বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
ডা. গুলশান মালহোত্রা ও ডা. সুরিন্দর মালহোত্রা।
নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সের রিগোপার্কে একই মেডিকেল অফিসে তিনজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কমিউনিটির মানুষের সেবায় নিয়োজিত। এরা হলেন নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুরিন্দর মালহোত্রা, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গুলশান মালহোত্রা এবং সম্প্রতি তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন ব্রেস্ট, লেপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন ডা. রাজিন্দর মালহোত্রা। একই অফিসে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিরলসভাবে কমিউনিটির সেবা করে যাচ্ছেন। তাদের এ মেডিকেল অফিসে প্রতিনিয়ত সেবা নিচ্ছেন বাংলাদেশী কমিউনিটির বিপুল সংখ্যক মানুষ। ডা. রাজিন্দর মালহোত্রা এ অফিসে রোগী দেখা শুরু করার পর এর গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে।
মানবদেহের অত্যন্ত স্পর্শকাতর পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে নাক, কান ও চক্ষুর মতো তিনটি ইন্দ্রিয়য়ের চিকিৎসা সেবা একই মেডিকেল অফিসে করে থাকেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ সুরিন্দর এস মালহোত্রা ও ডাঃ গুলশান মালহোত্রা। বাংলাদেশী অভিবাসী অধ্যুষিত কুইন্সের ৯২-২৯ কুইন্স বুলেভার্ড, রিগো পার্ক মেডিকেল অফিসে দীর্ঘদিন ধরে সুনাম ও সাফল্যের সাথে নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন ডাঃ সুরিন্দর মালহোত্রা। অপরদিকে একই অফিসে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ গুলশান মালহোত্রা অত্যন্ত সুনামের সাথে প্র্যাকটিস করছেন। বোর্ড সার্টিফাইড ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে নিউইয়র্কের স্থানীয় বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ইতোমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন চিকিৎসকদ্বয়। উন্নতমানের সেবা, চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ভারতীয় উপমহাদেশের রোগীদের মাঝে আস্থা ও বিশ্বস্থতার সৃষ্টি করেছে। ফলে ক্রমেই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এ মেডিকেল অফিসে বাংলায় কথা বলায় সুযোগ থাকায় বাংলাদেশী রোগীগণ স্বাচ্ছন্দবোধ করে থাকেন।
শীতের দেশ আমেরিকায় বিপুল সংখ্যক মানুষ নাক-কান-গলার রোগে ভুগে থাকেন। এসব রোগের সাধারণ চিকিৎসা ছাড়াও বিনা ব্যথায় বিনা সার্জারীতে সম্পূর্ন নূতন পদ্ধতিতে ক্রনিক সাইনাস ও নাক ডাকা বন্ধের জন্য ব্যালন প্লাস্টি করা হয় বলে জানান ডাঃ সুরিন্দর মালহোত্রা। সর্বাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম সম্বলিত এ মেডিকেল অফিসে হেলথ প্লাস, মেডিকেইড, জিএইচআই, এইচ আইপি, ১১৯৯, ইউনাইটেড হেলথ কেয়ার, মেডিকেয়ার, এইচএমও-কেয়ার প্লাস, হেলথ ফার্স্ট, এ্যাফিনিটি, ওয়েল কেয়ার, ফিডিলিস, মেট্রোপ্লাস, এ্যামেরি গ্রুপ সহ বিভিন্ন ধরণের ইন্সুরেন্স গ্রহণ করা হয়। অপরদিকে ডাঃ গুলশান মালহোত্রা সবধরণের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন বিভিন্ন কমিউনিটির রোগীদের। এ অফিসে বাংলা ভাষাভাষী রোগীদের সুবিধার্থে সহকারী হিসেবে নিয়োগ করেছেন।
ডাঃ সুরিন্দর মালহোত্রা’র বাংলাদেশী অফিস সহকারী শারমিন বলেন, বাংলাদেশীদের জন্য আমরা বাংলায় কথা বলার জন্য কর্মরত রয়েছি। এতে বাংলাদেশী রোগীদের নাক, কান, গলা ও চোখের যেকোন সমস্যা নিয়ে বাংলায় আলোচনা করি। ডাক্তারের সাথে থেকে তাদের দো-ভাষী হিসেবে কাজ করি। রোগীর সকল সমস্যা গুলো ডাক্তার কে বুঝিয়ে বলি। আবার ডাক্তারের পরামর্শও রোগীকে বুঝিয়ে দিয়ে থাকি। সপ্তাহে ৭ দিনই আমরা খোলা রয়েছি। আমাদের রোগীদের সব রকম সহায়তা করে থাকি। কারো বড় ধরনের সার্জারীর প্রয়োজন হলেও সরকারি হসপিটালে নিয়ে তার ব্যবস্থা করে থাকি। যেকোন টেষ্ট এর জন্য ম্পেশালাইজড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রেফার করে থাকি। সাথে সাথেই এলার্জি টেষ্ট করে নিই। অনেক রোগীর ইন্স্যুরেন্সে কাভারেজ না থাকলেও আমরা তার চিকিসায় সহায়তা করে থাকি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ, পাকিস্থান, ভারত, নেপালসহ এশিয়া ও আমেরিকার সকল ধর্ম বর্ণের রোগীই আমাদের এখান থেকে নিয়মিত চিকিসা নিচ্ছেন। ডাঃ সুরিন্দর মালহোত্রা বলেন, বাংলাদেশ থেকে আগত অনেক বয়স্ক রোগীর ইন্স্যুরেন্স বা মেডিকেড থাকেনা। তাদেরও আমি চিকিৎসা করে থাকি। কারণ চিকিৎসা একটি মহান ও মানবিক কাজ। আর মানবিক দিক বিবেচনা করেই চিকিসা দিয়ে থাকি। তিনি বলেন, আমি একজন এশিয়ান চিকিসক হিসেবে নিজ পরিবারের সদস্যের মতই রোগীর সমস্যা বুঝি। সেই ভাবেই চিকিৎসা দিয়ে থাকি। বিশেষ করে ইন্ডিয়ান, বাংলাদেশী, পাকিস্থানী এসব রোগীদের কোন অসুবিধা থেকে নাক, কান, গলা ও চোখের সমস্যা হয়। সেই বিষয় গুলো আমি জানি। আর সেই পারিপার্শিক অবস্থা বিশ্লেষণ করেই চিকিৎসা দিয়ে থাকি।
ডাঃ মালহোত্রা বলেন,বাংলাদেশী ইএনটি ও চোখের যেকোন মেজর সমস্যা নিয়েই নিশ্চিন্তে আমার এখানে আসতে পারেন। যাদের ইন্স্যুরেন্স কাভার করে না, তাদেরও চিকিৎসা দিয়ে থাকি। আমাদের মেডিকেল অফিসে রোগীদের নিজ ভাষা বাংলায় কথা বলার জন্য বাংলাদেশী সহকারী রয়েছে। চিকিৎসা পেশা আমার নিকট একটা সেবা। সেবাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি।
Posted ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh