বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
শাহনেওয়াজ-টুকুর নেতৃত্বাধীন জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন-জেবিবিএ’র সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৭ অক্টোবর, রোববার দুপুরে জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টে । সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়। সদ্য বিদায়ী সভাপতি শাহনেওয়াজ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান । লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ীদের প্রাণের সংগঠন হচ্ছে জেবিবিএ। এই সংগঠনকে আরো কাযকর, অর্থবহ ও সার্বজনীন সংগঠনে পরিণত করার মধ্যে দিয়ে সাধারণ ব্যবসায়ীদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে অপর একটি পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ একটি ব্যবসায়ী সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিগত তিন সপ্তাহ আমাদের টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। কয়েক দফা বৈঠক করেও এ ব্যাপারে তাদের কাছে কোনো প্রকার ইতিবাচক ভূমিকা না পেয়ে আমরা হতাশ।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, গত নির্বাচনে পরাজিত হয়ে একটি অংশ আমাদের সবার প্রিয় সংগঠন জেবিবিএ’র বিরুদ্ধে পরপর তিনটি মামলা করেন। কিন্তু প্রতিটি মামলায় তারা হেরে যান। আদালতের স্পষ্ট রায় দেন যে তারা জেবিবিএ’র নাম ব্যবহার করে কোন কার্যক্রম চালাতে পারবে না। তা সত্বেও তারা জেবিবিএ’র নামে সাধারণ সভা করে, যা আদালত অবমাননার সামিল। তা সত্বেও বৃহত্তর স্বার্থে আইনগতভাবে কোনো বাধা না দিয়ে উপরন্তু সভায় আমি সহ আমাদের দুজন নির্বাচন কমিশনার যথাক্রমে গিয়াস আহমেদ ও আসেফ বারী টুটুলকে নিয়ে ওই সভায় যে ঐক্যের আহ্বান জানাই। তারা আদালতের আদেশকে ভুয়া বলে চিৎকার করতে থাকেন। তারপরও আমরা ঐক্যের স্বার্থে কয়েক দফা বৈঠক করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি ঐক্যের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে জেবিবিএ’র নামে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে থাকে।
আমরা জেবিবিএ’র স্বার্থে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের স্পষ্ট মেসেজ দিতে চাই জেবিবিএ’কে দ্বিধা-বিভক্তির মাধ্যমে কেউ যদি কোনো কায়েমি স্বার্থসিদ্ধির অপচেষ্টায় লিপ্ত হন তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আমাদের আার কোন উপায় থাকবে না। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গিয়াস আহমেদ আহমেদ, তারেক হাসান খান, আসাদুল বারী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, আলাউদ্দিন ভুলু, মাকসুদ চৌধুরী, মাহবুবুর রহমান টুকু, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন-জেবিবিএ।
জেবিবিএ একটি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। নানাবিধ কার্যক্রম জনপ্রিয় করে তুলে সংগঠনটিকে। পরবর্তীতে ২০১০সালে নেতৃত্বের কোন্দলে দু’টি ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়ে জেবিবিএ। পৃথক কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দু’টি সংগঠনটিকে থাকলেও সাধারণ ব্যবসায়ীরা বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারছেন না। জেবিবিএ’র একটি অংশের নেতৃত্বে ছিলেন দিদার কামরুল এবং অপর অংশের নেতৃত্বে ছিলেন শাহনেওয়াজ-টুকু।
সম্প্রতি জেবিবিএ’র উভয় অংশ পৃথক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের নেতৃত্বের মেয়াদকাল শেষের কথা জানিয়ে আহ্বায়ক কমিটি করেছে উভয় পক্ষ থেকেই দাবি উঠেছে একটি ঐক্যবদ্ধ জেবিবিএ পুনপ্রতিষ্ঠার। সে লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কিন্তু ঐক্যের ব্যাপারে তেমন কোন অগ্রগতি না হওয়ায় সাধারণ সদস্যরা হতাশ। একদিকে ঐক্য প্রক্রিয়া এবং অপর দিকে উভয় গ্রুপই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
Posted ২:৫৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh