বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২০
র্যাংকিংয়ে ১২৫ ধাপ এগিয়ে থাকা কাতারের বিপক্ষে নিয়মিত গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার জায়গায় তরুণ আনিসুর রহমান জিকোকে নামিয়ে চমক দেখিয়েছেন কোচ জেমি ডে। আর নিজের দ্বিতীয় আর্ন্তজাতিক ম্যাচে সুযোগ পেয়ে চমক দেখালেন জিকো নিজেও।
দলকে ৫ গোলের হার থেকে বাঁচাতে না পারলেও ভূয়সী প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি।
ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের করা ৫ গোলে জিকোর দায় ছিল না খুব একটা। ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন বসুন্ধরা কিংসের এই গোলকিপার। বাঁয়ে কিংবা ডানে বাজ পাখির মতো ঝাঁপিয়ে একের পর এক কাতারিদের প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছেন।
অনেকের মতে, আরও বড় ব্যবধানে জয় পেতে পারত কাতার। জিকোর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তা হতে দেয়নি। অন্তত ১০টি সেভ দিয়েছেন জিকো। পেনাল্টিতে কাতারের তৃতীয় গোলটি প্রায় বাঁচিয়ে ফেলেছিলেন জিকো। বলের লাইনেই ছিলেন তিনি। কিন্তু শটের গতিকে রুখতে পারেননি তিনি। এতো এতো প্রশংসা পেয়েও এই হারে অনেকটাই হতাশ গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। এমন বড় ব্যবধানে হারের জন্য সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছেন তিনি।
গত ৪ ডিসেম্বর ম্যাচ শেষে এই গোলরক্ষক নিজের ফেসবুক পেজে লিখেছেন,‘জাতীয় দলের হয়ে এটা আমার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামা। এই ম্যাচ থেকে আমি বড় শিক্ষা অর্জন করেছি। তবে আমি এ ম্যাচে অপ্রত্যাশিত হারের জন্য সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
উল্লেখ্য, ১৯৭৯ এশিয়ান কাপে কাতারকে রুখে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ৪১ বছর আগের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ জেমি ডে।
কাতারের জালে বল জড়ানোর মানসিকতা শিষ্যদের মাঠে নামাননি তিনি। তার পরিকল্পনা ছিল, লাল-সবুজের জালেও যেন একটি বলও না জড়াতে পারে কাতারিরা। সে লক্ষ্যে একেবারে রক্ষণাত্মক ফরম্যাটে জামাল ভূঁইয়াদের নামান তিনি। অধিনায়ক জামাল ভূইয়াও জানিয়েছিলেন, ডিফেন্ড করে ম্যাচ শেষ করে এক পয়েন্ট পেলেই খুশি থাকবেন। কিন্তু তা আর হলো কই? ৫ গোল হজম করে মাঠ ছেড়েছে জেমি ডের শিষ্যরা।
Posted ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh