শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

যুক্তরাষ্ট্রে মহান শহীদ দিবস উদযাপন

নিউইয়র্ক :   |   বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রে মহান শহীদ দিবস উদযাপন

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্সুলেটে শ্রদ্ধা নিবেদন।

যথাযোগ্য মর্যাদায় ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গত রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তাদের আত্মত্যাগের মধ্যদিয়েই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয় বলে উল্লেখ করা হয়। সবকটি অনুষ্ঠানেই ঢাকা থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। দূতাবাসের সমাবেশে রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম বলেছেন, সারাবিশ্ব যেখানে আমাদের পথ অনুসরণ করেছে, আমরা যেন নিজেরা নিজের ভাষা ও সংস্কৃতিকে যথাযথ সম্মান দেখাতে কুণ্ঠিত না হই।


মিশনের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, বহুভাষিকতাকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক ফোরামে। ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর সমাবেশে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম সহিদুল ইসলাম রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করেন। তাকে অনুসরণ করে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’-গানটি বাজানো হয়। এরপর রাষ্ট্রদূত জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষমূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং তার স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে জাতীয় নেতাদের বাণী পাঠ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সহিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ভাষার জন্য জীবন দেয়ার মাধ্যমে বাঙালি জাতি পৃথিবীর ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিয়েছে। ১৯৯৯ সালে মাতৃভাষার জন্য বাঙালি জাতির আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, যা পরবর্তীতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে। সারাবিশ্বে এখন ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এদিন সকল ভাষার প্রতি সম্মান জানানো হচ্ছে।


প্রথম সচিব এবং চ্যান্সারী প্রধান মো: মাহমুদুল ইসলাম দিবসের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সবশেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং বাংলাদেশে অব্যাহত উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনস্থ বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে একুশের অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে অডিটোরিয়ামে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রামাণ্য ভিডিও চিত্র প্রদর্শণ করা হয়।আলোচনা পর্ব শুরু হয় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে। স্বাগত ভাষণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষায় এবং সমাজে বহুভাষার অন্তর্ভুক্তি সযত্নে লালন করি’-উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন জাতিসংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে বহুভাষিকতাকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।


বায়ান্নের ভাষা শহীদ এবং ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। এই পরিষদই ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করে। জাতির পিতা ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে বার বার গ্রেফতার হয়েছেন। জেলে থেকে ভাষা আন্দোলনের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই দুর্বার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শাসকগোষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা শহীদগণ।

ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই কীভাবে জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে সে প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে জাতিসংঘসহ বিশ্ব পরিমন্ডলে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশের জন্য কোভিড-১৯ এর টিকা সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন এবং চলমান টিকা প্রদান কর্মসূচিতে সরকার যে সফলতা দেখিয়েছে তা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, বিশ্বের ২৫ কোটি মানুষের ভাষা বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে যে প্রস্তাবনা রেখেছেন তা বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মধ্যে বাংলা ভাষা উজ্জ্বীবিত রাখতে পরিবার এবং কমিউনিটিতে বাংলার শুদ্ধ চর্চা অব্যাহত রাখতে প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশ নেন মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিবৃন্দ। কোভিড-১৯ জনিত স্থানীয় বিধিনিষেধ অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে এবং স্বাগতিক সিটির বিধি-বিধান প্রতিপালন করে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কন্স্যুলেটে আন্তর্জাতিক মাত্ত্রিভাষা দিবসটি পালন করা হয় অত্যন্ত সীমিত আকারে। অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন এবং তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামান্যচিত্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় অংশ গ্রহণ কনসাল জেনারেলসহ কনস্যুলেটের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে মহান ভাষা আন্দোলনে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর অনবদ্য সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রথম বাংলা ভাষায় বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য এবং ৭ মার্চে বাংলা ভাষায় প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণের জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সাল হতে শুরু করে শুধুমাত্র ভাষা আন্দোলনেই নেতৃত্ব দেননি, তিনি পরবর্তীতে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করেছেন। মহান একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের এই সন্ধিক্ষণে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সকলকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান কনসাল জেনারেল। অনুষ্ঠান শেষে ভাষা আন্দোলনে বীর শহিদগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

জাতিসংঘের সামনে বাংলাদেশিদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

নিউইয়র্ক: পঞ্চমবারের মতো জাতিসংঘ সদরদপ্তরে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক আবহে উদযাপন করা হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কানাডা, মিশর, জর্ডান, লিথুনিয়া ও নিউজিল্যান্ড এবং জাতিসংঘ সচিবালয় ও ইউনেস্কোর সহ-আয়োজনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। কোভিড-১৯ এর বিধি-নিষেধ জনিত কারণে ইভেন্টটি ভার্চুয়ালভাবে অনুষ্ঠিত হয় যা জাতিসংঘ ওয়েভ টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজকির অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন এবং বক্তব্য রাখেন। সহ-আয়োজক দেশসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধিগণ ছাড়াও অনুষ্ঠানটিতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের বহুভাষিক সমন্বয়কারী ও জেনারেল অ্যাসেম্বিলি ও কনফারেন্স ম্যানেজমেন্ট ভিাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল। এছাড়া ইউনেস্কো মহাপরিচালকের ভিডিও বার্তা এবং নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের বার্তা উপস্থাপন করা হয় ভার্চুয়াল এই ইভেন্টটিতে। স্প্যানিস ভাষাভাষী বন্ধু-দেশগুলোর পক্ষে এ সভায় বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত পর্তুগালের স্থায়ী প্রতিনিধি।

অনুষ্ঠানটিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সঞ্চলনা করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। স্বাগত বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি প্রাণ উৎসর্গকারী সকল ভাষাশহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, “ভাষা শহীদদের এই আত্মত্যাগের ফলেই ‘বাংলা’ রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা লাভ করেছে”। রাষ্ট্রদূত ফাতিমা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আর এই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করেছি মহান স্বাধীনতা”। যে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীগণ বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা করার জন্য প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। প্রবাসী বাংলাদেশীগণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনোস্কোর সাথে সরকারিভাবে যোগাযোগ স্থাপন এবং বিষয়টি এগিয়ে নিতে যে বিচক্ষণ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন তা গভীর কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন তিনি। পৃথিবীর বিলুপ্তপ্রায় ভাষা সমূহের সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন মর্মেও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে যে প্রস্তাবনা রেখেছেন তা পূনরুল্লেখ করেন তিনি।

সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভলকান বজকির জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনকে ধন্যবাদ জানান। সাধারণ পরিষদের সভাপতিসহ অন্যান্য বক্তাগণ জাতিসংঘ কর্তৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে অনন্য ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া মাতৃভাষা ও বিশ্বব্যাপী বহুভাষিকতা এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে নেতৃত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন বক্তাগণ। বহুভাষিক উপাদানের সমন্বয়ে অনুষ্ঠানটিতে বর্ণাঢ্য এক সাংস্কৃতিক পর্ব পরিবেশিত হয়। ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রকে উজ্জ্বীবিত রাখার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বহুভাষিক উপাদানের সমন্বয়ে তিনটি ভিন্নমাত্রার সঙ্গীত পরিবেশন করে ইউএন চেম্বার মিউজিক সোসাইটি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিলুপ্তপ্রায় ভাষা ‘খোসা-এর একটি অপেরা সঙ্গীত, ফ্রেঞ্চ ভাষার একটি যন্ত্রসঙ্গীত, এবং জাপানী শিল্পী পরিবেশিত একটি রবীন্দ্র সঙ্গীত।

advertisement

Posted ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.