বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ের ৯৪ জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির অধীনে খাদ্যসামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া অভিযোগ পর্যালোচনা করে দুদক মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বে যাচাই-বাছাই কমিটি এই ৯৪ জনের তালিকা তৈরি করে এবং পরে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের মধ্যে ৩০ জন ইউপি চেয়ারম্যান ও ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করেছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকালে এই জনপ্রতিনিধিরা সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের বঞ্চিত করেছেন।
এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ ৯৪ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন। ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দুদক।’
দুদক জানায়, ৯৪ জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রতারণা, কারসাজি করে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাস্টাররোলে চাল, গম আত্মসাৎ, সরকারের ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের নামে কালোবাজারি, অসহায় জেলেদের ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির অধীনে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি এবং অনিয়ম-দুর্নীতি ও উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা তৈরি করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎ।
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নানা দুর্নীতির অভিযোগে এই পর্যন্ত ২১টি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আদালতে চার্জশিট পেশের জন্য মামলাগুলোর তদন্ত চলছে।
Posted ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh