নিউইয়র্কে এম্পায়ার এস্টেট বিল্ডিংয়ের চেয়ে বড় জাহাজ

বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

নিউইয়র্ক হারবারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকৃতির জাহাজ নোঙর করেছে গত ২০ মে বৃহস্পতিবার। এটি একটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ, যা দৈর্ঘে এম্পায়ার এস্টেট বিল্ডিং এর চেয়েও বড়। “সিজিএম মার্কো পোলো” নামের ১,৩০০ ফুট দীর্ঘ জাহাজটি ম্যানহাটানের ৫টি নর্থ-সাউথ ব্লকের দৈর্ঘ্যকেও ছাড়িয়ে যাবে। এ জাহাজ ৪০ ফুট আকৃতির ৮,০০০ কন্টেইনার বহন করার ক্ষমতাসম্পন্ন। বিশাল এ জাহাজ বয়ে এনেছে আমাজন, ওয়ালমার্ট, লাওয়েস এর মত বড় বড় কর্পোরেশনের মালামাল ভর্তি কন্টেইনার। বৃহস্পতিবার সকালে মার্কো পোলো ভেরাজেনো ব্রিজের নিচ দিয়ে এসে স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে পাশ কাটিয়ে বেওন ব্রিজের নিচ দিয়ে অতিক্রম করার পর এলিজাবেথ-পোর্ট অথরিটি মেরিন টার্মিনালে থামে। মার্কো পোলোর ক্যাপ্টেন ভিনকো সেপারোভিক একজন ক্রোশীয় এবং তার জাহাজে যেসব ক্রু রয়েছেন তারা ছয় ভাষায় কথা বলেন।

জাহাজটি যখন বন্দরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন বেওন ব্রিজ থেকে দর্শকরা সেটি অবলোকন করে এবং ছবি তোলো। ২০১৩ সালে যখন মার্কো পোলো নির্মিত হয় তখন এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় কন্টেইনারবাহী জাহাজ। কিন্তু পরবর্তী বছরগুলোতে এর চেয়ে বড় জাহাজ নির্মিত হয়েছে এবং এখন প্রতিবছর জাহাজ কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতা করছে বড় বড় জাহাজ নির্মাণের জন্য। মার্কো পোলো বিশ্বের ১৫টি বড় জাহাজের মধ্যেও গণ্য নয়। কারণ এখন দুই হাজার ফুটের চেয়েও দীর্ঘ জাহাজ আছে বিশ্বে। এ ধরনের জাহাজের পক্ষে বন্দরে ভেড়াও কঠিন ব্যাপার। পাঁচ বছর আগেও মার্কো পোলো নিউইয়র্ক বন্দরে ভিড়তে পারেনি। সেজন্য পোর্ট অথরিটিকে ২০১৭ সালে বেওন ব্রিজের রাস্তার উচ্চতা বৃদ্ধি করতে হয়েছে, যাতে বড় জাহাজের এন্টেনা ব্রিজের নিচের স্প্যানগুলোকে স্পর্শ না করে।

এর আগে ২০১৬ সালে ভেরাজেনো ব্রিজ থেকে এলিজাবেথ টার্মিনাল পর্যন্ত নৌ-চ্যানেলের গভীরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নিউইয়র্কে পৌছার পূর্বে মার্কো পোলো গত ৩০ এপ্রিল কলম্বো থেকে নোঙর তোলে এবং ৭ মে সুয়েজ ক্যানেল হয়ে ১৭ মে নোভা স্কোটিয়ার হ্যালিফ্যাক্স পৌছে। সেখান থেকে যাত্রা করে নিউইয়র্ক বন্দরে পৌছে গত ২০ মে। ন্উিইয়র্ক বন্দরে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সাতটি বিশাল ক্রেন কয়েক হাজার কন্টেইনার খালাস করার পর জাহাজটি গত শনিবার ভার্জিনিয়ার নরফোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। মার্কো পোলোর ২৫ জন ক্রু মেম্বারকে জাহাজ থেকে অবতরনের অনুমতি দেয়া হয়নি। অনেক ক্রু মেম্বার বলেছেন যে তারা অন্তত ছয় মাস ধরে শুকনো মাটিতে পা ফেলতে পারেননি।