বাংলাদেশ ডেস্ক : | শনিবার, ০৪ জুলাই ২০২০
করোনার সবচেয়ে বড় আঘাতটা সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। প্রায় তিন মাস ধরে দেশটিতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুর রোজকার হিসেবেও তারা ছিল অন্য সব দেশ থেকে এগিয়ে। এরপর কমতে থাকে সংক্রমণ, গত মাসের মাঝামাঝিতে প্রতিদিনের সংক্রমণ নেমে আসে ২০ হাজারেরও নিচে। কিন্তু চলতি মাসের শুরু থেকেই সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের গায়ে। টানা তিনদিন দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হচ্ছে অর্ধ লাখেরও বেশি।
যেসব দেশ লকডাউন তুলে নিয়েছে কিংবা শিথিল করেছে, সেসব দেশে দ্বিগণ গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এমন আশঙ্কার কথা আগেই বলেছিল। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন এবং লকডাউন তুলে নেওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতে পারে। তার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা বাস্তবে রূপ নিয়েছে চলতি মাসের শুরু থেকেই।
জুলাই মাসের প্রথম দিন যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ৫১ হাজার ৯৫ জন। ২ জুলাইতে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ হাজার ২৩২ জন। গতকাল ৩ জুলাই নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৫৪ হাজার ৯০৪ জন। দেশটিতে প্রতিদিনকার এই সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে ১ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ডা. ফাউসি।
মোট সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র বেশ আগে থেকেই অন্যান্য দেশগুলোর ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। দেশটিতে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৮ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ১০১ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৮ জন ভাগ্যবান। তবে প্রায় ১৬ হাজার আক্রান্ত রোগী মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ২২ হাজার ৯৯৯ জন।
Posted ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৪ জুলাই ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh