বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
গত এক মাসে আড়াই হাজারের অধিক অবৈধ ইমিগ্রান্টকে আটক করার মধ্য দিয়ে গত আট মাসে ইমিগ্রেশন এন্ড কাষ্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) ৯৫ হাজারের অধিক সংখ্যক ইমিগ্রান্টকে আটক করেছে। অবশ্য গত বছর আটক ইমিগ্রান্টের সংখ্যা ছিল আরো বেশি ১ লাখ ৪৩ হাজার। আটকদের মধ্য থেকে অনেক ইমিগ্রান্ট, যাদের উপর ডিপোর্টেশণ আদেশ ছিল তাদেরকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত – সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ডিপোর্ট করা হয়েছে – জনকে। আইস অতি সম্প্রতি অ্যারিজোনার ইউমা সীমান্তে একটি অত্যাধুনিক টানেলের সন্ধান পেয়েছে, যে টানেল অ্যারিজোনার স্যান লুইস থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত বিস্তৃত। য় ফুট উচ্চতা ও তিন ফুট প্রস্থের টানেলটি যুক্তরাষ্ট্রের অংশে টানেলটির দৈর্ঘ্য ২৪০ গজ। এটিতে পানির লাইন, বিদ্যুতের ব্যবস্থাও রয়েছে। মাদক ও আদম পাচারের কাজে টানেলটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। টানেলটি নির্মাণে দেড় মিলিয়ন ডলার ব্যয় এবং নির্মাণ করতে এক বছরের বেশি সময় লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে অ্যারিজোনা নোগালাস এলাকায় আরেকটি টানেলের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেটি মাটির ৫৫ ফুট নিচে খনন করা হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আরোপ ও নজরদারি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদক ও আদম পাচারকারীরা এ ধরনের টানেল ব্যবহার করছে। ১৯৯০ সালের পর থেকে এ যাবত এ ধরনের ৯৯টি টানেলের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা মাদক ও আদম পাচারকারীরা ব্যবহার করতো।
গত মাসের গ্রেফতার সম্পর্কে আইস মুখপাত্রের বক্তব্য হচ্ছে, গ্রেফতারকৃতদের অধিকাংশই ইতিপুর্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি অভিযোগ অথবা সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর পালিয়ে থাকা ও ডিপোর্টেশনের আদেশ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এমন ইমিগ্রান্ট রয়েছে। তবে অন্যের উপর হামলা ও ডমেষ্টিক ভায়োলেন্সের ঘটনায় আটক করার ঘটনা অধিক। আটকদের মধ্যে নিউইয়র্ক সিটি থেকে ৮৩ জন, নিউ জার্সি থেকে ৭৭ জন এবং ফোনিক্স থেকে ৬৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আটক হয়েছে লস এঞ্জেলেস এ, যেখাকে আটকের সংখ্যা ৩০০ এর বেশি। আইস এর এনফোর্সমেন্ট এণ্ড রিমোভাল অপারেশনস এর প্রধান হেনরি লুসেরো বলেছেন, আইস নন-ক্রিমিনাল আইন লংঘনকারীদেরকেও গ্রেফতার করছে, যদি তারা বার বার অপরাধ ঘটায় এবং তাদের উপর ডিপোর্টেশণ আদেশ থাকে। আমরা কখনো বলিনি যে আমাদের টার্গেট করা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার অভিযান বন্ধ রাখবো। জননিরাপত্তার উপর হুমকির আশংকা রয়েছে এমন ক্ষেত্রকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। তবে করোনা মহামারীর কারণে আইস কর্তৃক আটককৃতদের ডিটেনশন সেন্টারে আটকের সংখ্যা লক্ষ্যণীয় হারে হ্রাস পেয়েছে। আগষ্টের শেষ দিকে দেশ জুড়ে ডিটেনশন সেন্টারগুলোতে আটক ছিল ২০ হাজারের কিছু বেশি ইমিগ্রান্ট; গত বছরের একই সময়ে আটক ছিল ৫০ হাজারের অধিক। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৫,৪০০ জনের বেশি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং ৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
নারীসহ ১০১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
নারীসহ ১০১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ৫ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ বিমানে দেশে ফেরত পাঠানো হয় তাদের।
বিমানবন্দরে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টার পর একে একে প্লাস্টিকের বস্তার ভিতরে কিছু ব্যবহার্য জিনিসপত্র নিয়ে বের হতে থাকেন তারা। প্রতিটি বস্তার গায়ে কর্মীর নাম ও ট্রাভেল পাশ নম্বর লেখা ছিল। ফেরত আসা বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান জানান, এই কর্মীরা একেকজন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা খরচ করে বিভিন্ন দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির হাতে গ্রেফতার হন তারা। এরপর বিভিন্ন মেয়াদে ডিপোর্টেশন ক্যাম্পে থাকার পর একটি বিশেষ বিমানে ফেরত পাঠানো হয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় যুক্তরাষ্ট্র থেকে এভাবে কর্মীরা ফেরত এসেছেন।
Posted ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh