বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের এক সুপ্রীম কোর্ট জজ নিউইয়র্ক সিটিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটদানের অধিকার সম্পর্কি সিটির আইনকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ও নিউইয়র্ক স্টেটের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে ঘোষণা করেছে। ফলে সিটিতে বসবাসকারী আট লাখের বেশি ইমিগ্রান্ট, যারা গ্রীনকার্ডধারী বা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা তারা সিটির কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। স্টেট সুপ্রীম কোর্টের বিচারক রালফ জে পোরজিয়ো গত সোমবার তার রুলিংয়ে বলেছেন, নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল অনাগরিকদের সিটি নির্বাচনে ভোটাধিকার দেওয়ার আইন প্রণয়ন করে কার্যত সংবিধান লংঘন করেছে।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল গত ডিসেম্বর মাসে একটি আইন পাস করার মাধ্যমে সিটির আট লাখের বেশি গ্রীনকার্ডধারীকে মেয়রসহ সিটি কাউন্সিলে ভোটাধিকার প্রদান করেছিল। তারা সিটির প্রাইমারীকে নির্বাচনগুলোতেও ভোট দিতে পারবে বলে আইনে বলা হয়েছিল। গ্রীনকার্ডধারীরাও আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন যে তারা আমেরিকান নাগরিক হওয়ার আগেই সিটির নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সিটিতে তাদের কণ্ঠকে আরও সোচ্চার করতে পারবেন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কিন্তু তা আর হলো না। সিটির আইনটি আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। বিচারক রালফ পোরজিয়ো বলেছেন, নিউইয়র্ক সিটির এই আইন আমেরিকান সংবিধানের গাইলাইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। কারণ এতে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে কেবলমাত্র নাগরিকরাই ভোট দেওয়ার যোগ্য। অনাগরিকদের ভোটাধিকার দিতে হলে রেফারেন্ডামের প্রয়োজন হবে।
নিউইয়র্ক সিটি এই আইন প্রণয়নের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার প্রশ্নে জাতীয় বিতর্কের মুখে পড়ে এবং অনেক বড় সিটিতে নিউইয়র্ক সিটির দৃষ্টান্ত অনুসণের পক্ষেও অধিকার প্রবক্তারা মুখ খোলেন। কিন্তু অনাগরিকদের ভোটাধিকার প্রদানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন এ ধরনের উদ্যোগ নিষিদ্ধ করার জন্য। স্টেট ও ফেডারেল রিপাবিলিকান পার্টির নেতা এবং স্থানীয় রিপাবলিকান প্রতিনিধিরাও এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করেন। স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের রিপাবলিকান কাউন্সিলম্যান জোসেফ বোরেলি, যিনি সিটির আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে যারা আমাদের স্টেট কন্সটিটিউশন ও স্টেটের নির্বাচন সংক্রান্ত বিধিসমূহের সহজ ইংরেজিগুলো পড়তে পারেন, আদালতের আজকের সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। নিউইয়র্কে অনগারিকদের ভোটাধিকার অবৈধ।
মেয়র এরিক অ্যাডামসের মুখপাত্র ফ্যাবিয়ান বলেছেন, সিটির কর্মকর্তারা পরবর্তী পদক্ষেপের কথা চিন্তাভাবনা করছেন। অ্যাডামস প্রথমে আইনটি সমর্থন করলেও মেয়র হওয়ার পর তিনি সিটি কাউন্সিলে পাস হওয়া বিলে স্বাক্ষর করেননি। কিন্তু তিনি স্বাক্ষর না করলেও এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনে পরিণত হয়েছে।
Posted ৯:১৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh