ডেমোক্রেটিক প্রাইমারীতে নিউইয়র্ক সিটি কম্পট্রোলার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বপূর্ণ পদে প্রতিনিধিত্ব করার মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কারদের উন্নত ও নিরাপদ জীবন গড়ার জন্য সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব ডেভিড ওয়েপ্রিন। জীবনভর কুইন্সের বাসিন্দা হিসেবে সিটিকে বসবাস ও কাজ করার এবং পরিবার গড়ে তোলার চমৎকার স্থাণে পরিণত করার জন্য নিবেদিতপ্রাণ ডেভিড ওয়েপ্রিন প্রাইমারীতে নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী। নিউইয়র্ক স্টেট এসেম্বলিতে নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি সিটি কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে সিটির উন্নয়নে তার ভূমিকা রেখেছেন। এসেম্বলিতেও তিনি সিনিয়র, শিশু, স্বল্প আয়সম্পন্ন পরিবার, ভেটেরান ও ক্ষুদ্র ব্যবসার সহায়তা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। সিটি কম্পট্রোলার পদে তিনি অত্যন্ত সুযোগ্য প্রার্থী এবং নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।

কিউবান ইমিগ্রান্ট পরিবারের সন্তান জ্যামাইকা হাইস্কুল ও অ্যালবেনির সুনি’তে পড়াশোনার পর ডেভিড ওয়েপ্রিন হফস্ট্রা ইউনিভার্সিটি থেকে আইনে ডিগ্রি লাভ করেন। সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক খাতে ব্যাপক অভিজ্ঞতার কারণে ১৯৮৩ সালে স্টেট গভর্নর মারিও ক্যুমো তাকে ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ ব্যাংক এবং ব্যাংকিং বোর্ড অফ নিউইয়র্ক স্টেটের সেক্রেটারী পদে নিয়োগ করেছিলেন। এই পদে তার দায়িত্ব ছিল নিউইয়র্ক স্টেটের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকান্ড তদারক করা। ওয়াল ষ্ট্রিটের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনি স্টার্ন ব্রাদার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মিউনিসিপ্যাল বন্ডের ব্যাপারে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন। তিনি সিকিউরিটিজ ইন্ডাস্ট্রি এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে সিটি কাউন্সিলের ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তার দীর্ঘ আট বছরের অভিজ্ঞতা তাকে সিটি কম্পট্রোলারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য প্রস্তুত করেছে বলে তিনি মনে করেন।

ডেভিড ওয়েপ্রিন মনে করেন যে বর্তমানে নিউইয়র্ক সিটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। এ সময়ে প্রয়োজন দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতৃত্ব। ডেভিড ওয়েপ্রিন সিটি কাউন্সিলে ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান থাকাকালে ৯/১১ পরবর্তী সময়ে ও ২০০৮ সালে যখন অর্থনৈতিক সংকটকালে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে এবং তার সেই অভিজ্ঞতা তাকে দৃঢ় আত্মবিশ্বাস দিয়েছে যে কম্পট্রোলার পদে তিনিই যোগ্য প্রার্থী। কারণ এই পদে এমন একজনকে প্রয়োজন, যিনি শুধু নিউইয়র্কের শ্রমজীবী মানুষের জন্যই বাজেটে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করবেন না, বরং নিউইয়র্কারদের জন্য সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবেন। ডেভিড কম্পট্রোলারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের মধ্যে করদাতাদের করের অর্থ দিয়ে তাদের জন্য কল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ ও তাদের সেবা নিশ্চিত করা, সিটির পেনশন ফান্ডের তদারকী ও নিশ্চিত করা যে, যারা জীবনভর তাদের কাজের মধ্য দিয়ে সিটিকে গড়ে তুলেছেন সেই সাত লাখের অধিক পেনশনভোগী তাদের অবসর জীবনে কালে ২৫৩ বিলিয়ন ডলাওে পেনশন ফান্ড থেকে কাংখিত হারে মুনাফা লাভ করবেন। এছাড়া সিটির এজেন্সিগুলোর নিয়মিত অডিট করার মাধ্যমে অপচয় রোধ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কাজে তত্বাবধানকারী হিসেবে কম্পট্রোলার পদে তাকে নির্বাচিত করার জন্য তিনি সিটিবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।