বাংলাদেশ ডেস্ক : | রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
কভিড-১৯ মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ে কখন ভ্যাকসিন বাজারে পাওয়া যাবে, বিশ্বব্যাপী রুদ্ধশ্বাস সেই অপেক্ষা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিবডি থেরাপিতে বেশ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ভ্যাকসিন বাজারে আসার আগেই হয়তো চলতি বছর অ্যান্টিবডি থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করা যাবে।
অ্যান্টিবডি হলো শরীর কর্তৃক উৎপন্ন প্রোটিন, যা সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে। রানী ভিক্টোরিয়ার সময়কাল থেকেই বিজ্ঞানীরা চিকিৎসার জন্য এই প্রাকৃতিক সুরক্ষা ব্যবস্থা কাজে লাগাতেন। ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারীর সময় চিকিৎসকরা প্রমাণ করেছেন, কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা (রোগ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তির অ্যান্টিবডিযুক্ত রক্তের প্লাজমা) ফ্লুর সঙ্গে লড়াই করতে পারে। অতীতে সার্স (২০০২-০৩) ও মার্সের (২০১২) মতো ভয়াবহ ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াইয়েও এই কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা ব্যবহূত হয়েছে, এখন কভিড-১৯-এর চিকিৎসায় এর কিছু সাফল্য দেখতে পাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু লাখ লাখ মানুষের চিকিৎসার জন্য এত পরিমাণ প্লাজমা কে দেবে? সব সেরে ওঠা রোগী আবার এটি দিতেও চান না। তাই বিজ্ঞানীরা বিকল্প পথ খুঁজে নিয়েছেন। আধুনিক ওষুধই এই কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমার কাজটি করে দিতে পারে। গবেষণাগারে তৈরি হতে যাওয়া এই ওষুধকে বলা হচ্ছে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি।
অ্যান্টিবডি চিকিৎসার চেয়ে ভ্যাকসিন বেশি কার্যকর, কেননা এটি শরীরে দীর্ঘ সময় কাজ করতে পারে। অ্যান্টিবডি এক কিংবা দুই মাস পর কার্যক্ষমতা হারায়। তবে নার্স, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সুরক্ষার জন্য সাময়িকভাবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এরই মধ্যে কভিডে আক্রান্তদের চিকিৎসাও এ দিয়ে করা যাবে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফউসি এ নিয়ে বলেন, ‘ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ কিংবা চিকিৎসার জন্য মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি, কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা ও হাইপারইমিউন গ্লোবালিন পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট এগিয়ে গেছি।’ সিএনএন
Posted ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh