বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০
কোভিড-১৯ টেস্ট প্রতারণা করা রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথকেয়ারের কর্ণধারদের নেপথ্যে গডফাদার কারা জানতে চেয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, এই দুই প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতির নেপথ্যে গডফাদাররা কেন ধরাছোঁয়ার বাইরে?
১৩ জুলাই, সোমবার দুপুরে করোনা প্রতিরোধে লক্ষণভিত্তিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে রিজভী এ প্রশ্ন তোলেন।
রিজভী বলেন, সাহেদের (মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম) কেলেঙ্কারি, জেকেজির চেয়ারম্যানের (ডা. সাবরিনা এ চৌধুরী) কেলেঙ্কারি– এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। আজ যখন চারদিক থেকে আওয়াজ উঠেছে, কই রুই-কাতলা তো ধরা পড়ে না। রোববার নামমাত্র একজন (ডা. সাবরিনা) ধরা পড়লেন। আমরা জানতে চাই, এর পেছনে গডফাদার কারা? এর নেপথ্যে সেই ক্ষমতাশালী লোক তারা কারা? কই তারা তো ধরা পড়ে না। সাহেদের সঙ্গে, জেকেজির সঙ্গে আরও জড়িত যারা আছেন, তাদের তো আপনারা ধরতে পারবেন না। রুই-কাতলাদের আপনারা ধরতে পারবেন না। কারণ রা ক্ষমতাবান লোক।
১২ জুলাই, রোববার বিএনপির ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি’র সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর জবাব দেন রিজভী। বলেন, সিঙ্গেল স্ট্যান্ডার্ডে চলছে আওয়ামী লীগ। সে সিঙ্গেল স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে– তাদের মধ্যে মানবতার কোনো কাজ নেই। তাদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কোনো কাজ নেই। জনগণের পকেট থেকে টাকা দিয়ে যে ত্রাণ কেনা হয়েছে, সে ত্রাণ আওয়ামী লীগের নেতাদের বাসা থেকে, না হলে গ্যারেজ থেকে, না হলে পুকুর থেকে, না হলে মাটির তলা থেকে পাওয়া গেছে। এভাবে তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতিতে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত এমন অভিযোগ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, কয়েক দিন ধরে আপনারা দেখছেন মাস্কের দুর্নীতি কে করেছে? মন্ত্রীর ছেলে। করোনার জন্য জীবন বাঁচানোর মেশিন ভেন্টিলেটর। সে ভেন্টিলেটর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কে? ক্ষমতাসীন দলের লোক অথবা মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজন। যখন পত্রপত্রিকা, গণমাধ্যম চারদিকে ছি ছি পড়ে গেছে। আওয়ামী লীগের এমন কোনো নেতা নেই, যার সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের সম্পর্ক নেই। ছবি তুলেছেন, সেটি ভিন্নকথা। কিন্তু সরকারের পক্ষে কী করে স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের করোনা টেস্টে অনুমোদন দিল? স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি (মহাপরিচালক) যখন অনুমোদন দেন, সেটি তো সরকারেরই অনুমোদন।
Posted ৭:১০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh