বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন না নেয়ার কারণে নিউইয়র্ক স্টেটের বৃহত্তম স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েল হেলথের ১,৪০০ কর্মীকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে। গত সোমবার নর্থওয়েল হেলথের পক্ষ থেকে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ছাঁটাইকৃত কর্মী সংখ্যা নর্থওয়েলের মোট কর্মী সংখ্যার দুই শতাংশের কম। নর্থওয়েল হেলথে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা ৭৬,০০০ এর অধিক। তারা ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকার করার কারণে তাদেরকে চাকুরির মায়া ত্যাগ করতে হয়েছে। স্টেটের কোভিড ১৯ বিধির আওতায় স্টেটের হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলোর সাড়ে ৬ লাখ কর্মীর ভ্যাকসিন নেয়া অত্যাবশ্যকীয় ছিল, এবং ভ্যাকসিন নেয়ার চূড়ান্ত মেয়াদ গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে।
সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বিপুল সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন নিলেও অনেকে ভ্যাকসিন নেয়ার বাধ্যবাধকতাকে চ্যালেঞ্জ করে স্টেট জুড়ে আদালতে অসংখ্য মামলা ঠুকে দিয়েছে। মামলা দায়েরকারীদের ক্ষেত্রে এখন আদালতই নিস্পত্তি করবে যে কোন কোন ক্ষেত্রে এবং কখন ভ্যাকসিন নেয়া থেকে অব্যাহতি পাওয়া যেতে পারে।
নিউইয়র্ক স্টেটের হেলথকেয়ার ম্যান্ডেট বিশেষভাবে কঠোর। স্বাস্থ্যকর্মীদের সাপ্তাহিক ভাইরাস টেস্ট দিয়ে করোনা নেগেটিভ নিশ্চিত হওয়া বা ধর্মীয় কারণে অব্যাহতি লাভের সুযোগ নেই। যদিও ভ্যাকসিন না নেয়ার পক্ষে আদালতে দায়েরকৃত অধিকাংশ মামলাই হয়েছে ধর্মীয় কারণে। বাইডেন প্রশাসন স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন নেয়ার বিষয়টিকে ভ্যাকসিন কর্মসূচির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং অসংখ্য স্বাস্থ্যকর্মী, বিশেষ করে নর্থওয়েলের মত বড় বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন নেয়ার বাধ্যবাধকতা কঠোরভাবে পালন করছে। স্টেটের স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্টেটের হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলোর ৮৭ শতাংশ কর্মী ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
স্বাস্থ্যকর্মী ছাঁটাই করার কারণে যে ঘাটতির আশঙ্কা সৃষ্টি হতে পারে তার আগেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। স্টেট গভর্নর ক্যাথি সি হকুল গত সপ্তাহে স্টেট অফ ইমারজেন্সি ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে ন্যাশনাল গার্ড সৈনিকদের মোতায়েন করার ব্যবস্থা করেছেন, যাতে বিদেশ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করা সম্ভব হয়। এছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি পূরণের জন্য সদ্য গ্রাজুয়েশন লাভকারী অথবা সম্প্রতি অবসর গ্রহণকারী স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের নিয়োগ করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এমন ধারণাও করা হচ্ছে যে, ভ্যাকসিন না নেয়ার কারণে যাদের ছাঁটাই করা হয়েছে, বা যারা ভ্যাকসিন না নেয়ার সিদ্ধান্তে অটল থেকে নিজেরাই চাকুরি ছেড়েছেন, তাদের শূন্যতায় রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে তেমন হেরফের হবে না। তবুও গভর্নর তার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
Posted ২:৪২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh