সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা আরও একটি আদেশ বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারী বুধবার তিনি গ্রীন কার্ড সংক্রান্ত ওই আদেশ বাতিল করেন। করোনা ভাইরাসের বিস্তারের অজুহাতে ট্রম্প গতবছর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এই নিষেধাজ্ঞার বাতিলের ফলে অনেক বিচ্ছিন্ন পরিবার একত্রিত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্গ এগিয়ে নেয়ার অনুকূল হবে। হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেন ও স্থায়ী বাসিন্দা বা গ্রীনকার্ডধারী তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত না হতে পারায় এক মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, আগের প্রশাসনের এ সংক্রান্ত আদেশ বাতিল হওয়ায় এখন পরিবারের মিলিত হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোন বিধিনিষেধ থাকবে না।

ট্রাম্পের ওই আদেশের কারণে গ্রীন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন এমন বহু মানুষের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। গতবছর ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে গ্রীন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন এমন অনেক মানুষের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। বাইডেন তার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আদেশটি বাতিল করার আদেশে উল্লেখ করেছেন যে, গ্রীন কার্ডের আবেদনকারীদের ওপর ট্রাম্পের এই নিষেধাজ্ঞা পারিবারগুলোকে বিচ্ছিন্ন করেছে এবং এটা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে এগিয়ে নেয়নি। এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতি করেছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়। আগামী ৩১ মার্চ এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারপরও বেশ কিছুদিন থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে বাইডেন প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন এমন আইনজীবী ও গ্রুপ। ইমিগ্রেশন এটর্নি কার্টিস মরিসন বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত যে, বাইডেন এই আদেশটি বাতিল করেছেন। ট্রাম্প ভিসা আটকে দেয়ার ফলে শুধু পরিবার ভিত্তিক ৪ লাখ ৩৭ হাজার লোক ভিসা পায়নি। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাবেক আদেশ বাতিল করায় আমার ক্লায়েন্টদের জন্য সুবিধা হবে। তারা যুক্তরাষ্ট্রে আসার ভিসা লাভ করবেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, প্রশাসন ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া জোরদার করার মধ্য দিয়ে আবেদনের জট হালকা করার ব্যবস্থা করবে।

আমেরিকান ইমগ্রান্ট ল’ইয়ার্স এসোসিয়েশনের মতে করোনা মহামারীর কারণে আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজার ফ্যামিলি বেজড প্রেফারেন্স ভিসা পাননি আবেদনকারীরা। কোনো ইমিগ্রান্ট আমেরিকান সিটিজেন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার মা-বাবা, স্ত্রী ও একুশ বছরের কম সন্তানের জন্য ভিসার আবেদন করতে পারেন না। কিন্তু ট্রাম্পের আদেশে তারা পরিবার ভিত্তিক ভিসা আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের তার ক্ষমতাবলে নির্বাহী আদেশ জারি করতে পারেন। এজন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না।