বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
কাল শুক্রবার, ভয়াল নাইন ইলেভেন। ২০০১ সালের এই দিনে সন্ত্রাসী হামলায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় নিউইয়র্ক সিটির গর্ব টুইন টাওয়ার। এদিন পরপর চারটি সন্ত্রাসী হামলায় সবকিছু ওলোট-পালোট হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রে। সেদিন ছিলো মঙ্গলবার। অন্যান্য দিনের সকালের মতো ব্যস্ত হয়ে উঠা ম্যানহাটানের বাণিজ্যিক পাড়া মূহূর্তেই পরিণত হয় ধ্বংস স্তুুপে। পরপর দু’টি বিমান আঘাত হানে আকাশছোঁয়া এ জমজ ভবনে। এ হামলায় প্রাণ হারান ২হাজার ৯৭৭ জন মানুষ। আহত হন ২৫ সহস্রাধিক। আজীবনের মতো শারিরীক ও মানসিকভাবে পঙ্গু হয়ে যান অনেকে। ভয়াবহ এ সন্ত্রাসী হামলায় শুধু স্থাপনার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ বিলিয়ন ডলারের উপর। নাইন ইলেভেন ছিলো ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একটি মারাত্নক সন্ত্রাসী কান্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ফায়ার ফাইটার্স ও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হতবাক করে দেয়ার মতো একটি ঘটনা। টুইন টাওয়ারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভাষাভাষী মানুষের সাথে সেদিন প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী আমেরিকান।
ফায়ার সার্ভিসের ৩৪৩ জন কর্মী এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর ৭২জন মারা যান এ ঘটনায়। ১৯ জন সন্ত্রাসী যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি বিমান বন্দর থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে ছেড়ে যাওয়া চারটি যাত্রীবাহী বিমান হাইজ্যাক করে সন্ত্রাসী কাজের জন্য। তন্মধ্যে আমেরিকান ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের দু’টো বিমান ব্যবহার করে টুইন টাওয়ারের উত্তর ও দক্ষিণ ভবন ধ্বংসের কাজে। আক্রমনের প্রায় পৌনে দু’ঘন্টার মধ্যে ভবন দু’টি মিশে যায় মাটির সাথে। শুধু টুইন টাওয়ারই নয় আশেপাশের অনেকগুলি ভবনও ধ্বসে পড়ে এই হামলায়। সন্ত্রাসীরা হাইজ্যাককৃত আমেরিকান এয়ারলাইনসের তৃতীয় বিমানটি নিয়ে হামলা চালায় আর্লিংটন-ভার্জিনিয়ার পেন্টাগণ চত্বরে। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের অপর বিমানটি নিয়ে ওয়াশিংটন যাওয়ার পথে তা বিধ্বস্ত হয় পেনসিলভেনিয়ার স্টোনিক্রিপ টাউনশিপে।
সন্ত্রাসী আক্রমনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে জারি করা হয় জরুরী অবস্থা। নিউইয়র্ক সিটির আকাশ ঢেকে যায় কালো ধোঁয়া ও ছাই ভষ্মে। মানুষের আহাজারি ও প্রাণভয়ে ছুটে পালানোর সে দৃশ্য এখনও ভুলতে পারেনি মানুষ। নাইন ইলেভেনের ভয়াল স্মৃতি প্রতিবছর ঘুরে ঘুরে ফিরে আসে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার, নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে নিহতদেরকে। ঘটনাস্থলে এখনো সমবেত হন স্বজন হারা পরিবারের সদস্যরা। ফুলে ফুলে ছেঁয়ে যায় স্থানটি। উনিশ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন এ ঘটনা রয়ে গেছে রহস্যাবৃত।
Posted ১০:১১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh