বাংলাদেশ ডেস্ক : | সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে চীন। সোমবার (২৯ জুন) এ খবর দিয়েছে ইয়াহু নিউজ। তারা বলছে, দেশটির সেনাবাহিনীর গবেষণা শাখা এবং স্যানসিনো বায়োলজিকসের (৬১৮৫.এইচকে) তৈরি একটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মানব শরীরে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে। আপাতত ভ্যাকসিন শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যবহার করা হবে।
স্যানসিনো বলেছে, চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশন গত ২৫ জুন এডি৫-এনকোভ ভ্যাকসিনটি সৈন্যদের দেহে এক বছরের জন্য প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। স্যানসিনো বায়োলজিকস এবং একাডেমি অফ মিলিটারির একটি গবেষণা ইনস্টিটিউট যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে।
গত ডিসেম্বরে নভেল করোনাভাইরাস চীনে ছড়িয়ে পড়লে দেশটির সেনাবাহিনীর গবেষক দল ভ্যাকসিন তৈরিতে মাঠে নামে। পরে তারা ক্যানসিনোর সঙ্গে চুক্তি করে। হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি আসে ১৮ মার্চ।
ক্যানসিনোর দাবি, প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে তাদের ভ্যাকসিন সফল হয়েছে। ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী মানুষদের শরীরে এটি করোনা প্রতিরোধী উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। প্রথম দুই ধাপের ডেটা বিশ্লেষণ করেই ভ্যাকসিনটির সামরিক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের বিষয়ে কোম্পানিটি এখনো কিছু জানায়নি।
চীনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ থেকে হিউম্যান ট্রায়ালে আছে দুটি ভ্যাকসিন। ইতিমধ্যে একটি প্রথম দুই ধাপের সফলতা নিয়ে তৃতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে। চূড়ান্ত এই ধাপের ট্রায়াল শুরু হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এই ভ্যাকসিনটি ইতিমধ্যে চীনের সরকারি কর্মকর্তাদের দেয়া শুরু হয়েছে।
ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে সাধারণত তিনটি ধাপ অনুসরণ করা হয়। প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ধাপ বেশি চ্যালেঞ্জিং। এই দুই ধাপে একসঙ্গে অনেক মানুষকে যুক্ত করা হয়। চূড়ান্ত ঝুঁকি এখানেই বোঝা যায়। চীন বলছে চলতি বছরের শেষ দিকে অথবা সামনের বছরের শুরুতে তাদের যেকোনো একটি ভ্যাকসিন বাজারজাত করা হবে। ইতিমধ্যে দেশটির কর্মকর্তারা কথা দিয়েছেন প্রথম যে দেশগুলো ভ্যাকসিন পাবে, বাংলাদেশ তার মধ্যে থাকবে। সূত্র-গ্লোবাল টাইমস।
Posted ১২:৩১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh