বাংলাদেশ ডেস্ক : | শনিবার, ০৪ জুলাই ২০২০
পৃথিবীর বুকে এমন অনেক জিনিস আছে, যা নিয়ে মানুষের বিস্ময়ের শেষ নেই। এমনকি কিছু কিছু জিনিসের মধ্যে লুকিয়ে থাকা রহস্যের সমাধান এখনো নেই বিজ্ঞানীদের কাছে। এ রকম তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে পেরুর নাজকা লাইন।
পেরুর রাজধানী লিমা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত নাজকা মরুভূমির বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে রয়েছে এই নাজকা লাইন। প্রায় ৮০ কিলোমিটার লম্বা ও ৪৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে এটি। এই বিশাল এলাকাজুড়ে মাটির উপর খোদাই করা রয়েছে বিভিন্ন রকম ছবি ও নকশা। পশুপাখির ছবি ছাড়াও রয়েছে সরলরেখা ও জ্যামিতিক নকশা। মাটির উপরের এই বিশালাকার সব ভূচিত্রকেই বলে নাজকা লাইন।
নাজকা মালভূমিজুড়ে অঙ্কিত এসব ভূচিত্র এত বিশাল যে, আকাশ থেকে না দেখলে সেগুলোর অবয়ব বোঝা যায় না। এই নাজকা লাইন প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো। ৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ৫০০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে এই নকশাগুলো তৈরি করা হয়েছিল বলে মত পুরাতত্ত্বববিদদের। বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ চালু হওয়ার পর এই ভূচিত্র প্রথম মানুষের নজরে আসে। তার পর থেকেই রহস্যে মোড়া এই নাজকা লাইনের ব্যাপারে জানার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৯৯৪ নাজকাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা দিয়েছে ইউনেস্কো।
নাজকা লাইনের বহু রহস্য আজো উন্মোচিত হয়নি। প্রথমত, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবেলা করেও কিভাবে অক্ষত রয়েছে এসব নকশা? দ্বিতীয়ত, কিভাবে এই বিশাল আকারের কাজ সম্ভব হয়েছিল? তৃতীয়ত, কেন এগুলো তৈরি করা হয়েছিল? কেউ কেউ মনে করেন, ভিন গ্রহীরা পৃথিবীর বুকে এঁকেছে এই ভূচিত্র। এগুলো তাদের স্পেসশিপ রানওয়ে।
Posted ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৪ জুলাই ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh