বাংলাদেশ ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিললেও শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ তার বাবাকে না দেওয়ায় বাবা সবুজ আলী ও মা বিউটি বেগম বিচার দাবি করেছেন অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বেইলি রোডের ৭ তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বৃষ্টি খাতুন (ছদ্মনাম) অভিশ্রুতি শাস্ত্রীকে হিন্দু দাবি করে রমনা মন্দিরের সভাপতি অভিযোগ করেন। তার প্রেক্ষিতে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ১১ দিন পর বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে তার বাবা-মার কাছে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসার বেতাবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম পশ্চিম পাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মরদেহ দাফনের আগে বৃষ্টির বাবা সবুজ আলী আক্ষেপ করে জানান, মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করার পর তার ফিঙ্গার নেওয়া হয় এবং বৃষ্টির সঙ্গে ফিঙ্গার ম্যাচ করে। তারপর কে বা করা এসে লিখিত অভিযোগ দেয় যে তার মেয়ে হিন্দু। তারপর থেকেই শুরু হয় জটিলতা। তার মেয়ের মরদেহ নিয়ে নাটকীয়তা সৃষ্টি করার কারণে ১১ দিন পর মেয়ের মরদেহ পেয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশে আইন আছে, আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা হোক।
স্থানীয় বেতবাড়িয়া চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির লাশ ১১ দিন পর বাড়িতে এনে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। দাফন নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয়নি।
খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ আন-নূর জায়েদ জানান, মৃত্যুর ১১ দিন পর বৃষ্টির মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, সব জটিলতা কাটিয়ে নারী সাংবাদিক বৃষ্টির মরদেহ বাড়িতে এনে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পাশে আছি সব সময়।
Posted ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh