বাংলাদেশ ডেস্ক : | শুক্রবার, ০৭ আগস্ট ২০২০
চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই নির্বাচন আমেরিকায়। এই নির্বাচনে এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে মসনদ ছেড়ে দিতে হবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। হাতে সময় খুবই কম। তারই মধ্যে করোনার আক্রমণে জর্জরিত আমেরিকা। এমন অবস্থায় এক চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন প্রতিনিধি পরিষদের হুইপ জেমস ক্লাইবার্ন। তার মতে, নভেম্বরের নির্বাচনে হারলে মোটেই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার সংবাদসংস্থা সিএনএন-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জেমস ক্লাইবার্ন বলেন, হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনাই নেই ট্রাম্পের। এমনকি দেশে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতেও দেবেন না তিনি।
ক্লাইবার্ন বলেন, আমার স্থির বিশ্বাস, প্রেসিডেন্ট পদে নিজেকে আরও একবার প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে ট্রাম্প দেশে কোনও না কোনওভাবে জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন। ট্রাম্পের এই অভিপ্রায় যাতে সফল না হয়, তা নিশ্চিত করতে জেগে উঠতে হবে আমেরিকার নাগরিকদের। উল্লেখ্য, প্রথা অনুযায়ী নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের ঠিক পর যে মঙ্গলবার আসে, সে দিনই হয় আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এ বার সেই দিনটি পড়েছে ৩ নভেম্বর। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ই-মেইলে ভোটের প্রস্তাব সামনে এসেছে। আর এখানেই আপত্তি প্রেসিডেন্টের। ই-মেইলের ভোটের অনিয়মের কথা তুলে ধরে বৃহস্পতিবার প্রথম খোলাখুলি নভেম্বরের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের সমালোচনায় মুখর হয় বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা। রাজনৈতিক চাপের মুখে পরে নিজের কথা থেকে সরে এসে ট্রাম্প বলেন, আমি দেরি করতে চাই না। সময়েই নির্বাচনটা চাই। তবে আমি এটাও চাই না যে তিন মাস অপেক্ষা করার পর এটা দেখা যাক যে সব ব্যালট হারিয়ে গিয়েছে। এভাবে নির্বাচনের কোনও মানে হয় না।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মন্তব্যের উত্তরে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে জেমস ক্লাইবার্নের থেকেই। নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার কালো মেঘে ঢেকে দেওয়ার অভিযোগ করার পাশাপাশি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বৈরশাসক ‘মুসোলিনী’র সাথে তুলনা করেন তিনি।
Posted ৫:১০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৭ আগস্ট ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh