বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এ ডেমোক্র্যাট প্রাইমারী নির্বাচন আগামী ২২ জুন, মঙ্গলবার। এই নির্বাচনে ভোটারগণ সরাসরি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে অথবা আগাম ও এ্যাবসেন্টি ব্যালটে ভোট প্রদানের সুযোগ পাচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ এই আসনের নির্বাচনে এবার বাংলাদেশী আমেরিকান প্রার্থী ৩ জন এবং তাদের সবাই । এরা হলেন মৌমিতা আহমেদ, সাবুল উদ্দিন ও সাইফুর খান হারুন।নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালের ২ নভেন্বর। ২ ফেব্রুয়ারির বিশেষ নির্বাচনে জয়ী হন তিনি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকবেন। ২০২১ এর ২ নভেম্বরের নিয়মিত নির্বাচনে জয়লাভকারী নতুন করে আসীন হবেন ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এর কাউন্সিল মেম্বারপদে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল নগরী নিউইয়র্ক। আর কুইন্স হচ্ছে দেশটির সর্ববৃহৎ কাউন্টি। এই কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এ সাউথ এশিয়ান রেজিস্ট্রার্ড ভোটার রয়েছে ৩০ সহস্রাধিক। তন্মধ্যে বড় একটি সংখ্যক ভোটার হচ্ছে বাংলাদেশী। ফলে নানা কারণেই এই আসনের উপর রাজনীতিকদের রয়েছে কড়া নজর। কিউ গার্ডেনস হিলস, পমোনক, ইলেক্টচেস্টার, ফ্রেশ মেডোস, হিলক্রেস্ট, জ্যামাইকা এস্টেটস, ব্রায়ারউড, পার্কওয়ে ভিলেজ ও জ্যামাইকা হিলস নিয়ে গঠিত-ডিস্ট্রিক্ট-২৪ নির্বাচনী এলাকা।
এদিকে সম্প্রতি নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বড় ধরণের পরিবর্তন আনা হয়েছে। ‘র্যানকড চয়েস ভোটিং’ প্রক্রিয়ায় একজন ভোটার একই সাথে ৫ জন প্রার্থীকে ভোট দিবেন। এই প্রক্রিয়া অনুমোদন প্রাপ্ত হয়েছে ২০১৯ সালের নির্বাচনে। কুইন্সের এসেম্বলী ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এ ৪০ শতাংশ এশিয়ানের বসবাস। তন্মধ্যে ১৮ শতাংশ বাংলাদেশী। এটা বাংলাদেশী প্রার্থীদের জন্য একটি উর্বর এলাকা।স্পেশাল নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার বরাবর অত্যন্ত কম। গত ১২ জুন থেকে শুরু হয়েছে অগ্রিম ভোট প্রদান। চলবে ২১ জুন পর্যন্ত। অগ্রিম ভোট প্রদানের হার খুবই নগণ্য। সুতরাং এখানে বাংলাদেশী ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে যেতে উৎসাহিত করতে পারলে তা ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে । সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এ প্রাইমারী নির্বাচনে ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনই বাংলাদেশী। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রার্থীদের সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। তাদের পেশা, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও ভিন্নতর। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী এসব প্রার্থীদের পক্ষে বিপক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটি। সিটির ডেমোক্র্যাট দলীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমর্থনও পেয়েছেন কোন কোন প্রার্থী। অপরদিকে এই আসনে পুনরায় প্রার্থী হচ্ছেন রোরি ল্যান্সম্যানের পূর্বসূরি সাবেক কাউন্সিল মেম্বার জেমস জিনারো। যিনি ২০০২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এর কাউন্সিল মেম্বার ছিলেন। পরে তিনি গভর্নর অফিসে চাকুরী নিয়ে চলে যান। জেমস জিনারো এ নির্বাচনে একক প্রার্থী হওয়ায় তাকে হটানো কঠিন হবে অন্যান্য প্রার্থীর জন্য। এছাড়া ২০২০ সালে সেন্সাস অনুযায়ী সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্টগুলোতে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পুনর্বিন্যাস। ফলে ২০২১ এর নির্বাচনে যারা বিজয়ী হবেন তাদের মেয়াদকালসীমিত হবে ২বছরের জন্য। এভাবে চলবে পরের নির্বাচন। ২০২৫ সালের নির্বাচনের পর পুনরায় ৪ বছরের স্বাভাবিক মেয়াদকাল শুরু হবে সিটি কাউন্সিলে। ১৯৮৯ সালের নিউইয়র্ক সিটি চার্টার অনুযায়ী কার্যকর হেেচ্ছ এ পরিবর্তন।
বাংলাদেশীরা দেশীয় আঞ্চলিকতা এবং রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও কেউ কেউ দাড়াচ্ছেন প্রার্থীদের পক্ষে। কোন কোন প্রার্থীর প্রচারণা সীমিত রয়েছে শুধুমাত্র নিজ কমিউনিটিতে। সিটির ডিস্ট্রিক্ট-২৪ নির্বাচনী এলাকায় শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সামান্যতম সুযোগও নেই। এই এলাকার বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে অন্যান্য জাতি গোষ্ঠী ও কমিউনিটির মানুষের বসবাস। তাদের মাঝে নিজেদের প্রার্থীতা ও পরিচয় শক্ত ও সঠিকভাবে তুলে ধরার বিকল্প নেই। একটি আসনে বাংলাদেশী ৩ জন প্রার্থী হওয়ায় স্থানীয় কমিউনিটিতে সৃষ্টি হয়েছে একধরণের বিব্রতকর পরিস্থিতির। তারপরও অনেকে অনুদানের হাত বাড়িয়েছেন প্রার্থীদের প্রতি। প্রার্থীরা সংগৃহীত তহবিল সিটি প্রশাসনকে প্রদর্শন করে বড় ধরণের আর্থিক সহায়তা লাভ করেছেন। নিউইয়র্ক সিটির নিয়মানুসারে কোন প্রার্থী যে পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে থাকেন সিটি কর্তৃপক্ষ তার ৮ গুণ অর্থ প্রার্থীদেরকে প্রদান করে নির্বাচনী প্রচারনার কাজে ব্যবহারের জন্য। এদিক থেকে আর্থিক দৈন্য দশাতে পড়তে হয় না প্রার্থীদেরকে।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রার্থীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াত ব্যবস্থা, পরিবেশ, গৃহায়ন সহ নানাবিধ স্থানীয় উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তাদের নির্বাচনী ইস্যুতে। প্রার্থীরা ডাকযোগে বাসায় বাসায় পাঠাচ্ছেন তাদের প্রচারপত্র। যোগাযোগ করছেন টেলিফোনে। কোন কোন ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সিটি কাউন্সিলের এ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যামাইকা এলাকায় আলোচনা সমালোচনা অব্যাহত আছে। যেহেতু র্যাংকড চয়েস ভোটিং সেহেতু বাংলাদেশী ভোটাররা ৩ জন প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারবেন। তবে যে প্রার্থী নিজ কমিউনিটির বাইরে থেকে ভোট টানতে পারবেন তারপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাবে না। এক্ষেত্রে নিজ কমিউনিটির সমর্থকদের ভোট প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
অপরদিকে এই আসনে পুনরায় প্রার্থী হচ্ছেন রোরি ল্যান্সম্যানের পূর্বসূরি সাবেক কাউন্সিল মেম্বার জেমস জিনারো। যিনি ২০০২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এর কাউন্সিল মেম্বার ছিলেন। পরে তিনি গভর্নর অফিসে চাকুরী নিয়ে চলে যান। জেমস জিনারো এ নির্বাচনে একক প্রার্থী হওয়ায় তাকে হটানো কঠিন হবে অন্যান্য প্রার্থীর জন্য। এছাড়া ২০২০ সালে সেন্সাস অনুযায়ী সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্টগুলোতে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পুনর্বিন্যাস। ফলে ২০২১ এর নির্বাচনে যারা বিজয়ী হবেন তাদের মেয়াদকালসীমিত হবে ২বছরের জন্য। এভাবে চলবে পরের নির্বাচন। ২০২৫ সালের নির্বাচনের পর পুনরায় ৪ বছরের স্বাভাবিক মেয়াদকাল শুরু হবে সিটি কাউন্সিলে। ১৯৮৯ সালের নিউইয়র্ক সিটি চার্টার অনুযায়ী কার্যকর হেেচ্ছ এ পরিবর্তন।
মৌমিতা আহমেদ
নিউইয়র্ক : বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান মৌমিতা আহমেদ। গত ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশেষ নির্বাচনে কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-২৪ থেকে প্রার্থী হয়ে দ্বিতীয় স্থান পান। আগামী ২২ জুনের প্রাইমারিতে আবার তিনি প্রার্থি হয়েছেন।নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালাচ্ছেন মৌমিতা। জয়ী হওয়ার ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। মৌমিতা আহমেদ বলেন, এবারের ভোট অন্যান্য ভোটের মতো নয়। এই ভোটে ব্যতিক্রম হচ্ছে একসঙ্গে পাঁচজন প্রার্থীকে পছন্দ অনুযায়ী ক্রমানুসারে ভোট দেওয়া যাবে। এই ভোট হচ্ছে র্যাঙ্কিং চয়েজের মাধ্যমে। তিনি বলেন, আমাদের কেবল বাংলাদেশি ভোট প্রত্যাশা করলেই হবে না। জয়ী হওয়ার জন্য অবশ্যই অন্যান্য কমিউনিটির ভোটও টানতে হবে। আমি ইতিমধ্যে বিভিন্ন কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন থেকে এবং বড় বড় জায়গা থেকে এনড্রোসমেন্ট পেয়েছি। আশা করছি, আমি জয়ী হব। তবে আমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জেমস জিনারিওর সাথে।মৌমিতার মতে, বাংলাদেশি যেসব প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, তাদের মধ্যে তার অবস্থান সবচেয়ে ভালো। তার একটি অবস্থান আছে সিটিতে এবং ন্যাশনালিও। তিনি এখানে ছোটবেলা থেকে মানুষ হয়েছেন। শুধু বাংলাদেশিরা নন, অন্যান্য কমিউনিটির মানুষও তাকে পছন্দ করে। এসব কারণে তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদী।
নির্বাচন থেকে সরে যেতে মৌমিতাকে হুমকি : নিউইয়র্কে বর্ণবাদী বিদ্বেষের কারণে কুইন্সের ডিস্ট্রিক্ট ২৪ থেকে বাংলাদেশি কাউন্সিলর প্রার্থী মৌমিতা আহমদকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। মৌমিতা অভিযোগ করেন, ওয়াল স্ট্রিটের বিলিয়নিয়ার রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার কাউন্সিল সদস্য জেনেরোর সাবেক চিফ অব স্টাফের নেতৃত্বে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে ইমেইল প্রেরণ করা হচ্ছে। এই নির্বাচনে ট্রাম্প সমর্থক বিলিয়নিয়ার স্টিফেন রস, জ্যাক কাইয়ার, আইসাক এশ, জেফ ল্যাব ও জেমস জেনেরো নামের ধনকুবের প্রার্থী হয়েছেন। মৌমিতা নির্বাচনে স্বল্পমূল্যের আবাসন সুবিধা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা ও অভিবাসী পরিবারের লাড়াইকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে মৌমিতা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সাথে পাড়ি জমান। ইতিমধ্যে ডেমোক্রেট উঠতি তারকা কংগ্রেস উইমেন আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজের অনুসারী মৌমিতা কমিউনিটিতে একটি অবস্থান তৈরী করে নিয়েছেন। মৌমিতা আহমেদকে কেন্দ্র করে সংঘটিত দুটি ঘটনা মূলধারায় আলোড়নের সৃষ্টি করে। একটি হলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাইমারিতে প্রার্থিতা দেয়া সিনেটর বার্নি স্যান্ডাসের এনডোর্সমেন্ট আর দ্বিতীয়টি হলো তাকে রোখার জন্য একটি বিশেষ গোষ্ঠীর পক্ষে লক্ষাধিক ডলার ব্যয়ে প্রচারণা। দুটি খবরই নিউইয়র্ক টাইমস, ডেইলি নিউজ সহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় গুরুত্বেও সাথে। এমন কি নির্বাচনের দিন ডেইলি নিউজ যে খবর ছাপে তাতে স্পষ্ট বোঝা যায়, অন্য কাউকে নয় সকল প্রার্থীর মধ্যে একজনকে ভয় পাচ্ছে প্রগ্রেসিভ বিরোধীরা-তিনি মৌমিতা আহমেদ।
এবার ২২ জুনের প্রাইমারিতে মঙ্গলবার প্রগ্রেসিভ কংগ্রেসউয়োম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজ মৌমিতা আহমেদকে এনডোর্স করলে এই খবরটিও ঐদিনই প্রকাশ করে ডেইলি নিউজ। এই নির্বাচনে কুইন্স থেকে প্রগ্রেসিভ ডেমোক্র্যাট হিসেবে সিটি কাউন্সিলে যারা প্রতিদ্বন্দি¦তা করেছেন তারা হলেন মৌমিতা আহমেদ ছাড়াও জেসলিন কোর, টিফানি ক্যাবান প্রমুখ। মৌমিতা আহমেদ একজন নবাগত কাউন্সিল প্রার্থী হিসাবে যে বিপুল এবং মূল্যবান এনডোর্সমেন্ট পেয়েছেন, তা যেকোনো বাংলাদেশীর জন্য গৌরবের হতে পারে। মৌমিতা আহমেদ যে মূলধারায় একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন সেটা দেখেই বোঝা যায়, তার এগিয়ে যাওয়ায় তারা আতংকিত। আর এই বিষয়টি সকল বাংলাদেশী এবং অন্য দেশী ইমিগ্র্যান্টদের জন্যও বড় মেসেজ হতে পারে যে ইমিগ্র্যান্টদের রুখতে এখানকার মূলধারার তথাকথিত রাজনৈতিক মেশিন কতটা তৎপর। মৌমিতা আহমেদ শুধু প্রথম প্রজন্মের ইমিগ্র্যান্ট নন, তিনি মুসলমান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নির্ভয় ও প্রগ্রেসিভ।
মোহাম্মদ সাবুল উদ্দিন
বাংলাদেশ রিপোর্ট : আগামী ২২ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ডিষ্ট্রিক্ট ২৪ এর কাউন্সিলম্যান পদে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২২ জুন। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত মোহাম্মদ সাবুল উদ্দিন বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা, এলায়েন্স অফ সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার (অ্যাসাল) এর কুইন্স চ্যাপ্টারের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর , এডি২৪ এর অলটারনেট জুডিশিয়াল ডেলিগেট । নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এ গুরুত্বপূর্ণ এই আসনের নির্বাচনে এবার প্রার্থী বাংলাদেশী আমেরিকান সাবুল উদ্দিন । কুইন্স কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এ বড় একটি সংখ্যক ভোটার হচ্ছে বাংলাদেশী। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রার্থী সাবুল উদ্দিন নিজ অবস্থান থেকে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। সিটির ডেমোক্র্যাট দলীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সমর্থনও পেয়েছেন তিনি । সাবুল উদ্দিন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যাতায়াত ব্যবস্থা, পরিবেশ, গৃহায়ন সহ নানাবিধ স্থানীয় উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তার নির্বাচনী ইস্যুতে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি এবং পবিত্র রমজান মাসে তিনি মুসল্লিদের সঙ্গে জনসংযোগ ও মতবিনিময় করছেন। এছাড়া করোনাকালে সমস্যায় পতিত লোকদের মধ্যে তিনি খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট পৌছে দিচ্ছেন। তিনি ডাকযোগে বাসায় বাসায় পাঠাচ্ছেন তার প্রচারপত্র। যোগাযোগ করছেন টেলিফোনে। সিটি কাউন্সিলের এ নির্বাচনকে ঘিরে বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যামাইকা এলাকায় আলোচনা অব্যাহত আছে। জনাব সাবুল উদ্দিন জানিয়েছেন যে, জনসংযোগে তিনি আশাতীত সাড়া পাচ্ছেন। অনেকে নিজেদের উদ্যোগে তাকে সর্বতোভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছেন্ন।
তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে সহায়তা দেয়ার জন্য ‘স্মল জবস সারভাইভাল অ্যাক্ট পাসের জন্য সমর্থন দান, অ্যাফোর্ডেবল হাউজিং এর আওতা সম্প্রসারণের জন্য ভূমিকা পালন, যাতে অধিক সংখ্যক সাধারণ আয়সম্পন্ন নাগরিকরা সাধ্যের মধ্যে বাসস্থাপন পেতে পারে।উল্লেখ্য, সাবুল উদ্দিন বিগত ত্রিশ বছর যাবত ডিষ্ট্রিক্ট ২৪ এর অধীন জ্যামাইকা এলাকায় বসবাস করছেন এবং এ কারণে তিনি এলাকার সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যাগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। এলাকায় তিনি সকলের পরিচিত এবং সেবাকাজে তার ভূমিকা সম্পর্কে সকলে অবহিত। তিনি রোরি ল্যান্সম্যানের সঙ্গে সহযোগিতা করে হিলসাইড এভিনিউয়ে গার্বেজ ক্যান স্থাপন করেছেন, নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলগুলোতে হালাল ও কোশের খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রে পাইলট কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা। এছাড়া তিনি নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলে ছুটির তালিকায় দুই ঈদের দিন যুক্ত করার জন্য লবি করে সফল হয়েছেন। কর্মস্থলে ধর্মীয় পোশাক পরিধানের ওপর আনীত বিল পাসের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ওপর সফলতার সঙ্গে চাপ প্রয়োগ করেছেন। তিনি সকলের সমর্থন ও দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
সাবুলকে অ্যাসালের সমর্থন : নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে ডিস্ট্রিক্ট ২৪ থেকে কাউন্সিলম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ সাবুল উদ্দিনকে সমর্থন দিয়েছে অ্যালায়েন্স ফর সাউথ এশিয়ান আমেরিকান লেবার (অ্যাসাল)। ১২ জুন গত শনিবার জ্যামাইকার হিলসাইড অ্যাভিনিউ এবং ১৬৮ স্ট্রিটের কর্ণারে আয়োজিত এক পথসভায় অ্যাসাল সভাপতি মাফ মিসবাহ উদ্দিন এই সমর্থন জানান। এ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জর্জিয়া স্টেট সিনেটর শেখ রহমান, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির প্রধান উপদেষ্টা এ বি এম ওসমান গণি এবং একই সংগঠনের সভাপতি ও কমিউনিটি লিডার ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবুল উদ্দিন ক্যাম্পেইন ট্রেজারার জুলকার নাইন হায়দার, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট সাইকুল ইসলাম, আফরোজা পারভীন প্রমুখ।
সাবুল উদ্দিনকে সমর্থন জানিয়ে অ্যাসাল সভাপতি মাফ মিসবাহ উদ্দিন বলেন, ‘আমি গত ৩৩ বছর ধরে সাবুল উদ্দিনকে চিনি। তিনি একজন যোগ্য প্রার্থী। বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন।’ তিনি বলেন, সাবুল দীর্ঘদিন মূলধারার রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি প্রবাসীদের কথা সিটি কাউন্সিলে তুলে ধরতে পারবেন। জর্জিয়া স্টেট সিনেটর শেখ রহমান আগামী ২২ জুন প্রাইমারিতে বাংলাদেশি প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশিরা নির্বাচিত হলে পুরো কমিউনিটির মুখ উজ্জ্বল হবে। উল্লেখ্য, কাউন্সিলম্যান প্রার্থী সাবুল উদ্দিন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের কার্যকরী সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধওে অ্যাসালের সঙ্গেও জড়িত।
সাইফুর খান
নিউইয়র্ক : নিউইয়র্ক সিটির আসন্ন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রাইমারি নির্বাচনে কুইন্সের কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট-২৪ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাইফুর খান এর নির্বাচনী প্রচারণা এগিয়ে চলছে। সভা-সমাবেশ, পোষ্টার, গণ সংযোগ, ফোনকল প্রভৃতির মাধ্যমে চলছে এই প্রচারণা। সেই সাথে তার সমর্থনে এগিয়ে আসছেন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। ভোটারদের ঘরে ঘরে ডাকযোগে যাচ্ছে তার প্রচারপত্র। কাউন্সিলম্যান পদপ্রার্থী সাইফুর খান হারুনের নির্বাচন প্রচারনী ক্যাম্প থেকে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এসময় জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউ সহ তার নির্বাচনী এলাকায় এই গণসংযোগ চলে। গণসংযোগকালে তারা কাউন্সিল পদপ্রার্থী সাইফুর খানের নির্বাচনী এজেন্ডা তুলে ধরেন এবং ২২ জুন ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তারা। সাইফুর খান বলেন, এবারের নির্বাচনে ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এর আসনটি বাংলাদেশী আমেরিকানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনে বাংলাদেশী প্রার্থীদের জয়ের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। তিনি তাকে নির্বাচিত করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
সাইফুর খান হারুনের সমর্থনে গাড়ী মিছিল আর পথসভা
নিউইয়র্ক (ইউএনএ) : নিউইয়র্ক সিটির আসন্ন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রাইমারী নির্বাচনে কুইন্সের কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক্ট ২৪ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সাইফুর খান হারুনের নির্বাচনী প্রচারণা এগিয়ে চলছে। সভা-সমাবেশ, পোষ্টার, গণ সংযোগ, ফোনকল প্রভৃতির মাধ্যমে চলছে এই প্রচারণা। সেই সাথে তার সমর্থনে এগিয়ে আসছেন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। ভোটারদের ঘরে ঘরে ডাকযোগে যাচ্ছে ভোট দেয়ার আহ্বান সম্বলিত প্রচারপত্র। আবার মসজিদে মসজিদে গিয়েও চলছে দোয়া প্রার্থনা। এদিকে এবারের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ‘গাড়ী মিছিল’ বের করে হারুন খান নেকটা চমক লাগিয়ে তার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। গত ১১ জুন শুক্রবারও তার পক্ষ থেকে জ্যামাইকাতে শেষ ক্যাম্পেইন ‘গাড়ী মিছিল’ বের করা হয়। অপরদিকে জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউ ও ১৬৮ স্ট্রীটে পথসভার আয়োজন করা হয়। এতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন।
পথসভায় সাইফুর খান হারুনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ সহ অন্যান্যের মধ্যে প্রবীণ প্রবাসী নাসির আলী খান পল, কুইন্স ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিষ্ট্রিক্ট এট লার্জ এটর্নী মইন চৌধুরী, আসন্ন নির্বাচনে কুইন্স কাউন্টির ডিষ্ট্রিক্ট জজ পদপ্রার্থী এটর্নী সোমা সাইদ, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকার সভাপতি মইনুল হক চৌধুরী হেলাল, জেএসি’র সেক্রেটারী মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বিয়ানীবাজার সমিতি পেনসেলভেনিয়ার সভাপতি মাসুদুল ইসলাম খান, বিশিষ্ট রাজনীতিক জিল্লুর রহমান জিল্লু, মিজানুর রহমান ভূইয়া (মিল্টন ভূইয়া), কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট তৈয়বুর রহমান, ইশতিয়াক রুপু, বেলাল আহমেদ চৌধুরী, খায়রুল ইসলাম খোকন, স্বপ্না খান, ডা. নার্গিস রহমান, শেখ হায়দার আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এই পর্ব পরিচালনা করেন সাইফুর খান হারুনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এবাদ চৌধুরী।
সভায় বক্তারা আগামী ২২ জুনের নির্বাচনে সাইফুর খান হারুনকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। এদিকে সাইফুর খান হারুনের নির্বাচনী প্রচার সেল থেকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে কাউন্সিলম্যান পদপ্রার্থী হারুন সহ তার ক্যাম্পেইনের পক্ষ থেকে ব্যাপক গণ সংযোগ করা হয়। বিশেষ করে এসময় জ্যামাইকার হিলসাইড এভিনিউ সহ তার নির্বাচনী এলাকায় এই গণসংযোগ চলে। গণসংযোগকালে তারা খানের নির্বাচনী এজেন্ডা তুলে ধরেন এবং ২২ জুন ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। সাইফুর খান হারুন বলেন, আগামী নির্বাচন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনী ডিষ্ট্রিক্ট ২৪-এর আসনটি বাংলাদেশী-আমেরিকানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এবারের নির্বাচনে বাংলাদেশী প্রার্থীদের জয়ের যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তবে বিজয় নিশ্চিত। তিনি তাকে নির্বাচিত করার আহবান জানান।
Posted ১:০৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh