দুটি কোম্পানি আমাদেরকে অনেক আশা দিচ্ছে- আমরা ভ্যাকসিন নিয়ে একটি ফলদায়ক সঠিক নির্দেশনার দিকে অগ্রসর হচ্ছি। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের বিল গেইটসহ এক অনুষ্ঠানে ডা. ফাউচি বলেছেন, শুধু একটি নয়, চার থেকে ৫টি কোম্পানি ভ্যাকসিন আবিস্কারে বিজয়ী হবে। আমাদের অনেকগুলো ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। কিছু কিছু ভ্যাকসিন ক্ষেত্র বিশেষে এক সম্প্রদায়ের লোকজন থেকে অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনের উপর বেশি কার্যকর হবে। কিন্তু কেন তা হবে সে সম্পর্কে তিনি কোন ব্যাখ্যা দেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের অন্যান্য দেশ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দরিদ্রতম দেশগুলোতে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য লক্ষ্য স্থির করেছে। কিন্তু তাদেরকে আলাদাভাবে জানাতে হবে যে তাদের কি পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োজন। তাও নির্ভর করছে বাজারে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার উপর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রশ্্ন তুলেছে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন কিভাবে মানবদেহে কাজ করবে তা নিয়ে। ভ্যাকসিন বয়স্ক ও তরুণদের দেহে সমভাবে কাজ করবে কিনা বা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতো সময় স্থায়ী হবে তা ডাটা ক্লিনিকগুলো থেকে সংগ্রহ করার উপর জোর দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
মডার্নার করোনা ভ্যাকসিন প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মর্ডানার তৈরি ভ্যাকসিন প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর বলে দাবি করেছে ভ্যাকসিনটির প্রস্তুতকারক মার্কিন জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি মর্ডানা। ৩০ হাজার মানুষের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে তাদের ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর যে ফল পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতেই এমনটাই দাবি করা হচ্ছে বলে সংস্থা সূত্রে খবর। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে বলে জানিয়েছে মডার্না। শেষ ধাপের ওই ট্রায়ালে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ হাজার মানুষের দেহে ভ্যাকসিনটি পুশ করা হয়। এর মধ্যে অর্ধেককে চার সপ্তাহের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেয়া হয়। এ ছাড়া বাকিদের দেয়া হয় নামমাত্র ইনজেকশন। সেগুলোতে ভ্যাকসিনের কোনো ডোজ ছিল না। তৃতীয় ধাপের প্রাথমিক ফলের ওপর ভিত্তি করে পাওয়া তথ্যের কথা উল্লেখ করে গত ১৬ নভেম্বর মডার্না দাবি করেছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন করোনা ঠেকাতে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর।
কবে পাওয়া যাবে মডার্নার টিকা?
বিবিসি বলছে, এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করছে একজন ব্যক্তি বিশ্বের কোন প্রান্তে বাস করছেন এবং তার বয়স কত। মডার্না বলছে, খুব শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির আশা, আগামী বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এক শ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করতে পারবে তারা। যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করতে পারবে ২ কোটি ডোজ। একই সঙ্গে অন্যান্য দেশে অনুমোদন পেতেও আবেদন করবে মডার্না।
যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের অন্যান্য দেশ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দরিদ্রতম দেশগুলোতে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য লক্ষ্য স্থির করেছে। কিন্তু তাদেরকে আলাদাভাবে জানাতে হবে যে তাদের কি পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োজন। তাও নির্ভর করছে বাজারে ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতার উপর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রশ্্ন তুলেছে আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন কিভাবে মানবদেহে কাজ করবে তা নিয়ে। ভ্যাকসিন বয়স্ক ও তরুণদের দেহে সমভাবে কাজ করবে কিনা বা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতো সময় স্থায়ী হবে তা ডাটা ক্লিনিকগুলো থেকে সংগ্রহ করার উপর জোর দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
মডার্না বনাম ফাইজারের টিকা-কোনটা কেমন
কিছুদিন আগেই ফাইজার ও বায়োএনটেক তাদের করোনার টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে ঘোষণা দিয়েছিল। তারা জানিয়েছিল, তাদের তৈরি টিকা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। এবার আরেক মার্কিন প্রতিষ্ঠান মডার্না দাবি করেছে যে, তাদের টিকা প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর। এ দুই ঘোষণাতেই করোনাভাইরাসে পর্যুদস্ত বিশ্ব আশার আলো দেখছে। কিন্তু এই দুই টিকার মিল–অমিল কতটুকু?তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে নিজেদের টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে ঘোষণা দিয়েছে মডার্না। গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত জরুরী চিকিৎসার জন্য এ টিকা ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মডার্না যে ফলাফল প্রকাশ করেছে, তা প্রাথমিক। টিকাটি কতটুকু কার্যকর হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত আরও তথ্য জানার প্রয়োজন রয়েছে।কোভিড-১৯ রোগে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগে এখনও পর্যন্ত ১৩ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
Posted ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh