বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৩ আসরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পাঁচবার শিরোপা জিতল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এই পাঁচটি শিরোপা জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ভারতীয় তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা।
১০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) আইপিএলের ১৩তম আসরের ফাইনালে স্রেয়াশ আইয়ারের নেতৃত্বাধীন দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় এবং সবমিলে পঞ্চম শিরোপা ঘরে তুলে মুম্বাই।
এর আগে ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে ভারতের সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে আইপিএল শিরোপা জিতেছিল রোহিত শর্মার দল। আর ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ান তারকা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বাধীন রাইজিং পুনেকে হারিয়ে শিরোপা জিতে মুম্বাই।
১০ নভেম্বর দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ট্রেন্ট বোল্টের গতির মুখে পড়ে ২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় দিল্লি। ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার মার্কাস স্টয়নিস। এরপর নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে আজিঙ্কা রাহানের উইকেট তুলে নেন বোল্ট।
চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাওয়া শিখর ধাওয়ান আউট হন জয়ন্ত যাদবের স্পিনে। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে মাত্র ২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দিল্লি। মাত্র ২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া দলকে খেলায় ফেরাতে হাল ধরেন অধিনায়ক স্রেয়াশ আইয়ার ও ঋষভ পন্ত। চতুর্থ উইকেটে ৯৬ রানের দায়িত্বশীল জুটি গড়েন তারা।
ফিফটির পর বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন ঋষভ পন্ত। তার আগে ৩৮ বলে ৪টি চার ও দুই ছক্কায় করেন ৫৬ রান। ছয় নম্বর পজিশনে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি দিল্লির ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান সিমরন হিতমার। আগের ম্যাচে ২২ বলে ৪২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা এ তারকা ব্যাটসম্যান এদিন ফেরেন মাত্র ৫ রানে।
এরপর অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান স্রেয়াশ আইয়ার। ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলেন দিল্লির এ অধিনায়ক। তার ৫০ বলের ৬ চার ও এক ছক্কায় গড়া ৬৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান করে দিল্লি। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪৫ রানে ফেরেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক (২০)। দ্বিতীয় উইকেটে সুরাইয়াকুমার যাদবের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক রোহিত। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন যাদব (১৯)।
এরপর ইশান কিশানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে রোহিত। দলের জয়ের জন্য শেষ দিকে ২২ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২০ রান। খেলার এমন অবস্থায় নর্টিজের বলে ললিত যাদবের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। তার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৬৮ রান।
পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে কাগিসো রাবাদার গতির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন কায়রন পোলার্ড। তার বিদায়ে জয়ের জন্য তেমন কোনো ব্যাক পেতে হয়নি মুম্বাইকে। উইকেটে থাকা ইশান কিশানের ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে মুম্বাই। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে ১৯ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করেন ইশান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
দিল্লি ক্যাপিটালস : ২০ ওভারে ১৫৬/৭ (স্রেয়াশ ৬৫*, ঋষভ পন্ত ৫৬, ধাওয়ান ১৫; ট্রেন্ট বোল্ট ৩/৩০, নাথান কোল্টার নিল ২/২৯)।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স : ১৮.৪ ওভারে ১৫৭/৫ (রোহিত ৬৮, ইশান ৩৩*, ডি কক ২০, যাদব ১৯)।
ফল : মুম্বাই ৫ উইকেটে জয়ী।
Posted ৬:৫২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh