বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটারকে করোনা গবেষণায় ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। জাপানের হাই পারফরম্যান্স যুক্ত সুপার কম্পিউটার ‘ফুগাকু’কে কাজে লাগিয়ে করোনার জেনেটিক মিউটেশন বিশ্লেষণ করা হবে।
বিশ্বের দ্রুততম ‘ফুগাকু’ সুপার কম্পিউটারটি তৈরি করেছে জাপানি টেক জায়ান্ট ফুজিৎসু ও রিকেন। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এই দুই টেকনোলজি ফার্মের তৈরি সুপার কম্পিউটার ফুগাকুর মধ্যে রয়েছে দেড় লক্ষ হাই-পারফরম্যান্স প্রসেসিং ইউনিট। বলা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সামিট’ সিস্টেমের চেয়েও দ্রুতগতির ও উন্নত এই কম্পিউটার।
অন্যদিকে, বিশ্বের সেরা ৫০০ সুপার কম্পিউটিং সিস্টেমের মধ্যে দু’নম্বরে রয়েছে সামিট সিস্টেম। এই ‘সামিট’ সিস্টেমটি তৈরি করেছে মার্কিন ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি।
রিকেন টেকের ডিরেক্টর সাতোশি মাৎসউকা বলেন, ‘মার্কিন সুপার কম্পিউটার সামিট সিস্টেমের থেকেও ২.৮ গুণ বেশি স্পিডে কাজ করতে পারে ‘ফুগাকু’। বিশ্বের আধুনিক সুপার কম্পিউটার যেমন এইচপিসিজি, এইচপিএল-এআই ও গ্রাফ ৫০০-র থেকেও এগিয়ে রয়েছে ফুগাকু। সিঙ্গল সিস্টেম সুপার কম্পিউটার ইতিহাসে এটিই প্রথম।’
জানা যায়, ৬ বছর ধরে এ সুপার কম্পিউটার তৈরি করেছে ফুজিৎসু টেক গ্রুপ। তাদের আশা আগামী বছরেই এই সুপার কম্পিউটার কাজ শুরু করে দেবে। তবে করোনা গবেষণার কাজে এই প্রথম সুপার কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হবে।
ভাইরাসের জিনের গঠনের বদল বা জেনেটিক মিউটেশন বিশ্লেষণের কাজে সাহায্য করবে এই কম্পিউটার। এমনকি, জনবহুল জায়গায় ভাইরাসের ড্রপলেট কীভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তার ডেটাও অ্যানালিসিস করবে বিশ্বের দ্রুততম এই কম্পিউটারটি।
Posted ১:৫৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৪ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh