বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির মাইল ফলক ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবস। সিপাহী জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে এদিন সংহত করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব। তারা বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেন জেনারেল জিয়াকে। সূচনা হয় নূতন যুগের। তাই প্রতি বছর বিএনপি দিবসটি পালন করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিও দিবসটি পালন করেছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। দিবসটি উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে নতুন স্বৈরাচারেরও আমরা পতন ঘটাবো। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন আয়োজনের দাবি জানায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি।
গত রোববার রাতে জ্যাকসন হাইটসের কাবাব কিং বিএনপি ঘোষিত ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’-এর আলোচনা সভায় এ বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াস আহমেদ। যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম এবং যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন। ‘এক দফা এক দাবি’ ‘হাসিনা তুই কবে যাবি’ স্লোগানে বক্তারা দাবি করেন, সামনের নির্বাচন অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করা হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে মামলা-মুক্ত করতে মার্কিন প্রশাসনে দেন-দরবার করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অপর কেন্দ্রীয় সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, নেতৃত্ব নিয়ে গ্রুপিংয়ের সময় এখন নয়। বিএনপির আদর্শে অনুসারী সবাইকে এখন সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে আন্দোলনের পথে হাঁটতে হবে। প্রধান বক্তা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল বলেন, আন্দোলনের ব্যাপারে গড়িমসির অবকাশ কখনোই ছিল না এ প্রবাসে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি না থাকায় আন্তরিকতার সঙ্গে কেউই তেমন ভূমিকায় আসতে চান না।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে গিয়াস আহমেদ বলেন, পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বরের চেতনায় প্রবাসে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জেগে উঠেছেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র জন্য, আজকের এ বিশাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে তা আবারও দৃশ্যমান হলো। গিয়াস আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম, কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছি ৭ নভেম্বর। কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ জীবনবাজি রেখে যে জন্য স্বাধীনতা অর্জন করেছিল; সেই স্বাধীনতা বাকশালী শাসনের কারণেই ভন্ডুল হয়ে গিয়েছিল। গণতন্ত্রকে হত্যা, মানুষের বাক্স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবে দেশ প্রকৃতভাবে স্বাধীন হয়। তিনি আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশের প্রয়োজনে সিপাহী-জনতাই তাকে আবার ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। সেই জন্য আজকে আমি শহীদ জিয়াকে স্মরণ করছি। ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতির দিবসে বাকশালের পতন হয় এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসে।তিনি আরও বলেন, সকল স্বৈরাচারের পতন আমরাই ঘটিয়েছিলাম। আন্দোলন ও সংগ্রামের মাধ্যমে নতুন স্বৈরাচারেরও আমরা পতন ঘটাবো।
এসময় জাসাসের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান করায় হেলাল খানকে অভিনন্দন জানান অংশগ্রহণকারীরা। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বাবর উদ্দিন, এমদাদুল হক কামাল, আনোয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ এম রেজা, জাসাসের সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীন, জামাল আহমেদ জনি, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, সায়েম রহমান, যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি আবু তাহের এবং সাধারণ সম্পাদক কাওছার আহমেদ, নিউ ইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি অলিউল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের নেতা গোলাম মাহমুদ।
Posted ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh