বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
করোনা ভাইরাস আক্রান্তের প্রথম তিনমাসে রেকর্ড সংখ্যক ৬০ লাখ মানুষ ফুড স্ট্যাম্প প্রোগ্রামে নাম অন্তর্ভুক্ত করে। এ পরিসংখ্যান নজিরবিহিন। বেকার মানুষ তাদের ব্যয় সংকোচন করতে এবং জুলাই মাস থেকে প্যানডেমিক ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ভেবেই ফুড স্ট্যাম্পের দিকে ঝুকেছে তারা। ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ফুড স্ট্যাম্প প্রবৃদ্ধির হার ১৭ শতাংশ।
ফুড স্ট্যাম্প বা সাপ্লিমেন্টাল নিউট্রিশন এ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (এসএনএপি) এর আওতায় দরিদ্র মানুষ ও তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় খাদ্যক্রয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে সরকার। অন্যান্য স্টেটের মতো নিউইয়র্কের বাসিন্দারাও এ সুযোগ পেয়ে থাকেন। সরকার প্রদত্ত বেনিফিট বা ইবিটি কার্ডের মাধ্যমে দরিদ্র শ্রেনী গ্রোসারী এবং খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করে এমন দোকানে কেনাকাটা করতে পারেন। এসব কার্ডে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেয়া থাকে। পারিবারিক আয়, পরিবারের সদস্য সংখ্যা এবং কোন এলাকায় বাস করে মূলত এ তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ইবিটি কার্ড দেয়া হয়।
অন্যান্য কমিউনিটির মানুষের মতো অনেক বাংলাদেশী পরিবার ও এ সুযোগ ভোগ করে আসছে। করোনাকালে বেকারত্ব বৃদ্ধি এবং আর্থিক অনটনে পড়া গোটা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফুড স্ট্যাম্প গ্রহিতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। করোনা ভাইরাসকালে গত এপ্রিলে দু’মাসের জন্য খাদ্য সামগ্রী কেনাকাটার ক্ষেত্রে বেনিফিটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় সরকার। ফ্যামিলিস ফার্স্ট করোনা ভাইরাস রেসপন্স এ্যাক্টের আওতায় এসময় মাসে ফেডারেল সরকার অতিরিক্ত ২ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে। ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার এর তথ্যানুযায়ী দু’জন বয়স্ক এবং তিনজন সন্তানের পরিবার যাদের কোন আয় নেই তারা এখন মাসে ৭৬৮ ডলারের খাবার কিনতে পারে ফুড স্ট্যাম্প ব্যবহার করে। স্বাভাবিক সময়ে তাদের ব্যয় ক্ষমতা মাসে ৫২৮ ডলার হিসেবে নির্ধারিত।
বেকারত্ব বৃদ্ধিঃ গত মাসে ৪৮ লাখ মানুষ নূতন করে কাজে যোগ দিয়েছে। করোনা যে হারে বাড়ছে তাতে সামনে এ সংখ্যা আরো বাড়বে। করোনার পর বিভিন্ন রাজ্যে ব্যবসায় বাণিজ্য পুনরায় খুলে দেয়া হলে অনেকে চাকুরিতে যোগ দেয়। কিন্তু অনেক রাজ্যে নূতন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে চাকুরী হারান অনেকে। ইউএস লেবার ডিপার্টমেন্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত জুনে ৪৮ লাখ মানুষ কাজে যোগ দেয়ায় অর্থনীতিতে কিছু যোগ না হলেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ মাসে চাকুরী হারিয়েছে ১৫ লাখ মানুষ। এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার ছিলো ১৪.৭ শতাংশ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ছিলো সর্বোচ্চ। গত মাসে এই হার নেমে আসে ১১.১ শতাংশে।
Posted ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh