বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
৯ বছর পর যুবাদের হাত ধরে শিরোপার মুখ দেখলো বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবল। সেই ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার পর থেকে শুরু হওয়া খরা মেটালেন মিরাজুল ইসলামরা। নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে স্বাগতিকদের ৪-১ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্ব নিজেদের করে নিয়েছেন মারুফুল হকের শিষ্যরা। গত আসরে রানার-আপ হওয়ার ক্ষত এবার শিরোপা উল্লাস দিয়ে পুষিয়ে নিলেন বাংলার যুবারা।
২০০৩ সালে ঢাকায় হওয়া সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সঙ্গে অদ্ভুত মিল রয়েছে এবারের শিরোপার। সেবার ভারতকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। কাঠমান্ডুতে অনূর্ধ্ব-২০ সাফেও হয়েছে তাই। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টাইব্রেকে হারিয়ে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় আজকের ফাইনালে। ২১ বছর আগের ফাইনালে বাংলাদেশ খেলেছিল নিয়মিত অধিনায়ক রজনীকান্ত বর্মণকে ছাড়া। আজও বাংলাদেশ খেলে নিয়মিত অধিনায়ক মেহেদী হাসান শ্রাবণকে বাইরে রেখে। তবে ঢাকা স্টেডিয়ামের সেই ভাগ্যটাই আজ পুনরাবৃত্তি হয়েছে কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে। শিরোপা উঠেছে বাংলাদেশের যুবাদের হাতে।
মাত্র দুই সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে নেপাল গিয়েছিল বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ কোচ মারুফুল হক এই সময়টার পূর্ণ সদ্ব্যবহারে লড়াকু রূপ দিয়েছেন দলটিকে। তবে শুরু থেকে চলার পথে ছিল চড়াই-উৎরাই। গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কাকে হারালেও বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল নেপালের কাছে। ওই হারের কারণে গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় দল হয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সামনা করতে হয় সেমিফাইনালে।
আজ প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ফ্রি-কিক থেকে মিরাজুলের অসাধারণ গোলে বাংলাদেশ লিড নেয়। বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক আদায় করে নিয়ে নিজেই ডান পায়ের বাঁকানো শট নেন। তা সাইড পোস্টে আঘাত করে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিরাজুল। ৭০ মিনিটে মিরাজুলের বাড়িয়ে দেওয়া বলেই বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁকানো শটে নেপাল গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন রাব্বি হোসেন রাহুল। ৮০ মিনিটে সামির তামাঙ একটি গোল শোধ করলেও যোগ করা সময়ে পিয়াস আহমেদ নোভা দেশের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন।
Posted ৫:০০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh