বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
আমেরিকান ইমিগ্রেশন এটর্নি হিসেবে বিভিন্ন জটিল মামলার জট ছাড়িয়ে, ডিপোর্টেশনের খড়গ নেমে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ডিপোর্টশনের জাল থেকে বের করে এনে গ্রীন কার্ড প্রাপ্তিতে সহায়তা করাসহ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের বহু এসাইলাম বা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন মঞ্জুরের সফলতা লাভের মধ্য দিয়ে (বাকি অংশ ৪২ পাতায়)
ইমিগ্রেশন ও ব্যাঙ্কক্র্যাপসি খ্যাতি অর্জন করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত আমেরিকান আইনজীবী নরেশ গেহি। সম্প্রতি সাপ্তাহিক বাংলাদেশ এর সাথে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে নরেশ গেহির সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, আমেরিকান ইমিগ্রেশন আইনে তাঁর জ্ঞান সীমাহীন এবং যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রান্ট হিসেবে এসে বিপদে পড়া মানুষের সেবায় তিনি নিবেদিতপ্রাণ। বিশেষ করে রাজনৈতিক আশ্রয় বা এসাইলামের ক্ষেত্রে তাঁর দখল অসামান্য। ন্যায়ের পক্ষে লড়তে তিনি পিছপা হন না এবং ইমিগ্রেশনের অধিকার ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সহজভাবে মানুষকে জানাতে তিনি একটি গ্রন্থও রচনা করেছেন “ইমিগ্রেশন ফর এভরিওয়ান,” এবং এর বাইরেও তিনি ইমিগ্রান্টদের অধিকারের যুক্তি তুলে ধরে বিভিন্ন সময়ে আমেরিকার মূলধারার পত্রপত্রিকায় বিশেষজ্ঞ মতামত ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রিত হয়ে এসে ইমিগ্রেশন জটিলতায় পড়েছিলেন বলিউডের মুকূটহীন বাদশাহ হিসেবে খ্যাত অভিনেতা শাহরুখ খানের মতো ব্যক্তিত্বের আইনগত প্রতিনিধিত্ব করে নরেশ গেহি ট্রাম্প মডেল ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে জয়ী হন। গেহির মূল লক্ষ্য হচ্ছে আইন ও শৃঙ্খলা এবং শিক্ষার মাধ্যমে কমিউনিটির সেবা করা।
এটর্নি নরেশ গেরি প্রতিষ্ঠিত “গেহি এণ্ড এসোসিয়েটস” নিউইয়র্কে তিনটি অফিস থেকে ছয় জন এটর্নিসহ প্যারালিগ্যাল ও অন্যান্য ৩৫ জন ষ্টাফ মেম্বার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই তিনটি অফিসের অবস্থান হচ্ছে: ১৭৩-২৯ জ্যামাইকা এভিনিউ, জ্যামাইকা, নিউইয়র্ক ১১৪৩২ (ফোন: ৭১৮-৭৬৪-৬৯১১), ১১৮-২১ কুইন্স বুলেভার্ড, স্যুইট ৪০৯, ফরেষ্ট হিলস, নিউইয়র্ক ১১৩৭৫ (ফোন: ৭১৮-২৬৩-৫৯৯৯) এবং ১০৪-০৫ লিবার্টি এভিনিউ, ওজোন পার্ক, নিউইয়র্ক ১১৪১৭ (ফোন: ৭১৮-৫৭৭-০৭১১)। অফিসগুলোর মধ্যে জ্যামাইকা এভিনিউয়ের অফিসটি সদ্য চালু করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে বেশ সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন নরেশ গেহি। তার প্রথিষ্ঠানের এটর্নিরা যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি ষ্টেটেই আইনজীবী হিসেবে কাজ করার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত। গেহি এণ্ড এসোসিয়েটস এর কর্ম পরিধি, সাফল্য এবং তাদের আইনজীবী ও ষ্টাফ মেম্বারদের সম্পর্কে জানতে আগ্রহীরা ভিজিট করতে পারেন www.gehilaw.com ওয়েবসাইট এবং যোগাযোগ করতে পারেন ইমেইল : [email protected] এ।
নরেশ গেহির আইনি কর্মক্ষেত্র শুধুমাত্র এসাইলাম প্রার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এক্ষেত্রে তিনি ও তার প্রতিষ্ঠান কনস্যুলার প্রসেসিং, ফ্রড ওয়েভার, ফিয়াঁসে ভিসা, পারিবারিক নির্যাতিতা, বিবাহ সূত্রে ইমিগ্রেশন, ইমিগ্রেশন বণ্ড ও ডিটেনশন, চাকুরি সূত্রে ইমিগ্রেশন এবং সিটিজেনশিপের জন্য আবেদন করাসহ সকল বিষয়ে ক্লায়েন্টদের তুলনামূলকভাবে কম মাশুলে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করছে। এমনকি বিভিন্ন বাংলাভাষীসহ বিভিন্ন ভাষাভাষী ক্লায়েন্টদের ইমিগ্রেশন অফিসগুলোতে এবং ইমিগ্রেশন জজের কোর্টে ইংরেজি বলতে অসুবিধা হলে তাদেরকে ক্লায়েন্টদের নিজ নিজ ভাষায় ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করে নরেশ গেহির অফিস। এমনকি প্রয়োজনে ইন্টারভিউয়ের সময় পাশে থাকেন, যাতে ভুক্তভোগীরা সাহস রেখে ইন্ট্রাভিউয়ের মুখোমুখি হতে পারেন।
আলোচনালে নরেশ গেহি জর্জিয়া একটি জটিল ইমিগ্রেশন মামলায় তার সাফল্যের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন, যে মামলা দু’জন বিচারক অভিযুক্ত ইমিগ্রান্টের অপরাধ শাস্তিযোগ্য কিনা তার উপর ভিন্ন ভিন্ন রায় প্রদান করেছিলেন। একজন বিচারকের রায় ছিল যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ শাস্তিযোগ্য নয়। ব্যক্তিগত শুনানির পর নতুন ইমিগ্রেশন বিচারক উক্ত ইমিগ্রান্টকে গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেন এবং ১২ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। গেহি এণ্ড এসোসিয়েটস যুক্তি প্রদর্শন করেন যে পূর্ববর্তী বিচারক অভিযুক্তকে ৬০ দিনের কারাবাস ও ১০ মাসের প্রবেশন দিয়েছিলেন; অর্থ্যাৎ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর ছিল না এবং অভিযোগ টেকার মত নয়। কিন্তু নতুন বিচারক বলেন যেহেতু পূর্বের বিচারক তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেননি, অতএব তিনি অভিযোগ বহাল রেখেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিচারক অভিযুক্ত, তার মা ও ভাইয়ের সাক্ষ্য করেন এবং অভিযুক্তের অনুকূলে রায় দেন এবং তাকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দেন।
নরেশ গেহি ব্যাংক্রাপসি, ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত জটিলতা ও ঋণদানকারী সংস্থার দ্বারা ঝামেলা সৃষ্টির সমস্যা, পার্সেনাল ইনজুরি, ক্রিমিনাল কেস, ডিভোর্স ও ফ্যামিলি ল’ বিষয়ক মামলা নিস্পত্তিতেও পারদর্শী এবং এসব ক্ষেত্রেও তার প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অসামান্য। নরেশ গেহি আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ার্স এসোসিয়েশন, আমেরিকান বার এসোসিয়েশন এবং এসোসিয়েশন অফ ডিপোর্টেশন ডিফেন্স এটর্নিজ এর সদস্য হিসেবে সুনামের সঙ্গে ভূমিকা পালন করছেন। তার অফিস সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত খোলা থাকে। তার সাথে পরামর্শ করতে চাইলে তিনি ও তার সহকর্মীরা বিনা ফি’তে পরামর্শ দিয়ে থাকেন এবং সন্ধ্যার পরও তারা এপয়েন্টমেন্টের ভিত্তিতে উপস্থিত থেকে তাদের সেবা প্রদান করেন।
Posted ১১:১২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh