বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১
আগামী বছর থেকে সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট ৫.৯% হারে বৃদ্ধি পাবে। ১৯৮২ সালের পর এটিই হবে সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিটে সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃদ্ধি। ১৯৮২ সালে এই বেনিফিট বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৭.২%। নতুন বৃদ্ধির ফলে যারা র্বমানে গড়ে প্রতিমাসে ১,৬৫৭ ডলার হারে বেনিফিট পাচ্ছেন, এই বৃদ্ধির ফলে তাদের ক্ষেত্রে আরো ৯২ ডলার যোগ হবে। গতকাল বুধবার সোস্যাল সিকিউরিটি এডমিনিষ্ট্রেশন একথা জানিয়েছে।
সিনিয়র সিটিজেন লীগৈর সোস্যাল সিকিউরিটি এন্ড মেডিকেয়ার বলিসি এনালিস্ট মেরি জনসন বলেছেন, জীবনযাত্রায় ব্যয় সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এটি সর্বোচ্চ। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধিসহ সকল পন্য ও সার্ভিসের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বেনিফিটে এই সমন্বয় সাধান করা হয়েছে। এই বৃদ্ধির ফলে সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট গ্রহণকারী প্রায় ৭ কোটি আমেরিকান উপকৃত হবেন।
আমেরিকান এসোসিয়েশন ফর রিটায়ার্ড পারসন্স (এএআরপি) এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জো অ্যান জেনকিন্স বলেছেন, সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট গ্রহণকারী ব্যক্তি বা পরিবারগুলোর জন্য এই বৃদ্ধি প্রয়োজনীয় ছিল। যদিও আর্থিক হিসেবে এটি খুব বেশি নয়, কিন্তু যারা একমাত্র এই বেনিফিটের ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য যে কোন বৃদ্ধিই কাংখিত। তাছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যের উর্ধগতির মধ্যে এই বৃদ্ধি ব্যয় সমন্বয়ের জন্য আবশ্যকীয় ছিল। তবে লেবার ডিপার্টমেন্টের ভোক্তা মূল্যসূচক যদিও গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পন্যমূল্য বৃদ্ধি ৫.৪ শতাংশ দেখানো হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে পন্যমূল্য এর চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে। অবশ্য মূল্যসূচকে সেপ্টেম্বরের চেয়ে চলতি অক্টোবরে পন্য মূল্য আরেক ধাপ বৃদ্ধির আভাস দেয়া হয়েছে, যা ধারণার চেয়ে বেশি। বাড়ি ভাড়া বেড়েছে, মাংস ও ডিমের মত জরুরী খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অস্বাভাবিক।
এছাড়া করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্ববাজারে যে স্থবিরতার সৃষ্টি হয়েছিল, তা মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। কারণ পন্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা মহামারীর কারণে ভেঙে পড়েছিল। কাটিয়ে উঠতে একটু সময় লেগেছে। তবে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে যে যদিও মহামারী অবস্থা এখনো কাটেনি, কিন্তু বিশ্ব বাণিজ্য পুনরায় চাঙ্গা হয়ে উ^ঠার সকল আভাস দেখা যাচ্ছে। বিগত মাসগুলোতে বিদ্যমান মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব কাটাতে খুব বেশি সময় লাগবে না। তবে মুদ্রাস্ফীতি যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে বেনিফিট পুনরায় সমন্বয় করা হতে পারে জানা গেছে। তবে সোস্যাল সিকিউরিটি এডমিনিষ্ট্রেশনের “কস্ট অফ লিভিং এডজাস্টমেন্ট (সিওএলএ) অর্থ্যাৎ যেভাবে ব্যয় সমন্বয় করা হয়, সেটিকে বিশ্লেষকরা অত্যন্ত জটিল ও দুর্বোধ্য বলে মনে করেন, যার মধ্যে প্রকৃত মুদ্রাস্ফীতি বা মূল্যস্ফীতি কোনটারই প্রতিফলন ঘটে না। এ নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে।
যারা সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী তাদের আয়ের কমপক্ষে অর্ধেক লাভ করেন সোস্যাল সিকিউরিটি থেকে। প্রতি ১০ জন বেনিফিট গ্রহীতার মধ্যে ৯জনই ৬৫ বছর বা তদুর্ধ বয়সে সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট গ্রহণ করছেন। বয়স্ক আমেরিকান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও শিশু এবং মৃত ব্যক্তির স্বামী বা স্ত্রী এই বেনিফিট পাওয়ার যোগ্য।
Posted ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh