বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আরও ৪১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এখন চলছে উদ্ধারকাজ। স্থানীয় সময় শুক্রবার অঙ্গরাজ্যের স্যান অ্যান্টোনিও শহরে প্রবল বর্ষণের ফলে সেখানকার গুয়াদালুপ নদীর পানি প্রায় নয় মিটার (২৯ ফুট) বেড়ে যায়। এতে আশেপাশের এলাকা তলিয়ে যায়। হঠাৎ ব্যাপক বন্যা হয়। নদীর ধারেই ছিল একটি খ্রিষ্টান গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প। সেখানে ৭৫০ শিশু অবস্থান করছিল। খবর সিএনএন ও বিবিসির
কার কাউন্টির পুলিশ কর্মকর্তা ল্যারি লেইথা সাংবাদিকদের জানান, কার কাউন্ট্রিতে ৬৮ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২৮ জনই শিশু। শনিবার সকালে বন্যার পানি সরে যেতে শুরু করলে ওই অঞ্চল থেকে প্রায় ৮৫০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়াও কার কাউন্টিতে উদ্ধার হওয়া ১৮ জন যুবক ও ১০ শিশুর পরিচয় জানা যায়নি।
কার কাউন্টির কাছের শহর কারভিলের নগর ব্যবস্থাপক ডাল্টন রাইস জানিয়েছেন, ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী ১০ জন শিশু এবং একজন কাউন্সিলর এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
সিএনএন জানিয়েছে, টেক্সাসে বন্যায় এ পর্যন্ত অন্তত ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কার কাউন্ট্রিতে ৬৮, ট্রাভিস কাউন্ট্রিতে ৬ জন, বার্নেট কাউন্ট্রিতে ৩ জন, কেনডাল কাউন্ট্রিতে ২ জন, উইলিয়ামসন কাউন্ট্রিতে ২ ও টম গ্রিন কাউন্ট্রিতে একজন মারা যান।
এদিকে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা (এনডব্লিউএস) জানিয়েছে, কার কাউন্টিতে বন্যার জরুরি অবস্থা মূলত শেষ হয়ে এসেছে। তবে তারা আরও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে এবং বন্যা পর্যবেক্ষণ চালু আছে। কর্মকর্তারা বলছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই অঞ্চলে আরও ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে, যা উদ্ধারকাজকে ব্যাহত করতে পারে। এছাড়া বন্যার কারণে অনেক স্থানে ধ্বংসাবশেষ ও ব্যাপক কাদার কারণে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হচ্ছে। এমনকি তাদের বিষধর সাপের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
টানা তিনদিনের বন্যার পর টেক্সাসের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। কেরি কান্ট্রিতে ১৮ জন প্রাপ্ত বয়স্কো এবং ১০ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট রোববার বলেছেন, প্রত্যেক নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে। ডাল্টন রাইস বলেন, উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযানে সহায়তার জন্য এক হাজারেরও বেশি উদ্ধারকর্মী ঘটনাস্থলে আছেন। এতে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছু মানুষকে গাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সহায়তার জন্য মার্কিন কোস্টগার্ডের গার্ডের হেলিকপ্টারও এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বন্যা মোকাবিলায় রাজ্য ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্যার পানিতে ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে গেছে। স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাতে কের এলাকায় ১২ ইঞ্চি বৃষ্টি হয়েছে। এটি এলাকাটিতে বছরে মোট বৃষ্টির তিন ভাগের এক ভাগ।
Posted ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh