ঢাকা | সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৪
বিশ্ব ইজতেমা মাঠের প্রস্ততি সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম পক্ষের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের (জোবায়ের গ্রুপ) দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিবছর প্রথমেই আপনাদের সুযোগ করে দিই। সে দাবি রক্ষা করে সম্মানের সাথে মাঠ বুঝিয়ে দেবেন। যাতে কোনো প্রকার ভাঙচুর না হয়, কেউ যাতে কোনো অভিযোগ না করে, এটা আমার অনুরোধ। আমরা গতবারও শুনেছি ভাঙচুর হয়েছে, কিছু জিনিস খোয়া গেছে, নানা কথাবার্তা শুনেছি। আমরা চাই সুন্দরভাবে মাঠটা বুঝিয়ে দেবেন। এছাড়াও গোয়েন্দা বাহিনীরও একটি অনুরোধ রয়েছে, দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা না বাড়িয়ে সকাল থেকেই মাঠটি বুঝিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা নেবেন।
আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্ততি পর্যালোচনাসংক্রান্ত ফলোআপ সভায় মন্ত্রী বলেন, এখানে আমরা যারা এসেছি সবাই চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্য এই ইজতেমা যা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে এর সুনাম যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে।
সবাইকে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রবিবার থেকে কিছু ঘটনা ঘটছে যা দুঃখজনক। সবার কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ রইল এসব ঘটনা আর ঘটাবেন না, সবাই মিলেমিশে থাকবেন। মসজিদে গিয়ে আল্লাহর ঘরে গিয়ে আবার দখল-বেদখল করেন এমন কিছু আমাদের জন্য লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকল এসব কাজ থেকে আপনারা বিরত থাকবেন, মিলেমিশে চলবেন আমাদের সে শিক্ষাটাই দিবেন। আল্লাহর দাওয়াতের শিক্ষাটা যেমন দিচ্ছেন তেমনি মিলেমিশে থাকার শিক্ষাটাও দেবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ময়দানের কাজে সহযোগিতা করবেন। বিশেষ করে এবার বিদেশি মেহমানদের জন্য নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। প্রথমপর্বে আগত বিদেশি মুসল্লিরা আখেরি মোনাজাতের পর বিমানবন্দর হাজি ক্যাম্পে অবস্থান করবেন। সেখান থেকে তারা তাদের স্ব-স্ব দেশে ফিরবেন। ইজতেমা আয়োজক কমিটির দুপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, তাদের মধ্যে বিগত বছরের মতো আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি হবে না।
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, আমরা দ্বীনের কাজ করার জন্য আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য আমরা কাজ করি। সেখানে আমাদের মধ্যে বিভেদ যে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা চাই না এই বিভেদটা আগামী দিনের জন্য থাকুক।
সভায় ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের অতীতে এই বিশ্ব ইজতেমার কাজ করতে গিয়ে কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে বা ত্রুটি হয়েছে সেগুলোর প্রতি লক্ষ করে নিজেদের খেয়ালে নিয়ে আসা এবং সেই খেয়ালের পরিপ্রেক্ষিত্রে আগামী দিনের সেই ত্রুটি বিচ্যুতি না হয় তার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
আগামী ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম পর্ব ও ৪ দিন বিরতি দিয়ে ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, ডেসকো, ফায়ার সার্ভিস, তিতাস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মন্ত্রণালয়, সরকারি হাসপাতাল, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Posted ৭:৫৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh